Advertisment

বিজেপিতে যোগ দেবেন না পাইলট।।ইইউ সামিটে শান্তির বার্তা মোদীর।।নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার ইস্তফা?

আজ কী ঘটল দেশে? আপডেটেড থাকতে আপনাকে যে খবর জানতেই হবে, দিনের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর এই প্রতিবেদনে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
India latest news, দেশের খবর, ভারতের খবর

দেশের খবর একনজরে।

বিজেপিতে যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দিলেন শচীন পাইলট। এদিকে, লাদাখ ইস্য়ুতে ভারত-চিন সংঘাতের আবহে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভার্চুয়াল সামিটে শান্তি-স্থিতিশীলতার বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। অন্য়দিকে, ফিলিপিন্সের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্য়াঙ্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দিতে চলেছেন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা। আবার, ২০৪৮ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে ১.৬ বিলিয়ান। ২০১৭ সালের তুলনায় যা ১.৩৮ বিলিয়ান বেশি। বুধবার অনলাইনে ল্যানসেট সমীক্ষায় এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। দেশের এমনই সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ে নিন এক এক করে...

Advertisment

বিজেপিতে ‘ল্যান্ডিং’ নয়, জানালেন পাইলট

sachin pilot, শচীন পাইলট, সচিন পাইলট শচীন পাইলট ও অশোক গেহলট।

মরু ঝড়ে উপমুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রী পদ গিয়েছে শচীন পাইলটের। তাঁর ঘনিষ্ঠদেরও পদ কেড়ে নিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু, লড়াই এখানেই শেষ নয়। বরং গেহলটের গদি বাঁচাতে দীর্ঘ আইনি ও কৌশলী লড়াইয়ে জোর দিচ্ছে হাত শিবির। বুধবারই স্পিকার সি পি যোশীর দফতর ‘বিদ্রোহী’ কংগ্রেস বিধায়কদের নোটিস দিয়েছে। আগামী শুক্রবারের মধ্যে তাঁদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গতকালই চিফ হুইপ মহেশ যোশী স্পিকার স্পিকারের কাছে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছেন। এদিকে বুধবারও শচীন পাইলট তাঁর বিজেপি যোগের গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন

*সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী গেহলট ও দলের তরফে জয়পুরে আসা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অজয় মাকেন ও রণদীপ সুরজেওয়ালা আইনি এই পদক্ষেপ নিয়ে মঙ্গলবার দফায় দফায় আইনজীবী অভিষেক মণু সিংভির সঙ্গে কথা বলেছেন। বিধায়ক হিসাবে ‘বিদ্রোহী’দের পদ কেড়ে নেওয়া হলে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে আর কোনও বাধ থাকবে না। অন্যদিকে পদ খারিজের বার্তায় পাইলট শিবিরের বেশ কয়েকজন বিধায়ককে নিজেদের শিবিরের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। আপাতত এই দুটি বিষয়কে মাথায় রেখেই যাবতীয় পদক্ষেপের পথে কংগ্রেস নেতৃত্ব।

*একদিকে, হুইপ সত্ত্বেও পরিষদীয় বৈঠকে হাজির হননি ‘বিদ্রোহী’রা। অন্যদিকে, তাঁদের বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এই দুই অভিযোগের ভিত্তিতেই ‘বিদ্রোহী’দের বিধায়কপদ খারিজের দাবি জানানো হয়েছে কংগ্রেসের তরফে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে

'ভাল ইংরেজি বলতে পারা বা সুদর্শন চেহারা থাকাটাই সব নয়', পাইলটকে কটাক্ষ গেহলটের

publive-image অশোক গেহলট

নাম না করে শচীন পাইলটকে কটাক্ষ করলেন রাজস্থানের মুখ্য়মন্ত্রী অশোক গেহলট। বুধবার গেহলট বলেছেন, ''ভাল ইংরেজি বলতে পারা বা সুদর্শন চেহারা থাকাটাই সব নয়। আপনার হৃদয়ে কী রয়েছে, কী ধরনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে, সেটা দেখা যায়''।

* সরকার ফেলতে বিজেপির সঙ্গে ঘোড়া কেনাবেচার রাজনীতিতে পাইলট যুক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন গেহলট।

* উল্লেখ্য়, মঙ্গলবার রাজস্থানের উপমুখ্য়মন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরানো হয় শচীন পাইলটকে। (Read in English)

দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে

বিশ্বে শান্তি-স্থিরতার জন্য় ভারত-ইইউ সহযোগিতা জরুরি: মোদী

modi, মোদী প্রধানমন্ত্রী মোদী

লাদাখ ইস্য়ুতে ভারত-চিন সংঘাতের আবহে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভার্চুয়াল সামিটে শান্তি-স্থিতিশীলতার বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। বুধবার ভার্চুয়াল সামিটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য় ভারত ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের পার্টনারশিপ তাৎপর্যপূর্ণ। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে এই সহযোগিতা অত্য়ন্ত জরুরি বলে মন্তব্য় করেছেন মোদী।

*১৫ তম ভারত-ইইউ সামিটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ''বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করার পাশাপাশি জলবায় পরিবর্তনের মতো বিষয় মোকাবিলা করাও অন্য়তম প্রধান লক্ষ্য় ভারত ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের...আমরা প্রযুক্তি ও বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি ইউরোপ থেকে''। বিশ্বে আর্থিক পরিস্থিতির পুনরুদ্ধারে ভারত ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

*উল্লেখ্য়, ২৭ টি দেশের সম্মিলিত গোষ্ঠী ইউরোপিয় ইউনিয়ন ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে ভারতের সবথেকে বড় বাণিজ্য়িক সহযোগী ছিল ইউরোপিয় ইউনিয়ন। ২০১৮-১৯ সালে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য়ের অঙ্ক ১১৫.৬ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্য়ে ভারত রপ্তানি করেছে ৫৭.১৭ বিলিয়ন ডলার, আমদানি করেছে ৫৮.৪২ বিলিয়ন ডলার।

দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে

এডিবি-র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন কমিশনার লাভাসার নাম

Ashok Lavasa, অশোক লাভাসা ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

ফিলিপিন্সের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্য়াঙ্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দিতে চলেছেন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা। ভারতের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে এখনও ২ বছরের মেয়াদ বাকি রয়েছে লাভাসার। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে অবসর নিতেন লাভাসা।

* মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার পদের মেয়াদ শেষের আগেই পদত্য়াগ করার নজির হিসেবে দ্বিতীয় অশোক লাভাসা।

* এর আগে, ১৯৭৩ সালে মেয়াদ শেষের আগে মুখ্য় নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন নাগেন্দর সিং। তিনি আন্তর্জাতিক ন্য়ায় আদালতের বিচারক হয়েছিলেন তিনি।

* সূত্রের খবর, কেন্দ্র সরকারের সম্মতি মেলার পরই এডিবি-তে লাভাসার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়।

* তবে, এ ব্য়াপারে কোনও মন্তব্য় করতে চাননি লাভাসা। নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে লাভাসা ইস্তফা দিয়েছেন তিনা এখনও জানা যায়নি। (Read in English)

দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে

জনবিস্ফোরণ! ২০৪৮ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে ১.৬ বিলিয়ান

publive-image ২০৪৮ সালে ভারতে জনবিস্ফোরণের পূর্বাভাস

২০৪৮ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে ১.৬ বিলিয়ান। ২০১৭ সালের তুলনায় যা ১.৩৮ বিলিয়ান বেশি। বুধবার অনলাইনে ল্যানসেট সমীক্ষায় এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

সমীক্ষা অনুসারে, ২১০০ সালে ভারত হবে বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ। অনুমান যে, কার্যক্ষম জনসংখ্যা বারত ও চিনের মতো দেশে উল্লেখযোগ্য হারে কমবে। যা দেশের আর্থিক বৃদ্ধিকে ব্যাহত করবে।

* ভারতে ২০-৬৪ বছর বয়স্ক কাজ করতে পারা মানুষের সংখ্যা ২০১৭ সালে প্রায় ৭৬২ মিলিয়ান ছিল। যা ২১০০ সালে কমে ৫৭৮ মিলিয়ান হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। ল্যানসেট সমীক্ষায় এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

* কাজ করতে সক্ষম এমন মানুষের সংখ্যায় চলতি বছরেই ভারত চিনকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, কর্ম সক্ষম মানুষের সংখ্যা এ দেশে কমবে। ২০১৭ সালে যা ছিল ৯৫০ মিলিয়ান, ২১০০ সালে তা কমে হবে ৩৫৭ মিলিয়ান।

* জিডিপির নিরিখে ২১০০ সালে বিশ্বে ভারত সপ্তম থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে বলে সমীক্ষায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বলা হয়েছে যে, জন্ম বৃদ্ধির হার ২০১৯ সালেই ২.১ কমেছে। ২০৪০ সাল পর্যন্ত এই হারেই তা কমতে থাকবে। মোট জন্ম বৃদ্ধির হার ২১০০ সালে হতে পারে ১.২৯।

* সমীক্ষায় ২১০০ সালে ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম মোট ইমিগ্রেশন দেশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানানো হয় যে, ভারতে ত্যাগের চেয়ে এ দেশে পাড়ি জমানো মানুষের হার বেশি।

* গোটা বিশ্বের জনসংখ্যা ২০৬৪ সালের মধ্যে ৯.৭ বিলিয়ান ছুঁতে পারে বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। শতাব্দীর শেষ দিকে তা অবশ্য কমে হবে ৮.৮ বিলিয়ান। জাপান, ইটালি, স্পেন সহ ২৩ দেশের জনসংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি কমে যেতে পারে।

* বিশ্বের জন্মহার হার ২০১৭ সালে ছিল ২.৩৭। ২১০০ সালে তা কমে ১.৬৬ হতে পারে বলে অনুমান। ন্যূনতম নিম্ন হার হবে ২.১।

আইএইচএমই ডিরেক্টার ডঃ ক্রিস্টোফার মুরের নেতৃত্বে এই সমীক্ষা চলে। তিনি বলেছেন যে, 'জনসংখ্যার এই বিস্ফোরণ অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, কাজের ক্ষেত্রে কমে যাওয়া, স্বাস্থ্য ও সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যা বৃদ্ধির ইঙ্গিত করছে।' Read in English

দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে

national news
Advertisment