রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিতর্কে কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল জারদারি ভুট্টোর নিন্দায় সরব হল ভারত। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বিলাওয়ালের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। তিনি পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যকে 'ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' আখ্যা দিয়েছেন।
বিলাওয়াল যখন নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যু তোলেন, সেই সময় সেখানে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা চলছিল। সেখানেই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে ভারত জানায়, এটা সম্পূর্ণ 'প্রতিহিংসাপরায়ণ এবং মিথ্যা প্রচার'। যা জবাব দেওয়ারও 'অযোগ্য'। কম্বোজ বলেন, 'আমি আমার বক্তব্য শেষ করার আগে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর সম্পর্কে পাকিস্তানের প্রতিনিধির ছেলেমানুষিপূর্ণ, ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য খারিজ করছি।'
কম্বোজ বলেন, 'আমাদের নজর সবসময় ইতিবাচক এবং দূরদর্শী হওয়া উচিত। নারী, শান্তি এবং নিরাপত্তার এজেন্ডার সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার জন্য, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করার জন্য আজকের আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের বিতর্কের বিষয়কে সম্মান করি। আর, সময়ের গুরুত্বকে স্বীকার করি। আমাদের ফোকাস নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপরই থাকা উচিত।'
ভারত আগেই পাকিস্তানকে বলেছিল যে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো আগেও ভারতের অংশ ছিল। এখনও ভারতের অংশ আছে। আর, ভবিষ্যতেও তাই থাকবে। তারপরও আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি কাশ্মীরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। মোজাম্বিকের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিতর্কে ওই প্রসঙ্গে তুলে আনেন বিলাওয়াল। তারই প্রেক্ষিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কম্বোজ।
আরও পড়ুন- মানিকের শপথের দিনই ত্রিপুরা ভাগের পক্ষে ইঙ্গিত? শাহ-প্রদ্যোৎ বৈঠকে নয়া মোড়
বৈঠকে ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কই বজায় রাখতে চায়। একইসঙ্গে জোর দিয়ে জানিয়েছে যে সন্ত্রাস ও শত্রুতামুক্ত পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবেই ইসলামাবাদের ওপর নির্ভরশীল। এর আগে ভারতের যুদ্ধবিমানগুলো ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তানের বালাকোটে জৈশ-ই-মহম্মদ (জেএম)-এর জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে হামলা চালিয়েছিল। আর, তার প্রেক্ষিতে ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্কে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।