Advertisment

চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে মোদীর মন্তব্য় ঘিরে তুলকালাম-গালওয়ান নিয়ে দিল্লি-বেজিং উত্তাপ অব্য়াহত-লাদাখে মোতায়েন বিপুল সেনা-পাক ড্রোনে বিএসএফের গুলি

আজ কী ঘটল দেশে? আপডেটেড থাকতে আপনাকে যে খবর জানতেই হবে, দিনের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর এই প্রতিবেদনে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
India latest news, দেশের খবর, ভারতের খবর

দেশের খবর একনজরে।

ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ নিয়ে মোদীর মন্তব্য় ঘিরে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। মোদীর মন্তব্য়ের ব্য়াখ্য়ার পাল্টা সরব কংগ্রেস। এদিকে, সীমান্তে পরিস্থিতি সমাধানের জন্য় সবরকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানালেন বায়ুসেনা প্রধান। আবার গালওয়ান উপত্য়কা নিয়ে বেজিংয়ের দাবি আবারও নস্য়াৎ করল নয়া দিল্লি। লাদাকে ইতিমধ্য়েই বিপুল সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।অন্য়দিকে, জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় একটি পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ। দেশের এমনই সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ে নিন এক এক করে...

Advertisment

চিনা সেনা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল, বিরত করেছে ভারত, কংগ্রেসী সমালোচনার মুখে মোদীর মন্তব্যের ব্যাখ্যা সরকারের

publive-image

শুক্রবারের সর্বদল ভিডিও বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বিরোধী নেতাদের ও দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, 'কেউ ভারতের সীমান্তে ঢোকেনি। ভারতের সেনা চৌকিও কেউ দখল করতে পারেনি।' প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে অসঙ্গতির ইঙ্গিত দেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাহুল গান্ধী জোড়া প্রশ্ন ছুড়ে দেন মোদীর দিকে। এরপরই কেন্দ্রের তরফে মোদীর শুক্রবারের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। জানানো হয়, স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত ১৫ জুন গালওয়ানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে কারণ নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করতে মরিয়া ছিল চিনা সেনারা ও বাধা দেওয়া হলেও তারা তা গ্রাহ্য করছিল না।

চিনা সেনা কী এখনও ভারতীয় ভূখণ্ডে রয়েছে? অথবা এ দেশের এলাকা দখল করেছে? সে বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে এদিন কিছু জানানো হয়নি। তবে বলা হয়েছে, কতিপয় ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের ক্ষতিকর ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থি নিয়ে সর্বদল বৈঠকের পর দিনই ফের প্রধানমন্ত্রী মোদীর উদ্দেশে জোড়া প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এ দিন টুইটে রাহুল লেখেন, 'আমাদের সেনা জওয়ানরা কেন নিহত হলেন? তাঁরা কোথায় শহিদ হলেন?'



শুক্রবারের সর্বদল ভিডিও বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বিরোধী নেতাদের ও দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, 'কেউ ভারতের সীমান্তে ঢোকেনি। ভারতের সেনা চৌকিও কেউ দখল করতে পারেনি।' প্রধানমন্ত্রীর সেই দাবির প্রেক্ষিতেই এ দিন প্রশ্ন তোলেন রাহুল গান্ধী।

*গালওয়ান উপত্যকাকে চিনের অংশ বলে দাবি করেছে বেজিং। এই দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর জবাব চেয়েছেন বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। এদিন চিদাম্বরম জানতে চান, 'সংঘর্ষের জন্য ভারতকে দায়ী করেছে চিন। গালওয়ান তাদের বলে ফের দাবি করেছে চিন। বেজিংয়ের এই দাবি প্রসঙ্গে সরকারের কি জবাব?' এছাড়াও তাঁর প্রশ্ন, 'যদি কোনও চিনা সেনা লাদাখের ভারতীয় ভূখণ্ডেই না প্রবেশ করবে তাহলে ২০ জন সেনাকর্মীকে কেন চরম আত্মত্যাগ করতে হল?'

গালওয়ান নিয়ে কেন্দ্র আজ উত্তর না দিলে তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে বলে জানান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

গত সোমবার রাতে চিনা আক্রমণের ফলে ভারতজুড়ে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। দাবি উঠেছে চিনা পণ্য বয়কটের। এ প্রসঙ্গে চিদাম্বরম বলেন, 'চিনা পণ্য বয়কটের মাধ্যমে চিনা অর্থনীতিতে ধাক্কা দেওয়া যাবে না। প্রতিরক্ষা ও ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে বয়কটের বিষয়টি মিশিয়ে না ফেলাই ভালো।'

* গত সোমবার রাতে গালওয়ানে নিয়ন্ত্রণরেখায় ইন্দো-চিন সেনা সংঘর্ষ হয়।

* সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়।

* কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে কংগ্রেস সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

* শুক্রবার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠক হয়।

* প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা অনুপ্রবেশ হয়নি, কোনও সেনা চৌকিও দখল হয়নি।

* ' দেশকে রক্ষা করার জন্য় যা যা করার দরকার, তা করছে ভারতীয় সেনা।'

সীমান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যাই দাবি করুক না কেন বাস্তবে যেসব দূর্বলতা ফুটে উঠেছে, তা নিয়েই আপাতত প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর নীচে পড়ুন

'সত্য়কে বিভ্রান্ত করার দুর্বল প্রচেষ্টা', মোদী-মন্তব্য়ের ব্য়াখ্য়ার পাল্টা কংগ্রেস

congress cm complain, করোনা, করোনাভাইরাস, লকডাউন, কেন্দ্রকে নিশানা কংগ্রেস শাসিত রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রীদের, congress cm blame centre, congress vs bjp, ashok ghlot on coronavirus package, আর্থিক প্য়াকেজ, coronavirus package congress government, congress state coronavirus, rajsthan ashok gehlot coronavirus, punjab amarinder singh coronavirus, punjab coronavirus, bhupesh baghel coronavirus প্রতীকী ছবি।

ভারত-চিন সীমান্ত ইস্য়ুতে সর্বদল বৈঠকে মোদীর বক্তব্য় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ব্য়াখ্য়ার পাল্টা সরব হল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিবৃতি প্রসঙ্গ কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, ''সত্য়কে বিভ্রান্ত করার দুর্বল প্রচেষ্টা''।

* কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা প্রশ্ন তুলেছেন, ''প্রথমত, গালওয়ান উপত্য়কা নিয়ে সরকার ও প্রধানমন্ত্রী দফতরের অবস্থান স্পষ্ট করা দরকার। গালওয়ান উপত্য়কা কি ভারতের ভূখণ্ডের অংশ নয়?''

* তাঁর আরও প্রশ্ন, ''গালওয়ান উপত্য়কা নিয়ে চিনের দাবি কেন কড়া হাতে প্রতিহত করছে না সরকার?''

* ''প্য়াংগং সো এলাকায় অনুপ্রবেশ নিয়ে সরকার নীরব কেন?''

দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর নীচে পড়ুন

'সীমান্ত পরিস্থিতি সমাধানের জন্য সবরকম প্রচেষ্টা করা হচ্ছে'

Air Chief Bhadauria বায়ুসেনা প্রধান মার্শাল আর কে বাহাদুরিয়া

ভারতীয় জওয়ানদের মৃত্যু এবং লাদাখের অস্থির পরিস্থিতির মাঝেই চলল বায়ুসেনাদের প্যারেড। তবে কি আকাশপথে এবার কোনও সংঘর্ষের ইঙ্গিত রয়েছে ভারত-চিন সীমান্তে? চিফ অফ এয়ার স্টাফ, বায়ুসেনা প্রধান মার্শাল আর কে বাহাদুরিয়া বলেন, “সীমান্তের সুরক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে সবসময়ই সজাগ এবং প্রস্তুত থাকতে হয়।”

* প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বর্তমানে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে সবরকম প্রচেষ্টা চালানো হ: আর কে বাহাদুরিয়া

* 'এটা স্পষ্ট হওয়া উচিত যে এরকম কোনও পরিস্থিতি হলে আমরা প্রস্তুত কিনা এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে আমরা সেনা মোতায়েনর কাজ সঠিক হচ্ছে কিনা।'

* 'গালওয়ানে আমাদের বীর জওয়ানদের লড়াই বৃথা যাবে না, যেতে দেব না। আমরা এ বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।'

এই বায়ুপ্রশিক্ষণ শিবিরের মাধ্যমে বায়ুসেনার বিভিন্ন শাখায় মহিলা ক্যাডেট এবং তরুণ অফিসারদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। যাতে তাঁরাও দেশের প্রয়োজনে দেশের দায়িত্ব নিজের কাজে নিতে পারেন, এমনটাই জানান বায়ুসেনা প্রধান। Read in English

দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর নীচে পড়ুন

লাদাখে বিরাট সংখ্যক সেনা মোতায়েন

india china ফাইল ছবি। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

গালওয়ান সীমান্তে ভারত-চিন সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পর দেশের অন্যপ্রান্ত থেকে লাদাখে মোতায়েন করা হচ্ছে বিপুল সেনা। সেনাবাহিনীর নির্দেশেই চলছে এই সেনাশক্তি বৃদ্ধির পর্ব, এমনটাই খবর। অন্যদিকে ভারত-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে চিনও শক্তি বৃদ্ধি করছে বলে জানা গিয়েছে। ভারত-চিনের গালওয়ান সংঘর্ষ ঘিরে যে এবার নতুন পরিকল্পনা নিচ্ছে দুটি দেশই এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

*দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সূত্র জানায় বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরপ্রদেশ থেকে একটি বাহিনীকে লাদাখ পোস্টে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য এলাকা থেকেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাহিনীগুলিকে।

*মানালি হয়ে লেহ-লাদাখ যাওয়ার যে হাইওয়ে রয়েছে সে রাস্তা ভর্তি সেনাবাহিনীর কনভয়ে। সেই সব কনভয়ে রয়েছে যুদ্ধে ব্যবহৃত বন্দুক এবং সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

*সূত্র মারফত এও জানা যাচ্ছে, এম-৭৭৭ যে কামান রয়েছে, যা সম্প্রতি সেনাবাহিনীতে আনা হয়েছে, সেই সব কামানও ইতিমধ্যে রওনা দিয়েছে লাদাখের উদ্দেশে। (বিস্তারিত পড়ুন-লাদাখে বিরাট সংখ্যক সেনা মোতায়েন, হেলিকপ্টার-কামানে সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধি ভারতের)

দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর নীচে পড়ুন

গালওয়ান নিয়ে বেজিংয়ের দাবি নস্য়াৎ ভারতের

india china ladakh, ভারত চিন, লাদাখ, chinese transgressions, ভারত, চিন, ভারত চিন অচলাবস্থা, ভারত চিন টানাপোড়েন, india china, india china standoff in ladakh, ladakh standoff, line of actual control standoff, india china border, indian express bangla ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

সীমান্তে সংঘাতের আবহে আবারও গালওয়ান উপত্য়কাকে নিজেদের অংশ বলেই দাবি জানাল বেজিং। গালওয়ান উপত্য়কা নিয়ে বেজিংয়ের দাবি নিয়ে ফের সরব হয়েছেন চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাউ লিজিয়ান। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, বেজিং বিষয়টি অতিরঞ্জিত করছে। এই দাবি মোটেই গ্রহণযোগ্য় নয়।

*টুইটারে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র দাবি করেছেন, ”ভারত-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের যে অংশ রয়েছে, তার মধ্য়েই অন্তর্ভুক্ত গালওয়ান উপত্য়কা”।

*এ প্রসঙ্গে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, ”বহু বছর ধরে চিনা বাহিনী এই অঞ্চলে টহল দিচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ভারতীয় বাহিনী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় গালওয়ান উপত্য়কায় একতরফা ভাবে রাস্তা, সেতু ও অন্য়ান্য় পরিকাঠামো তৈরির কাজ চালাচ্ছে”।

*এর আগে, গালওয়ান উপত্য়কা নিয়ে চিনের দাবি গত ১৬ জুন নস্য়াৎ করে ভারত। সেদিন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছিলেন, ভারতের অবস্থান স্পষ্ট। যা কিছু কার্যকলাপ করছে ভারত, তা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় নিজেদের অংশের মধ্য়েই করছে।

দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর নীচে পড়ুন

চিনের উপর চাপ সৃষ্টি করুন, মোদী সরকারকে বার্তা অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিবিদদের

publive-image সীমান্ত ঘিরে ইন্দো-চিন উত্তেজনা বাড়ছে

সীমান্ত ঘিরে ইন্দো-চিন উত্তেজনা বাড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা এনডিএ সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন প্রাক্তন কটনীতিকরা। তাঁদের মতে, এই পরিস্থিতিতে ভারতের উচিত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে বেজিংয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করা। নয়াদিল্লিকে চিনা নীতিও নতুন করে ভাবতে হবে বলে মনে করেন প্রাক্তন কূটনীতিবিদরা।

* গত অগাস্টে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ দারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ করেছিল চিন: প্রাক্তন কূটনীতিবিদ কে সি সিং

* 'ওই পদক্ষেপের ফলে আমাদের তিন প্রতিবেশী ক্ষুণ্ণ হয়েছে।'

* 'সতর্ক হওয়ার সেটাই ছিল উপযুক্ত সময়। কিন্তু, প্রথম সেই ইঙ্গিত আমরা বুঝতে ভুল করেছি।'

* 'এরপর আমেরিকায় হাইডি মোদী অনুষ্ঠান হয়। যার ফলশ্রূতি হিসাবে ভারতে আসেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি।'

* 'করোনা মহামারীর জন্য ট্রাম্প চিনকে দায়ী করেন। ভারত আমেরিকার ঘনিষ্ট।'

তবে, লাদাখে চিনা আক্রমণকে প্রেসিডেন্ট জিংপিংয়ের সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ বলেই মনে করেন কে সি সিং। তাঁর মতে, ‘মহামারীর পর চিনের অভ্যন্তরীণ আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতেই এই আগ্রাসন।’ অর্থনৈতিক মন্দা ঘিরেই ভারতের সঙ্গে চিনের বেশিরভাগ চুক্তি হয় হলে উল্লেখ করেন প্রাক্তন এই কূটনীতিক। তিনি জানান, ‘১৯৮৯ সালে তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের বিদ্রোহে বেজিংয়ের দেওয়ালে পীঠ ঠেকে গিয়েছিল। অর্থনীতির গতি হ্রাস পেয়েছিল। যার দরুন ১৯৯৩-৯৬ সালের চুক্তি দু’দেশের মধ্যে সম্পন্ন হয়।’Read in English

দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর নীচে পড়ুন

সীমান্তে পাক ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ

publive-image কাঠুয়ায় একটি পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স

শনিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় একটি পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ। ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমান্তে ওই ড্রোনটিকে গুলি করে নামানো হয়। ড্রোনটির মাধ্যমে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে জঙ্গিদের জন্য অস্ত্রশস্ত্র পাঠানো হচ্ছিল বলে মনে করছে বিএসএফ।

রাঠুয়া এলাকায় এদিন দেখা যায় ওই ড্রোন। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে পাকিস্তান থেকেই এসেছিল এই ড্রোন। গুলি করে নামানোর পর ওই ড্রোন থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র।

* কাশ্মীরের জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে খবর পেয়েই উপত্যকার বিভিন্ন অংশে অভিয়ান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী।

* গত কয়েকদিনে জঙ্গি দমনে বড়সর সাফল্যও মিলেছে।

* এই পরিস্থিতিতে জঙ্গিরা কিছুটা কোণঠাসা বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের হাতে অস্ত্রও কমেছে।

* অস্ত্রের যোগান দিতেই পাক ড্রোনের ব্য়বহার বলে সূত্র জানিয়েছে।

ড্রোনের মাধ্যমে এপারে অস্ত্র পাচারের পাক কৌশল এই প্রথম। বিগত কয়েক মাস আগেই অমৃতসরের কাছে উড়ান থেকে অস্ত্র ফেলা হয়েছিল। সেগুলোর কেউ দাবিদার ছিল না। অস্ত্রগুলো পাঞ্জাব পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে।

দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর নীচে পড়ুন

রথযাত্রা নিয়ে সুপ্রিম রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি

rath yatra ফাইল ছবি।

করোনা পরিস্থিতিতে এবার পুরীর ঐতিহ্য়শালী রথযাত্রায় স্থগিতাদেশর নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানালেন পুরী জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান সেবায়েত। তাঁর কথায়, ''এটা অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য়শালী ধর্মীয় অনুষ্ঠান''।

* বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় যে এই বছর পুরীর প্রাচীন এই ঐতিহ্য রথযাত্রা বন্ধ থাকবে।

*দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়েছে, ‘আমরা যদি রথযাত্রায় অনুমতি দিই, জগন্নাথদেব আমাদের ক্ষমা করবেন না’।

দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর নীচে পড়ুন

‘বিমান ভাড়ায় সরকারি লাগাম ২৪ অগাস্টের পরও জারি থাকতে পারে’

air, বিমান ফাইল ছবি।

বিমানভাড়ার ঊর্ধ্ব ও নিম্ন সীমার ক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত সময়কালের মেয়াদ ২৪ অগাস্টের পরও সম্প্রসারিত হতে পারে, এমন ইঙ্গিতই দিল কেন্দ্র সরকার। শনিবার অসামরিক বিমান পরিবহণ সচিব পি এস খারোলা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি কেমন থাকে, তার উপর ভিত্তি করে ২৪ অগাস্টের পরও বিমানভাড়ার ঊর্ধ্ব ও নিম্ন সীমা বলবত থাকতে পারে ।

* উল্লেখ্য়, ৩ মাসের জন্য় বিমানের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়া বেঁধে দিয়েছিল সরকার, যার সময়সীমা ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত।

*এ প্রসঙ্গে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পি এস খারোলা জানান, পরিস্থিতি কেমন থাকে, তার উপর ভাড়ার বিষয়টি দেখতে হবে”।

* উল্লেখ্য়, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে প্রায় ২ মাস ধরে দেশে বন্ধ ছিল বিমান পরিষেবা। এরপর গত ২৫ মে থেকে দেশে ঘরোয়া বিমান পরিষেবা শুরু করা হয়। তবে দেশে ঘরোয়া বিমান পরিষেবা শুরু হলেও এখনও বন্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা। আপাতত দেশে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। (বিস্তারিত পড়ুন-‘বিমান ভাড়ায় সরকারি লাগাম ২৪ অগাস্টের পরও জারি থাকতে পারে’)

দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর নীচে পড়ুন

পেনশন তহবিলে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব 

publive-image পেনশন তহবিলে বিদেশি বিনিয়োগে নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব

সীমান্ত উত্তেজনার মাঝেই পেনশন তহবিলে প্রতিবেশী সব দেশগুলোর প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব দিল অর্থমন্ত্রক। খসড়া অনুসারে, চিন সহ প্রতিবেশী দেশের কোনও সংস্থা এ দেশের পেলশন তহবিলে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হলে তা সরকারের অনুমতি সাপেক্ষ। প্রত্য বিদেশি বিনিয়োগের ধারায় সময় বিচারে তা খতিয়ে দেখে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

* এপ্রিল মাসেই ডিপিআইআইটি গাইডলাইন অনুযায়ী এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

* পাকিস্তান ও বাংলাদেশের তরফে ভারতের পেনশন তহবিলে বিনিয়োগের বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতির উপর নির্ভর করে।

* বিজ্ঞপ্তি জারির দিন থেকেই নিয়ন্ত্র কার্যকর হবে, অংশীদাররা খসড়ার উপর আগামী ৩০ দিন পর্যন্ত তাদের মতামত জানাতে পারবে।

গত সোমবারই লাদাখের গালওয়ানে ভারত-চিন সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ২০ ভারতীয় সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। তার মাঝে পেনশন তহবিলে প্রতিবেশী সব দেশগুলোর প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব দিয়েছে অর্থমন্ত্রক। ভারতজুড়ে এখন চিন বিরোধী আবেগ রয়েছে। দাবি উটেছে চিনা পণ্য বয়কটের। Read in English

দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর নীচে পড়ুন

ভারতীয় জওয়ানের হত্যায় নিন্দা প্রকাশ বিশ্বের, কূটনৈতিক জয় দেখছে নয়াদিল্লি

publive-image ভারত-চিন সংঘর্ষে নিহত ২০ সেনা জওয়ান

লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা সেনার আক্রমণে প্রাণ গিয়েছে ২০ ভারতীয় সেনাকর্মীর। চিনা আগ্রাসনে হতচকিত আন্তর্জাতিক মহল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, মালদ্বীপ প্রকাশ্যে চিনা আক্রমণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মৃত ভারতীয় সেনাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। চাপ বাড়ছে বেজিংয়ের উপর। তাই আগ্রাসনের মাত্রা বাড়িয়ে এবার চিনা বিদেশমন্ত্রীর দাবি, গালওয়ান উপত্য়াকা চিনের অংশ। তার আগে একই দাবি করেছিল চিনা সেনার পশ্চিম কমান্ড বাহিনীর মুখপাত্র।

* গত সোমবার রাতের চিনা হামলার পরপরকই একাধিক রাষ্ট্র ও তাদের হাই কমিশনের তরফে মৃত ভারতীয় সেনার প্রতি শ্রদ্ধা ও সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।

* সীমান্ত বিরোধ ঘিরে এর আগেই চিনা সেনাদের একই পদক্ষেপ দেখা গিয়েছে বলে মনে করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

* মার্কিন বিদেশ দফতরের অতিরিক্ত সচিব ডেভিড স্টিলওয়েল বলেছেন, ‘হংকং ও ভারতের উপর চিনা পদক্ষেপ গঠনমূলক নয়।’

* ফ্রান্স, জার্মান, ব্রিটিশ, জার্মান ও মলদ্বীপের রাষ্ট্রদূতেরা ভারতীয় মৃত সেনা হত্যার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।

আর এতেই কূটনৈতিক সুবিধা দেখছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় কূটনীতিকদের মতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভারতীয় সেনাদের প্রাণহানীতে শোক প্রকাশ করেছে। স্পষ্ট হচ্ছে যে, ভারত পূর্বপরিকল্পিত চিনা আগ্রাসনের শিকার। আমেরিকা ও অন্যান্য দেশের চাপেই ভারতীয় সেনার হাতে মৃত চিনা সেনাদের সংখ্যা প্রকাশ করতে বাধ্য হবে বেজিং। Read in English

দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে

P Chidambaram rahul gandhi PM Narendra Modi
Advertisment