Advertisment

অর্থ-শাসন-শৃঙ্খলায় শ্রীহীন, জ্বলছে লঙ্কা, তবুও পাশে ভারত

দ্বীপরাষ্ট্রের চলতি নৈরাজ্যের কথা মাথায় রেখে বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, 'গণতন্ত্র মানে মূল্যবোধ, প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, সাংবিধানিক কাঠামো।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Protesters storm Sri Lankan President Gotabaya Rajapaksas residence, কলম্বোয় ধুন্ধুমার, শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টেরের বাসভবনে হামলা, জখম ৭

গোটাবায়া রাজাপক্ষের সরকারি রাজভবনে আন্দোলনকারীরা।

আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে অনেকদিনই শ্রী হারিয়েছে লঙ্কা। কখনও প্রধানমন্ত্রী, কখনও অন্য কোনও পদাধিকারীর বাসভবন জ্বলছে। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ জনতার দখলে। তবুও দ্বীপরাষ্ট্রের দুর্দিনে পাশ থেকে সরেনি ভারত। চলতি বছরেই দুর্দশাগ্রস্ত শ্রীলঙ্কার দিকে ৩০৮ কোটি মার্কিন ডলার বাড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। গণবিক্ষোভের মুখে যখন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রেসিডেন্টের খোঁজ মিলছে না, সেই সময় এমনটাই জানাল নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, 'ভারত-শ্রীলঙ্কা ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। আমাদের দু'দেশ সভ্যতার গভীর বন্ধনে আবদ্ধ।'

Advertisment

একদিন আগেই বাঁধভাঙা জলের মত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে ঢুকে দখল নিয়েছে বিক্ষোভকারী শ্রীলঙ্কাবাসী। কাতারে কাতারে মানুষ যখন প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের যাবতীয় সুবিধা যথেচ্ছ ভোগ করছেন, বারবার প্রশ্ন উঠেছে কোথায় গোটাবায়া? যদিও প্রশ্নগুলো সব প্রশ্নই থেকে গিয়েছে। খোঁজ মেলেনি গোপন আস্তানায় আত্মগোপন করে থাকা শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও সতর্ক ভারত জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার পাশে আছে। শ্রীলঙ্কাবাসীর পাশে আছে। দ্বীপরাষ্ট্রের চলতি নৈরাজ্যের কথা মাথায় রেখে বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, 'গণতন্ত্র মানে মূল্যবোধ, প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, সাংবিধানিক কাঠামো।'

আরও পড়ুন- কীভাবে উত্থান ঘটল রাজাপক্ষ পরিবারের, কীভাবেই বা ঘটল পতন

শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যমগুলো অবশ্য দাবি করছে, এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অবমাননা, প্রতিষ্ঠান এবং সংবিধানের ধ্বংস জনগণের ক্ষোভের ফল। যা শনিবার শ্রীলঙ্কার পথে আছড়ে পড়েছে। রবিবার কিছুটা হলেও সেই ক্ষোভ স্তিমিত। যা দেখে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, 'আমরা জানি যে কত ধরনের প্রতিকূলতার মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা এবং শ্রীলঙ্কাবাসী হয়েছেন। আমরা শ্রীলঙ্কাবাসীর পাশে আছি। কারণ, তাঁরা এই কঠিন সময় পেরিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রতিবেশী হিসেবে আমরা শ্রীলঙ্কাকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। শ্রীলঙ্কার গুরুতর আর্থিক পরিস্থিতি সামলাতে আমরা চলতি বছরই ৩০৮ কোটি মার্কিন ডলারের আর্থিক সাহায্য করেছি। শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রতি আমরা নজর রাখছি। ভারত শ্রীলঙ্কাবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে, কারণ দ্বীপরাষ্ট্রের মানুষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মূল্যবোধ, প্রতিষ্ঠান এবং সাংবিধানিক কাঠামোর ওপর নির্ভর করে সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলতে চায়।'

Read full story in English

India Sri Lanka Gotabaya Rajapaksa
Advertisment