কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব ঘিরে সরগরম মরুরাজ্য়। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য় কংগ্রেস বিধায়ককে মোটা টাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে শচীন পাইলটের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করলেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্য়মন্ত্রী। এদিকে, পাইলটকে ফের বিঁধলেন গেহলট। অন্য়দিকে, রাজ্য়ে আইন বহাল রাখার দায়িত্ব উত্তরপ্রদেশ সরকারেরই, বিকাশ মৃত্য়ু সম্পর্কিত একটি মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। আবার, আগামী ২৭ জুলাই আম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ছ'টি রাফাল যুদ্ধবিমান পৌঁছবে। ভারতীয় বায়ু সেনার সবচেয়ে প্রাচীন ঘাঁটিতে যা নতুন মুকুট বলেই বিবেচিত হবে। দেশের এমনই সব খবর পড়ে নিন এক এক করে...
পাইলটের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ, বিঁধলেন গেহলট
কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব ঘিরে সরগরম মরুরাজ্য়। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য় কংগ্রেস বিধায়ককে মোটা টাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে শচীন পাইলটের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করলেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্য়মন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে পাইলট বলেছেন, ”আমি মর্মাহত, তবে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ যে করা হবে, সে ব্য়াপারে আশ্চর্য হইনি। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এসব করা হচ্ছে”।
*উল্লেখ্য়, কংগ্রেস বিধায়ক গিরিরাজ সিং মালিঙ্গা দাবি করেছেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য় তাঁকে মোটা টাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন পাইলট। তিনি আরও দাবি করেছেন, গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই গেহলট সরকারকে ফেলার চেষ্টা করছেন পাইলট।
*এদিকে, শচীন পাইলটকে ঠুকলেন মুখ্য়মন্ত্রী অশোক গেহলট। রাজস্থানের প্রাক্তন উপ-মুখ্য়মন্ত্রীকে আক্রমণ করে গেহলট বলেছেন, ”আমি জানতাম ও কোনও কাজের নয়, অকর্মণ্য়। শুধু সকলকে বিবাদে জড়াতে প্ররোচনা দিতেন। আমি এখানে সবজি বিক্রি করার জন্য় বসে নেই, আমি মুখ্য়মন্ত্রী”।
*মরু রাজনীতিতে কংগ্রেসের অন্দরে গেহলট -পাইলট বিবাদ তুঙ্গে। ‘বিদ্রোহী’ নেতা সহ তাঁর অনুগামী ১৮ নেতাকে বিধায়ক পদ খারিজের নোটিসও ধরিয়েছেন স্পিকার। যার বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে মামলার রুজু হয়েছে। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে রাজস্থান হাইকোর্টে। স্পিকার সিপি যোশীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির এদিন হাইকোর্টে বলেন, ‘বিধায়ক পদ খারিজ সংক্রান্ত বিষয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্তের উপর আদালত কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’ (বিস্তারিত পড়ুন)
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
বিকাশ হত্য়া মামলা: ''রাজ্য়ে আইন বহাল রাখতেই হবে', যোগী সরকারকে বলল সুপ্রিম কোর্ট
গ্য়াংস্টার বিকাশ দুবে হত্য়ায় সুপ্রিম কোর্টের ধমকের মুখে পড়ল যোগী সরকার। রাজ্য়ে আইন বহাল রাখার দায়িত্ব উত্তরপ্রদেশ সরকারেরই, বিকাশ মৃত্য়ু সম্পর্কিত একটি মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
* প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডের বেঞ্চ বলেছে, ''আমরা হতবাক হয়েছি এটা দেখে যে, এমন এক ব্য়ক্তি যিনি এত কিছু করেছেন, অথচ জামিন পেয়েছেন। এটা সম্পূর্ণ ব্য়র্থতা। সমস্ত নির্দেশিকার স্বচ্ছ রিপোর্ট চাই''।
* বিকাশ দুবে হত্য়ায় আদালতের নজরদারিতে তদন্তের আর্জি জানিয়ে ২টি আবেদনপত্র জমা পড়ে।
* ২টি মামলা দায়ের করেন আইনজীবী ঘনশ্য়াম উপাধ্য়ায় ও অনুপ প্রকাশ অবস্তী। (Read in English)
দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকবহুল জেলায় অগ্রাধিকার কেন্দ্রের
লকডাউন শিথিল হতেই পরিয়ায়ী শ্রমিকরা আস্তে আস্তে তাদের কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। এইসব শ্রমিকদের খাদ্য নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত করা যায় তা নির্ধারণে পরিকল্পনা শুরু করেছে কেন্দ্র।
জুনের শেষ ও জুলাইয়ের প্রথম দিকে কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব সুধাংশু পাণ্ডে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করেন। যেসব জেলা / মহানগর / শহরে পরিযায়ী শ্রমিকরা অধিক সংখ্যায় এসেছেন বা যেসব জেলা/মহানগর/শহরে থেকে পরিযায়ীরা বহু সংখ্যায় অন্যত্র গিয়েছেন- সেখানে এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থা কার্যকর করার উপর বৈঠকে জোর দেওয়া হয়।
খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, 'আট থেকে ১০টি এমন রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে যেখানে ব্যাপক সংখ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরেছেন। আবার পরিযায়ী শ্রমিকরা বহু সংখ্যায় চলে গিয়েছেন এমন রাজ্যও রয়েছে। '
* ডিসেম্বর-জানুয়ারি থেকেই দেশজুড়ে এক দেশ এক রেশন কার্ড লাগু করতে আগ্রাহী ছিল মোদী সরকার। কিন্তু সূত্রের খবর, পরিয়ায়ী শ্রমিকদের অধিক সংখ্যায় গন্তব্যের জেলায় আগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই রেশন ব্যবস্থা কার্যকর করতে উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার।
* ২০১৯ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ২০ রাজ্যকে এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থার আওতাধীন করা হয়। অগাস্টে আরও তিন রাজ্যকে সেই তালিকায় দেখা যাওয়ার সম্ভাবনবা রয়েছে। এ বছর শেষে বাকি রাজ্যসমুহ এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত হবে।
* রাজ্যের কোন পাঁচ জেলাতে সব চেয়ে বেশি সংখ্যায় পরিয়ায়ী শ্রমিকরা ফিরেছেন। গত মাসেই খাদ্য মন্ত্রক রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে সেই তালিকা জমা করার পরামর্শ দেয়। কেন্দ্রের তরফে বলা হয় যে, 'এটি লক্ষ্য করা যায় যে একক গোষ্ঠীতে প্রচুর সংখ্যক রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে একীভূত করা সত্ত্বেও, জাতীয় / আন্তঃরাষ্ট্রীয় বহনযোগ্য লেনদেনের মাসিক বরাদ্দ পরিমাণ এখনও অবধি গ্রহণ করেনি। রাজ্যর যেসব জেলায় অধিক সংখ্যায় পরিযায়ীরা ফিরেছেন সেই সব জেলার নাম নথিভুক্ত করার অনুরোধ করা হচ্ছে।' যেসব জেলা থেকে পরিযায়ীরা অধিক সংখ্যায় অন্যত্র গিয়েছেন সেগুলির নামও জানাতে বলা হচ্ছে।
সূত্র জানাচ্ছে, গুজরাট ও কর্নাটক ইতিমধ্যেই ইতিমধ্যেই তথ্য দিয়েছে।
প্রত্যেক রাজ্য, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল যাতে এক দেশ এক রেশন কার্ড ব্যবস্থার হেল্প লাইন নম্বর '১৪৪৪৫' কার্যকর করে তার জন্যও বৈঠকে আবেদন জানানো হয়েছে। Read in English
দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
রাফাল থাকবে ঐতিহাসিক আম্বালাতে
আগামী ২৭ জুলাই আম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ছ'টি রাফাল যুদ্ধবিমান পৌঁছবে। ভারতীয় বায়ু সেনার সবচেয়ে প্রাচীন ঘাঁটিতে যা নতুন মুকুট বলেই বিবেচিত হবে। ভারতীয় বায়ু সেনার ১৭ স্কোডর্নের অন্তর্ভুক্ত হবে এই রাফাল যুদ্ধবিমান। আম্বালার মতই বাংলার হাঁসিমারা এয়ারবেসেও রাফাল থাকবে। ফ্রান্স থেকে অত্যাধুনিক মোট ৩৬ রাফাল ভারতে আসার কথা। আম্বালা কি করে বিবর্তিত হয়ে সেনা শহরে পরিণত হল সেদিকেই আলোকপাত করেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
লাহোর-দিল্লি রোডের উপর অবস্থিত আম্বালার অবস্থান স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত ভালো। এছাড়া এই শহর সিমলারও খুব কাছে। তাই ব্রিটিশদের নজরে পড়ে এই শহর। ক্রমেই এখানে ঘাঁটি গড়ে তোলে তারা। তবে, ব্রিটিশদের বরুদ্ধে গর্জ ওঠার ক্ষেত্রেও আম্বালার কথা উঠে আসে। ১৯৫৭ থেকে লর্ড কিচেনারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, রাওলাট আইনের প্রতিবাদ হয় আম্বালায়। বিরোধ সত্ত্বেও অবস্থানগত সুবিধার জন্য শেষ পর্যন্ত এখানেই বিমান ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল ইংরেজরা।
১৯২০ সালে আম্বালা বায়ু ঘাঁটি ভারতীয় কমান্ডের সদর দফতরে রুপান্তরিত করা হয়েছিল। যা বজায় ছিল ১৯২২ পর্যন্ত। ১৯৩৮ সালে ব্রটিশ সেনার অন্যতম রয়্যাল ইন্ডিয়া আর প্রধান দফতর করা হয় আম্বালাকে। ১৯৩৯ সালে আম্বালায় ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম সেনা কমান্ড দেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। অগাস্ট ১৯৩৯ থেকে ৪০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত উপকূলীয় রক্ষী বাহিনীর কার্যালয় ছিল আম্বালায়। পরে, ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত এখানে সেনা স্কুলও ছিল।
স্বাধীন ভারতে বায়ু সেনার ৭ নম্বর উইংয়ের সদর দফতর হয়ে ওঠে আম্বালা। এখানে জাগুয়ার যুদ্ধবিমান ও মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের ঘাঁটি। চতুর্থ স্কোর্ডন হিসাবে রাফালের ১৭ নম্বরের স্কোয়াড্রনটি এখানে গড়ে তোলা হয়েছে। রাফালের জন্য আম্বালায় যুদ্ধবিমানের নতুন হ্যাঙ্গার সহ বেশ কিছু নির্মাণ গড়ে উঠেছে।
শতবর্ষ পার করেছে আম্বালা। দীর্ঘ পথ চলার পর ফের নতুন ইতিহাসের সামনে ভারতীয় বায়ুসেনার আম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটি।
দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
'উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের থেকে সাবধান'
করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দেশজুড়ে রোজই রেকর্ড গড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন পিজিআইএমইআর-এর ডিরেক্টার ডাঃ জগৎ রাম।
প্রশ্ন: উপসর্গহীনরা সংক্রমণ ছড়াতে পারে না, এমন একটা ধারনা রয়েছে। এ সম্পর্কে আপনার মতামত কি?
উপসর্গহীন বা উপসর্গ না থাকাটা বিষয় নয়, করোনা সংক্রমিত হয়েছেন এমন ব্যক্তি সংক্রমণ ছড়াতে পারে। একজনের থেকেই সংক্রমণ অন্যের দেহে ছড়ায়। বেশিরভাগ সংক্রমিতই উপসর্গহীন, তাই পারস্পরিক দূরত্বের কথা বলা হচ্ছে। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হয়েছে। সব দিক থেকে সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। কেউ যেন নাভাবেন যে মৃদু উপসর্গ থাকলে সেই ব্যক্তির থেকে সংক্রমণ ছড়াবে না।।
প্রশ্ন: করোনা সংক্রমণ বায়ুবাহিত, তাহলে কি ঘরের মধ্যেও মাস্ক পড়া উচিত?
করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত কণার মাধ্যমে এক জনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে। হাঁচি, কাশি থেকে এটি বেশি ছড়ায়। একই ব্যক্তি যদি বাড়ির মধ্যে থাকে তবে মাস্ক পড়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বাইরে থেকে কেউ এলে তাকে মাস্ক পড়তেই হবে।
প্রশ্ন: বাণিজ্যিকভাবে বাজারে ভ্যাকসিন আসতে কত সময় লাগবে?
অদৃশ্য এই ভাইরাস মোকাবিলায় ভ্যাকসিনই একমাত্র সমাধান। রাশিয়া থেকে ইসরায়েল, পৃথিবীর নানা দেশ ভ্যাকসিন তৈরিতে মনোনিবেশ করেছে, মানব দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। কিন্তু সেগুলির কার্যক্ষমতা এখনও প্রমাণিত নয়। ভ্যাকসিনের বিষয়টি দেশভেদ বিচার্য। তবে আগামী তিন থেকে ছ'মাসের মধ্যে করোনার ভ্য়াকসিন বাজারে এসে যাবে বলে মনে হয়।
প্রশ্ন: বিভিন্ন অনুষ্ঠান এই সময় উদযাপিত হচ্ছে। এটা কি উচিত?
কাজের বাইরে বাড়ি থেকে বেরনোর সময় এটা নয়। প্রশানের নিয়মবিধি লংঘনের জন্যই আজ সংক্রমণ এতো বাড়ছে। অনেকেই আত্মীয়, বন্ধু, বান্ধবদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। আমি শুধু বলব এগুলো করার কোনও প্রয়োজন নেই। এই ধরনের বিষয় ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রশ্ন: মানুষের উদ্দেশে আপনার পরামর্শ কি?
আমার অনুরোধ থাকবে কেউ আত্মতুষ্টিতে ভুগবেন না। সংক্রমণ বাড়লেও মানুষ এটাকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা বা মাস্ক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে মানুষ অসচেতন হয়ে পড়ছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোবেন না। সবাই সরকারি নির্দেশ মেনে চলুন। নির্দেশ মেনে চলা নিজের ও সমাজের প্রত্যেকের জন্য উপকারী। Read in English
দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে