অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্য় ঘিরে লোকসভায় তুমুল হই-হট্টগোল। গান্ধী পরিবারকে নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য় ঘিরে তীব্র প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন কংগ্রেস সাংসদরা। এদিকে, কৃষি বিল ইস্য়ুতে কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্য়দিকে, মোদী থেকে নাড্ডা, আসন্ন বিহার বিধানসভা ভোটে এনডিএ শিবির ফের নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই লড়বে বলে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু, ভোটের দেড়-দু’মাস আগেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে গেরুয়া জোটের অন্দরে টানাপোড়েন অব্যাহত। দেশের এমনই সব খবর পড়ে নিন এক এক করে...
গান্ধী পরিবারকে নিয়ে অনুরাগের মন্তব্য়ে লোকসভায় তুলকালাম
অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্য় ঘিরে লোকসভায় তুমুল হই-হট্টগোল। গান্ধী পরিবারকে নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য় ঘিরে তীব্র প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন কংগ্রেস সাংসদরা। এই মন্তব্য়ের জন্য় অনুরাগকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায় বিরোধী শিবির। পরে অনুরাগ বলেন, ”আমার কথায় কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে, আমি দুঃখিত”।
*দ্য় ট্য়াক্সেসান অ্য়ান্ড আদার ল’জ বিল নিয়ে আলোচনার সময় পিএম কেয়ার তহবিল নিয়ে সমালোচনায় মুখর হন শশী থারুর, মণীশ তিওয়ারি ও অধীর চৌধুরীরা। এর পাল্টা অনুরাগ ঠাকুর বলেন, বিভিন্ন নামে জনতার টাকা নিয়ে তহবিল করে জনতাকে ঠকাচ্ছে গান্ধী পরিবার। অনুরাগের এহেন মন্তব্য় শোনা মাত্রই প্রতিবাদে সরব হন কংগ্রেস সাংসদরা।
*এদিন লোকসভায় বিজেপি সাংসদ বলেন, ”হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, সমস্ত আদালতেই বৈধতা পেয়েছে পিএম কেয়ার তহবিল। এমনকি, শিশুরাও লক্ষ্মীর ভাঁড় থেকে এতে অনুদান করেছে। নেহরু একটা তহবিল তৈরি করেছিলেন, যেটা আজ পর্যন্ত নিবন্ধিত হয়নি। আপনারা (কংগ্রেস) গান্ধী পরিবারের লাভের জন্য় ট্রাস্ট তৈরি করেন। আপনারা সোনিয়া গান্ধীকে এর চেয়ারম্য়ান করেছেন। এর তদন্ত হওয়া উচিত”।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
কয়েক দশক ধরে যারা দেশ শাসন করেছে, তারাই কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে: মোদী
কৃষি বিল নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। লোকসভায় ‘বিতর্কিত’ কৃষি বিল পাসের পর শুক্রবার একে ঐতিহাসিক অ্য়াখ্য়া দিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে কৃষি বিল নিয়ে কৃষকদের ভুল বোঝানোর অভিযোগ চাপালেন কংগ্রেসের ঘাড়ে। কংগ্রেসকে নিশানা করে মোদী বলেছেন, ”যারা কয়েক দশক ধরে দেশ শাসন করেছে, তারা এ ইস্য়ুতে কৃষকদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা কৃষকদের মিথ্য়া কথা বলছে”।
*কৃষি বিল প্রসঙ্গে মোদী এদিন বলেছেন, ”কৃষিক্ষেত্রে নতুন স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। নিজেদের উৎপাদিত পণ্য় বিক্রির অনেক সুযোগ ও বিকল্প খুঁজে পাবেন তাঁরা। বিলগুলি পাসের জন্য় অভিনন্দন জানাই। ফড়েদের থেকে তাঁদের বাঁচাতে এটা দরকার ছিল। এগুলো কৃষকদের রক্ষাকবচ”।
*প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন যে এমএসপি-র মাধ্য়মে কৃষকদের উপযুক্ত দাম দিতে এনডিএ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নমো বলেছেন, ”কৃষকরা অবগত এবং তাঁরা দেখতে পাবে, কারা ফড়েদের পাশে রয়েছে ও তাঁদের নতুন সুযোগের বিরোধিতা করছে। এমএসপি-র মাধ্য়মে কৃষকদের সঠিক দাম দিতে আমার সররকার বদ্ধপরিকর। তাঁদের উৎপাদিত পণ্য় কেনা সরকার চালিয়ে যাবে। গত ৬ বছরে এনডিএ কৃষকদের জন্য় যা করেছে, তা কোনও সরকারই এতটা করেনি”।
দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
বিহার ভোট ২০২০: আসন রফা নিয়ে জেডিইউ-বিজেপি চাপানউতোর, নীতীশের নজরে ১১৫
মোদী থেকে নাড্ডা, আসন্ন বিহার বিধানসভা ভোটে এনডিএ শিবির ফের নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই লড়বে বলে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু, ভোটের দেড়-দু’মাস আগেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে গেরুয়া জোটের অন্দরে টানাপোড়েন অব্যাহত। এনডিএ-এর দুই বড় শরিক জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) ও বিজেপি আসন নিয়ে জোর দরকাষাকষি করছে।
*রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি) আগেই গত বারের চেয়ে বেশি আসনে লড়ার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে জোটের নয়া শরিক জিতেন রাম মাঝির হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চাকে কটা আসন ছাড়া হবে তারও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থাৎ নিউ নর্মালে বিহার ভোটে শাসক শিবিরেরর আসন রফা এখনও বিশ বাঁও জলে।
*জানা গিয়েছে, ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় লড়ার জন্য এবার ১১৫ আসনের দাবি করেছে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড। ১২৮ আসন তারা ছাড়তে চায় বিজেপিকে। জেডিইউ চায় সেখান থেকেই এলজেপি-কে লড়ার জন্য আসন ছাড়ুক পদ্ম শিবির। রামবিসাল বা চিরাগ পাসোয়ান এই ফর্মুলা মেনে নেন কিনা এখন তার উপরই বিহারের শাসক শিবিরের মসৃণ জোটের ভবিষ্যৎ অনেকটা নির্ভর করছে।
দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের উড়ান বন্ধ করল দুবাই, ২ বার কোভিড রোগী নিয়ে সফরের জের
আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানের পরিষেবা বন্ধ করে দিল দুবাই বিমানবন্দর। শীর্ষ সরকারি এক আমলা জানিয়েছেন, গত দু'সপ্তাহে দু'বার করোনাভাইরাসের রোগী নিয়ে সফর করার জন্য দুবাই বিমানবন্দর এই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আইন অনুসারে, ভারত থেকে সেদেশে যাওয়া উড়ান যাত্রীদের ৯৬ ঘন্টার মধ্যে পরীক্ষা করা আসল কোভিড-১৯ নেগেটিভ রিপোর্ট রাখা বাধ্যতামূলক।
শীর্ষ সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, '২ সেপ্টেম্বর তারিখে একজন যাত্রীর নমুনায় পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে, কিন্তু তিনি তিনি সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ জয়পুর-দুবাই উড়ানে সওয়ার হয়েছিলেন। এর আগেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে।' এই কারণেই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসাবে ১৮-২ অক্টোবর পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানের পরিষেবা বন্ধ করে দিল দুবাই বিমানবন্দর। ফের পরিষেবা শুরু করার জন্য, ভুল সংশোধনে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা সবিস্তার জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়াকে।
এ প্রসঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস জানিয়েছে, যাত্রীদেরহ য়রানি দূর করতে উড়ান কর্তৃপক্ষ দুবাইয়ের বদলে শুক্রবার শারজাহ পর্যন্ত চারটি বিমান চালানোর পরিকল্পনা করেছে।Read in English
দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে