ভারতের কৃষি আইন নিয়ে ব্রিটিশ সংসদে আলোচনায় দিল্লির আপত্তি আছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রদুতকে ডেকে অবস্থান স্পষ্ট করেছে বিদেশ মন্ত্রক। সম্প্রতি একাধিক ব্রিটিশ সাংসদ আবেদন করেছে সংসদে ভারতের কৃষি আইন এবং আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হোক। ভারত সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে কৃষকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। এমনকি, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ ওই আবেদনে করেন ব্রিটিশ সাংসদরা। তারপরেই নড়েচড়ে বসে নয়াদিল্লি। পপ স্টার রিহানা এবং গ্রেটা থুনবার্গের ট্যুইট থেকে শিক্ষা নিয়ে সরাসরি ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয় সাউথ ব্লকে। সেখানেই মোদী সরকারের আপত্তির কথা জানান বিদেশ সচিব।
এই প্রসঙ্গে একটা বিবৃতি জারি করেছে বিদেশ মন্ত্রক। সেই বিবৃতিতে উল্লেখ, ‘বিদেশ সচিব ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে ডেকে আপত্তির কথা জানিয়েছে। ব্রিটিশ সংসদে অযাচিত ভাবে কৃষি বিল নিয়ে আলোচনার তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। এটাকে একটা গণতান্ত্রিক দেশের রাজনীতিতে অপর একটি গণতান্ত্রিক দেশের পরোক্ষ হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে ভারত।‘
আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস উপলক্ষে প্রায় ৪০ হাজার মহিলা প্রতিবাদকারী পাঞ্জাবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দিল্লির কৃষক আন্দোলনের মোর্চায় যোগ দিতে চলেছেন বলে শনিবার কৃষক ইউনিয়ন দাবি করেছে। তাদের বেশিরভাগ রবিবার সকালে তাদের যাত্রা শুরু করবে। সর্বাধিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে, পাঞ্জাবের বেশিরভাগ জেলায় আবারও ট্র্যাক্টর মিছিলের আয়োজন করা হচ্ছে।
কৃষক প্রতিবাদকে আরও জোরদার করতে শুক্রবার ট্রাক্টর মিছিল করে মহিলারা। ভাটিন্ডায় পুরুষ ও মহিলা কৃষকরা মিলেই ট্রাক্টর চালিয়েছিল। রাজ্য কমিটির সদস্য বলবীর কৌর বলেন, “বেশিরভাগ মহিলা তাদের বাচ্চাদের ফাইনাল পরীক্ষার কারণে ব্যস্ত থাকেন। তাই তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মার্চ ৯ তারিখ-এ পাঞ্জাবে ফিরে আসবেন। রবিবার সকালে শত শত মহিলারা এগিয়ে যাবেন।”
এও জানান হয় যে, রবিবার সকালে ৫০০টি বাস, ৬০০ মিনি-বাস, ১১৫টি ট্রাক এবং ২০০টি ছোট গাড়ি করে যাত্রা করবে। হাজার হাজার লোক একই দিন রাত্রে টিকড়ি সীমান্তে পৌঁছে যাবেন যাতে মহিলাদের দিবস উদযাপনের অংশ হয়। বেশিরভাগ প্রোগ্রাম মহিলারা আয়োজন করবে।
যদিও নেতারা জানিয়েছেন যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় কোনও উস্কানিমূলক ভাষা না ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক জগমোহন সিংহ বলেন, “আমাদের ইস্যু থেকে বিচ্যুত হওয়ার দরকার নেই”।