সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হল, স্বল্পপাল্লার ভূমি থেকে আকাশপথে ছোড়া যায় এমন ক্ষেপণাস্ত্র (VL-SRSAM)। মঙ্গলবার ওড়িশার চাঁদিপুর উপকূলে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) এবং ভারতীয় নৌবাহিনী যৌথভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। দেশীয়ভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্রকে উন্নত করা হয়েছে। জাহাজে এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন থাকবে। মঙ্গলবার একটি বিমানের অনুকরণে উচ্চগতির বায়বীয় লক্ষ্যবস্তুকে লক্ষ্য করে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত করেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভিএল-এসআরএসএএম ক্ষেপণাস্ত্রকে ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের উপযুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে। তার নকশাও সেভাবেই করা হয়েছে। সমুদ্রে যাতে কাছাকাছি থাকা লক্ষ্যবস্তুকে সঠিকভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করেছে বিজ্ঞানীরা। পরীক্ষার সময় দেখা হয়েছে এটি নির্দিষ্টি সময়ে আঘাত হানতে পারছে কি না, এর গতি কত থাকছে, সেই সব যাবতীয় বিষয়।
চাঁদিপুর আইটিআরের রাডার, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইওটিএস) এবং টেলিমেট্রি সিস্টেমের মতো বিভিন্ন রেঞ্জের যন্ত্র দ্বারা এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতি-সহ অন্যান্য বিষয়গুলো মাপা হয়েছে। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরি (ডিআরডিএল), রিসার্চ সেন্টার ইমারত (আরসিআই), হায়দ্রাবাদ এবং পুনের আর অ্যান্ড ডি ইঞ্জিনিয়ারদের মতো সিস্টেমের ডিজাইন এবং বিকাশের সাথে জড়িত বিভিন্ন ডিআরডিও ল্যাবের সিনিয়র বিজ্ঞানীরা এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ করেছেন।
আরও পড়ুন- দুর্ঘটনাবশত পাকিস্তানে উড়ে গিয়েছিল ক্ষেপণাস্ত্র, তিন অফিসারকে বরখাস্ত ভারতীয় বায়ুসেনার
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই ক্ষেপণাস্ত্রর সফল উৎক্ষেপণের জন্য ডিআরডিও, ভারতীয় নৌবাহিনী-সহ সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে ক্ষেপণাস্ত্রটি নৌবাহিনীর শক্তি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিল। এই ব্যাপারে DRDO-র চেয়ারম্যান ডা. জি সতীশ রেড্ডিও VL-SRSAM-এর সফল পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ভিএল-এসআরএসএএম ক্ষেপণাস্ত্রটি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে এবং প্রায় ১৫ কিলোমিটার উচ্চতায় উচ্চগতির বায়ুবাহিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। VL-SRSAM-এর দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, চারপাশে এর চারটি ছোট ডানা এর তার ইঞ্জিনের মাধ্যমে দিক পরিবর্তনের ক্ষমতা।
Read full story in English