ক্রমেই ভারতে প্রত্যর্পণের সম্ভাবনা জোরাল হচ্ছে পিএনবি প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির। ভারত থেকে একটি ব্যক্তিগত বিমান ডোমিনিকার ডগলাস চার্লস বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছে। অ্যান্টিগা সরকারকে দেওয়ার জন্য চোকসির প্রত্যর্পণের যাবতীয় নথি সেই বিমানে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় রেডিওকে এমনটাই জানিয়েন অ্যান্টিগা-বারবুডার প্রধানমন্ত্রী গাসটন ব্রাউন। তবে, দাবি মেনে আদৌ অভিযুক্তকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হবে কিনা সে ব্যাপারে মুখ খোলেনি নয়াদিল্লি।
কাতার এগজিকিউটিভের একটি গ্লোবাল ৫০০০ বিমানকে শুক্রবার ডোমিনিকার ডগলাস চার্লস বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। বৃহস্পতিনার দোহা থেকে ওই বিমানটি দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী বিমানবন্দরে নামে। এরপর শুক্রবার সেটি নয়াদিল্লি থেকে মাদ্রিদ হয়ে পৌঁছে যায় ডোমিনিকায়।
স্থানীয় রেডিওকে অ্যান্টিগা-বারবুডার প্রধানমন্ত্রী গাসটন ব্রাউন জানিয়েছেন, জরুরি তথ্-নথি নিয়ে বারত থেকে বিশেষ বিমান এসেছে। এগুলো সাড়ে ১৩ হাজার কোটির পিএনবি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মেহুল চোকসির প্রত্যর্পণ সম্পর্কিত নথি। ওই নথি ডমিনিকার আদালতে চোকসির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাউন।
যদিও, ডোমিনিকার আদালত সেদেশে থেকে চোকসির অন্য দেশে ফেরানোর উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। তবে, চিকিৎসার জন্য চোকসিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও ছাড়পত্র রয়েছে। আগামী ২রা জুন চোকসি সম্পর্কিত শুনানি রয়েছে ডোমিনিকার আদালতে।
রেস্তরাঁয় ডিনার করতে গিয়ে সপ্তাহখানেক আগে নিঁখোজ হয়ে গিয়েছিলেন। তবে খুব বেশি দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারেননি। নৌকায় চেপে পালানোর সময় মঙ্গলবার রাতে ডোমিনিকার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন পিএনবি জালিয়ারির মূল পান্ডা হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। তারপর থেকে জেলের চার দেওয়ালের মাঝেই বন্দি অবস্থায় দিন কাটছে চোকসির। শুক্রবারই জেলের ভিতরে মেহুল চোকসির প্রথম ছবি সামনে আসে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর চোখ ফুলে লাল হয়ে গিয়েছে, হাতে কালশিটে, দাঁড়িয়ে আছেন গ্রিলের ধারে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুনই