Advertisment

দেশের সামান্য কমল দৈনিক সংক্রমণ! সক্রিয় সংক্রমণ ৪ লক্ষ পার

Daily Covid Cases in India: গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত ৪৩,৫০৯ জন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
covid, hill station, corona Daily cases

মানালিতে পর্যটকদের ভিড়।

Daily Covid Cases in India: দেশে  দৈনিক সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকল। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত ৪৩,৫০৯ জন। মৃত ৬৩৪ জন, কেরলে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ২২,০০০। পরপর দুই দিন সংক্রমণ গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী কেরলে। গত কয়েকদিন ধরে দেশে সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকায় হ্রাস পেয়েছিল সক্রিয় সংক্রমণ। কিন্তু ফের ৪ লক্ষের ওপর উঠলো এই সংক্রমণ। কেরলে সক্রিয় সংক্রমণ প্রায় দেড় লাখ।

Advertisment

এদিকে, রাজ্যভিত্তিক সেরোসার্ভে রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ, কেরলে ৪৪% জনজাতি করোনা সংক্রমিত। যাদের বয়স ছয় বছরের ঊর্ধ্বে। অর্থাৎ সেই রাজ্যের একটা ব্যাপক শতাংশ মানুষ সংক্রমণ প্রবণ। তবে, সংক্রমণের নিরিখে অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র। সার্বিক সংক্রমণে এই রাজ্য শীর্ষে থাকলেও, সংক্রমণ হারের নিরিখে মহারাষ্ট্র কেরলের পিছনে। সেরোসার্ভেতে উল্লেখ, পশ্চিমের এই রাজ্যে ৫৮% মানুষ সংক্রমিত। এদিকে, দেশব্যাপী দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেই আশা জাগাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সমীক্ষা। সেই সমীক্ষায় বলা, নতুন করে সংক্রমণ প্রতিরোধে ৯৩% কার্যকর কোভিশিল্ড। ৯৮% মৃত্যুও রুখছে সিরাম ইনস্টিটিউটের এই টিকা। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত প্রায় ১৫ লক্ষ ৯৫ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথমসারির করোনাযোদ্ধার ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য হাতে পেয়েছে মন্ত্রক। সেই রিপোর্টে উল্লেখ, এটাই কোভিড টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সবচেয়ে বড় সমীক্ষা।

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এই পরীক্ষায় যারা অংশ নিয়েছিলেন প্রত্যেকেই সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান। অনেকেরই কোমর্বিডিটি নেই। তবে প্রবীণ এবং শিশুদের উপর টিকার কার্যকারিতা সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই ওই রিপোর্টে। জানুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ থেকে দেশব্যাপী  কোভিড টিকাকরণ চালু হয়েছে। সেই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় সেনার সঙ্গে যুক্তরা কবে প্রথম ও দ্বিতীয় টিকা নিয়েছেন? কে, কবে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন? কত জনের মৃত্যু হয়েছে? সেই সব তথ্যই খতিয়ে দেখে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। অপরদিকে, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে শিশু চিকিৎসা। এই সতর্কতা মাথায় রেখে শিশু চিকিৎসায় বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে নবান্ন। শিশুদের ডায়ালিসিস ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার চিকিৎসায় জোর দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বর্তমানে রাজ্যে ৩১টি ডায়ালিসিস ইউনিট রয়েছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বাড়ানো হচ্ছে এই  ইউনিটের সংখ্যা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Maharashtra kerala Corona India Daily Cases Sero Survey
Advertisment