Advertisment

আকাশেও ভারতের প্রতাপ, যুদ্ধবিমান থেকে ব্রহ্মস মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ

বঙ্গোপসাগরে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে রাখা একটি জাহাজে সফলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্রটি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সুখোই ৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান থেকে পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্র সফলভাবে ছোঁড়া হল। পরিকল্পনামাফিক মাঝ আকাশে যুদ্ধবিমানে তেল ভরা হয়। তারপরই বঙ্গোপসাগরে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় সুপারসনিক এই ক্রুজ মিসাইলটি ছোঁড়া হয়। সহজেই ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় আঘাত করে। এর ফলে ভারতের বায়ুসেনা আরও শক্তিশালী হল।

Advertisment

শুক্রবার সকাল পাঞ্জাবের হালওয়ারা বিমানঘাঁটি থেকে ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্র নিয়ে সুখোই ৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান ওড়ে। এরপর মাঝ আকাশে সেটিতে তেলও ভরা হয়। দুপুর বঙ্গোপসাগরে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে রাখা একটি জাহাজে আঘাত হানে ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্রটি।

শব্দেরও কয়েক গুণ গতি সম্পন্ন ঘাতক ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্রটি ভারত ও রাশিয়ার যৌথভাবে বানিয়েছে। ইতিমধ্যেই দু’দেশেরই সমরাস্ত্রের গহুরুত্বপূর্ণ অংশ এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। ২০০৬ সালে স্থলসেনা ও নৌসেনার অস্ত্র ভাণ্ডারে যুক্ত হয় ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র । মিসাইলটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা হয়েছে। গত কয়েকবছর ধরেই সুখোই ৩০ এমকেআই ও ব্রহ্মস সংযুক্তির কাজ চালাচ্ছিল দেশীয় সংস্থা হ্যাল।

আরও পড়ুন: এক মিসাইলে ফুটো হল জাহাজ! বঙ্গোপসাগরে সফল উৎক্ষেপণ ক্ষেপণাস্ত্রের

এছাড়াও ভারতের হাতে রয়েছে রুদ্রম ক্ষেপনাস্ত্র। এটি সার্ফেস টু সার্ফেস (স্থ থেকে স্থলে) ক্ষেপনাস্ত্র। ২০২২ সালে এই ক্ষেপনাস্ত্র ভারতীয় বায়ুসেনার সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

সীমান্তে চিন ও পাকিস্তানের আগ্রাসন নিরসণে প্রস্তুত ভারত। সেই লক্ষ্যেই ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ খুবই তাৎপর্যবাহী। এবার একইসঙ্গেসীমান্তের দু'দিক থেকে যুদ্ধ শুরু হলে ভারত শত্রুদের পাল্টা মার দিতে পারবে। ইতিমধ্যেই ভারত-চিন সীমান্তে কৌশলগত পয়েন্টে ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্র মজুত করেছে ভারত।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

indian air force
Advertisment