ভারত-পাক সম্পর্কের পারদ ক্রমশই চড়ছে। পাকিস্তানের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে এবার যোগ দিচ্ছে না ভারত। শুক্রবার পাক হাই কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় দিবসের রিসেপশনে কোনও প্রতিনিধিকে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়া দিল্লি। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন হুরিয়ত নেতারা। সে কারণেই এবার পাক জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রতিবছর ২৩ মার্চ জাতীয় দিবস পালন করে পাকিস্তান। এ বছর, একদিন আগে, আজ শুক্রবার জাতীয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পাক হাই কমিশন।
আরও পড়ুন, দুনিয়ায় যাই ঘটে যাক, পাকিস্তানের পাশেই চিন, জানিয়ে দিল বেজিং
এ বছর পুলওয়ামা হামলার পর দু’দেশের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। পুলওয়ামার ঘটনা মাথায় রেখেই এবার এমন কড়া সিদ্ধান্ত নয়া দিল্লি নিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, হুরিয়ত নেতাদের আমন্ত্রণের বিষয়ে আপত্তির কথা ফেব্রুয়ারিতেই পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে জানায় নয়া দিল্লি। হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি ও মিরওয়াজ উমর ফারুখকে আমন্ত্রণ জানানোয় ভারতের আপত্তির কথা লন্ডনের একটি অনুষ্ঠানে পাক বিদেশমন্ত্রীকে জানায় নয়া দিল্লি।
প্রসঙ্গত, পাক জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে হুরিয়ত নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে আগেও বহুবার আপত্তি জানিয়েছে ভারত। কিন্তু আপত্তি সত্ত্বেও পাক জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল ভারত। এনডিএ আমলেও এ নিয়ে ভারতের আপত্তির কথা পাকিস্তানকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এ অনুষ্ঠান কখনও বয়কট করেনি ভারত। ২০১৫ সালে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং। ২০১৬ সালের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রকাশ জাভড়েকর। ২০১৭ সালে পাক জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। ২০১৮ সালের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কৃষি প্রতিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত।
Read the full story in English