কড়া বিধিনিষেধ, টিকাকরণের ফলে সারা দেশেই করোনা পরিস্থতি উন্নতি হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘন্টায় সামান্য বাড়ল সংক্রমণ সেই সঙ্গে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৫ জন। গতকাল অবশ্য চার হাজারের নিচে নেমেছিল সংখ্যাটা। তবে ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪৬ হাজার ৯৬২। অ্য়াকটিভ কেসের হার কমে দাঁড়িয়েছে ০.১১ শতাংশে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় প্রায় সব রাজ্যেই শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ। নিউ নর্মালের পথে দেশ।
সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমলেও এখনও খানিকটা চিন্তায় রাখছে দেশের মৃত্যুহার। গত ২৪ ঘন্টায় যেমন ভারতে ফের ঊর্ধ্বমুখী মৃতের সংখ্যা। একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৫ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের বলি ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৫৫ জন।
তবে এসবের মধ্যেই স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৮৩ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৭ হাজার ৪১৬ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৬৯ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৭৯ কোটি ৩৩ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন ১৮ লক্ষের বেশি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ফের জানাল, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বুস্টার ডোজ প্রয়োজন। টিকাকরণের পাশাপাশি চলছে টেস্টিংও। গতকাল যেমন ৮ লক্ষের ৯৭ হাজার ৯০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
এদিকে যখন সুস্থতার পথে হাঁটতে শুরু করেছে দেশ, তাঁর মধ্যেই দেশে চতুর্থ ঢেউয়ের আগাম সতর্কবাণী শোনালেন আইআইটি কানপুরের গবেষকরা। জুন মাসে ভারতে আছড়ে পড়তে পারে করোনার চতুর্থ ঢেউ (Fourth Covid Wave) এমনই আশঙ্কা করছেন তারা। গবেষকরা বলছেন, আলফা, বিটা, গামা এবং ডেল্টার পর করোনার আরও একটি নয়া প্রজাতি সামনে আসতে পারে। তবে এর ভয়াবহতা নির্ভর করবে টিকার উপর। তবে সেই দাবিকে নস্যাৎ করেছে ভাইরোলজস্টি ডা. জেকব জনস। তিনি জানাচ্ছেন, ভারতে তৃতীয় ঢেউয়ের ইতি ঘটেছে। সেই সঙ্গে আশ্বস্ত করেন, যদি কোভিডের নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্টের আবির্ভাব না ঘটে, তাহলে চতুর্থ ঢেউ আসার সম্ভাবনা নেই। স্বাভাবিকভাবেই এমন খবর স্বস্তি দেবে দেশবাসীকে।