Advertisment

'সারেন্ডার মোদী', চিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে চরম কটাক্ষ রাহুলের

‘ কেউ আমাদের সীমান্ত টপকে দেশে ঢুকতেও পারেনি। আমাদের কোনও সেনা পোস্ট দখল হয়ে যায়নি।’ সর্বদল বৈঠকে দাবি করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
বৈঠকে রাজনাথ-সীমান্ত সুবিধায় এগিয়ে বায়ুসেনা-‘সারেন্ডার মোদী'-চিন সমস্যা আলোচনাতেই মেটার আশা পড়শি দেশের

নরেন্দ্র মোদী, রাহুল গান্ধী

লাদাখ ইস্যুতে ফের প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রীকে 'সারেন্ডার মোদী' বলে এদিন টুইট করেন কংগ্রেস সাংসদ। টুইটে রাহুল লেখেন, 'নরেন্দ্র মোদী প্রকৃত অর্থেই সারেন্ডার মোদী।'

Advertisment

লাদাখে চিনের আগ্রাসন নিয়ে শুরু থেকেই কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর বিরোধীরা রাজনৈতিক দলগুলো। সরব কংগ্রেসও। শুক্রবার লাদাখের গালওয়ানে চিনা আক্রমণ নিয়ে সর্বদল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে দেশবাসীকে আস্বস্ত করে তিনি বলেছেন,‘ কেউ আমাদের সীমান্ত টপকে দেশে ঢুকতেও পারেনি। আমাদের কোনও সেনা পোস্ট দখল হয়ে যায়নি।’ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে অসঙ্গতি রয়েছে বলে দাবি করে কংগ্রেস। শনিবারই সাংসদ রাহুল গান্ধী এনিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, 'আমাদের সেনা জওয়ানরা কেন নিহত হলেন? তাঁরা কোথায় শহিদ হলেন?'

এরপরই কেন্দ্রের তরফে বলা হয়,
* গত ১৫ জুন গালওয়ানে নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করতে মরিয়া ছিল চিনা সেনারা।
* চিনা সেনাদের বিরত করার চেষ্টা করা হলেও তা তারা গ্রাহ্য করেনি।
* নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনাদের কাঠামো তৈরি করতেও দেখা গিয়েছে।
* এর ফলেও ওইদিন ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কেন্দ্রের ব্যাখ্যা উড়িয়ে কংগ্রেস মনে করছে চিনের হাতে ভারতের অংশ তুলে দিচ্ছেন মোদি। কার্যত আত্মসমপ্রণ করছে নয়াদিল্লি। তার রেশ টেনেই এদিন জাপানি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে ‘সারেন্ডার’ মোদি নামে কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

ফের সীমান্তে ইন্দো-চিন সংঘর্ষের সম্ভাবনা

publive-image ১৫ জুন রাতের পর থেকে সীমান্তের পরিস্থিতি আমূল বদলে গিয়েছে।

রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যেকোনও মুহূর্তে ফের ঘটতে পারে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের ঘটনা। ১৫ জুন রাতের পর থেকে সীমান্তের পরিস্থিতি আমূল বদলে গিয়েছে। চরম উত্তেজনা রয়েছে সেখানে। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের সেনা। এই পরিস্থিতিতে যখন-তখন সংঘর্ষে জড়াতে পারে ইন্দো-চিন সেনাবাহিনী। প্রাক্তন সেনা কর্তাদের আশঙ্কা এমনটাই।

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ইন্দো-চিনা সেনা মুখোমুখি হলেও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না-করার নীতি এত দিন মেনে চলেছে ভারত। কিন্তু লাদাখের গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পরেই এই নীতি কতটা মানা হবে তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। ২০ জন সেনার মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফুঁসছে ভারতীয় বাহিনী। ফলে, চুক্তি ভেঙে উভয় দেশের বাহিনীর সংঘর্ষ জড়ানোর বিষয়টি ক্রমশ তীব্র হচ্ছে।

* দুই দেশের সেনার পক্ষেই এত দ্রুত বিরত হওয়া সম্ভব নয়। ফলে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়বে: প্রাক্তন সেনা প্রধান জেনারেল ভি পি মালিক
* 'দুই দেশের বাহিনী যখন চোখে চোখ দিয়ে দাঁড়ায় তখন উত্তেজনা, ক্রোধ প্রবল হয়। যার দরুন ছোট ছোট ঘটনা ঘিরেও বড় সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকে।'
* বিভিন্ন স্তরে দুই দেশের সেনা আলোচনায় সমাধানসূত্রে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা আর নেই বললেই চলে: প্রাক্তন সেনা প্রধান জেনারেল বিক্রম সিং
* 'কূটনৈতিক-রাজনৈতিক পথেই সমাধান আসতে পারে।'

জানা গিয়েছে, লাদাখের গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পরেই ‘রুল অব এনগেজমেন্ট’ বদলে ফেলেছে ভারত। সোমবার রাতের কথা মাথায় রেখে গালওয়ানে নজরদারি বাড়াচ্ছে ভারত। পাশাপাশি লাদাখ অঞ্চলে কমব্যাট পেট্রল চালু করেছে বায়ুসেনা। পাশাপাশি চিনা হামলার আশঙ্কায় সেনা মোতায়েন করা শুরু হয়েছে দারবুক-দৌলতবেগ ওল্ডি (ডিবিও) সড়ক নির্মাণের কাজে। Read in English

নেপাল-আফগানিস্থানের আশা আলোচনাতেই মিটবে ভারত-চিন সমস্যা

publive-image ইন্দো-চিন সীমান্ত উত্তেজনা

ইন্দো-চিন সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে মুখ খুললো ভারতের দুই প্রতিবেশী নেপাল ও আফগানিস্থান। দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বিশ্ব-শান্তি রক্ষায় ভারত-চিন শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মিটিয়ে ফেলবে বলে আত্মবিশ্বাসী এই দুই দেশ। গালওয়ান উপত্যাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সেনাবাহিনী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রাণ যায় ২০ ভারতীয় সেনা জওয়ানের। এই ঘটনার পর থেকে দিল্লি-বেজিংয়ের মধ্যে বিস্তর টানাপোড়েন চললেও ভারতের কোনও প্রতিবেশী কোনও মন্তব্য করেনি। এশিয়ার দুই মহাশক্তিধর রাষ্ট্রে দ্বন্দ্ব নিয়ে নেপাল ও আফগানিস্থানই প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া দিল।

* নেপাল আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তির পক্ষে: নেপালের বিদেশমন্ত্রী
* 'প্রতিবেশী মনোভাবের ভিত্তিতেই নেপালের দুই বন্ধু প্রতিবেশী ভারত-চিন বিরোধ মেটাবে বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী।'
* দুই দেশের সংঘাতে উদ্বিগ্ন। আশা করব বিরোধ মিটবে। আঞ্চলিক ও বিশ্ব-শান্তির প্রেক্ষিতে এই বিরোধ কাম্য নয়: আফগান বিদেশমন্ত্রী

এই দুই দেশ ছাড়া মলদ্বীপ নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা হামলায় ভারতের ২০ সেনা জওয়ানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শহিদ টুইটে মৃত ভারতীয় জওয়ানদের শ্রদ্ধা ও তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। Read in English

ইন্দো-চিন সীমান্ত সংঘাত মেটানোর প্রস্তাব ট্রাম্পের

publive-image মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা মেটাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওকলাহোমায় নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘খুব কঠিন সময় চলছে। ভারতের সঙ্গে কথা বলছি আমরা। চিনের সঙ্গেও কথা হচ্ছে। বেশ বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে দু’পক্ষ। দেখছি কী করা যায়। এই পরিস্থিতির ওদের সমস্যা সমাধানে সবরকম সহায়তার চেষ্টা করব।’

লাদাখের গালওয়ানে ইন্দো-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চরম উত্তেজনা রয়েছে। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দু’দেশের সেনা। যেকোনও মুহূর্তে ফের সংঘাত ঘটতে পারে। নিয়ন্ত্রণরেকা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনার অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে মে মাসের গোড়া থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা ছিলতার মধ্যেই লাদাখে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ভারতীয় জওয়ানরা। তাতে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান প্রাণ হারান। চিনের তরফেও বহু হতাহত হয়েছে বলে দাবি করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ফলে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে।ে

* এর আগে ভারতীয় সেনার প্রতি হামলার জন্য চিনের নিন্দা করেছে আমেরিকা।
* মার্কিন বিদেশ সচিব প্রবল সমালোচনা করে বেজিংয়ের।
* চিনকে ‘দুর্বৃত্ত’ বলে সম্বোধন করেছেন মাইক পম্পেও।
* রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য ল্যান্স গুডেনও চিনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেছেন।

‘প্রসিডেন্ট ভারত-চিন গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।’ বিবৃতি প্রকাশ করে গত সপ্তাহেই জানান হোয়াইট হাউস প্রেস সচিব কে ম্যাকেনানি। গত ২রা জুন মোদী-ট্রাম্প ফোনে কথা হয়। সেখানেও দুই রাষ্ট্রনেতার ইন্দো-চিন সীমান্ত বিরোধ নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান ম্যাকেনানি।

'মানচিত্র বিতর্কে সার্বভৌমত্ব-সাম্য বজায় রেখে কাঠমান্ডুর সঙ্গে আলোচনা করুক দিল্লি'

publive-image পুষ্প কমল দাহাল

আলোচনার মাধ্যমে ভারতর সঙ্গে বিরোধ সমাধানে আগ্রহী নেপাল। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কো-চেয়ারম্যান পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচন্ড। তাঁর কথায়, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব, সাম্য ও পারস্পরিক সম্মানের’ উপর ভিত্তি করে এই আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় কাঠমান্ডু।

শুক্রবার চিনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগ ও নেপাল কমিউনিস্ট দলের স্কুল ডিভিশনের যৌথ উদ্যোগে এক আলোচনাসভায় ভিডিও বার্তা দেন প্রচন্ড। সেখানেই তিনি বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব, সাম্য় ও পারস্পরিক সম্মান-বোঝাপড়ার উপর ভিত্তি করেই আলোচনার মাধ্যমে নেপাল বন্ধু রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিরোধ মেটাতে আগ্রহী।’

* প্রচন্ডের কথায় ভারতের উল্লেখ ছিল না।
* কিন্তু, মানচিত্র বিতর্ক ঘিরে ভারতের সঙ্গে নেপালের বিরোধের প্রেক্ষিতেই নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কো-চেয়ারম্যান এই মন্তব্য করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
* বর্তমান সভ্য সমাজে জবরদস্তি-হুমকি দিয়ে দুই বা একাধিক দেশের মধ্যে বিরোধ সমস্যার সমাধানের কোনও জায়গা নেই: প্রচন্ড

তবে, চিনের সঙ্গে অতিরিক্ত সখ্যতা ঘিরেও নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। প্রচন্ডের কথায়, ‘কাঠমান্ডু-বেজিং সম্পর্ক ঝঞ্ঝাটহীন ও সময়ের প্রেক্ষিতে বিচার্য।’ চিনের সঙ্গে তাইওয়ানের শান্তিপূর্ণ অন্তর্ভুক্তি ও বেজিংয়ের’ওয়ান চায়না’ নীতির পক্ষে নেপাল বলে এদিন জানান প্রচন্ড।

দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে

PM Narendra Modi rahul gandhi india china standoff
Advertisment