ইন্দো-চিন সীমান্তে জট কাটাতে দু'দেশের কূটনৈতিক স্তরের বৈঠকে ইতিবাচক সাড়া মিলল বলেই জানা যাচ্ছে। এদিকে, ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনার আবহেই এদিন মস্কোয় রাশিয়ার ৭৫তম বিজয় দিবসের প্যারেডে অংশ নিল ভারত ও চিনা সেনাবাহিনী। পাকিস্তানের চেয়েও চিন ভারতের জন্য বড় বিপদ বলে চাঞ্চল্য়কর তথ্য় মিলল এক সমীক্ষায়। অন্য়দিকে, রীতিমতো রেকর্ড গড়ে দিল্লিতে পেট্রোলের দামকে ছাপিয়ে গেল ডিজেল। দেশের এমনই সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এক এক করে...
ভারত-চিন কূটনৈতিক বৈঠক 'সদর্থক'
ইন্দো-চিন সীমান্তে জট কাটাতে দু'দেশের কূটনৈতিক স্তরের বৈঠকে ইতিবাচক সাড়া মিলল বলেই জানা যাচ্ছে। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এলাকায় সেনা সরানোর বিষয়টিতে দু'দেশের কূটনীতিকরাই সম্মত হয়েছে বলে খবর। উল্লেখ্য়, গতকাল দু'দেশের কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকেও সেনা সরানো নিয়ে ঐক্য়মত মিলেছিল।
* ভারত-চিন সীমান্ত ইস্য়ুতে ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসাল্টেশন অ্য়ান্ড কোঅর্ডিনেশনের(ডব্লিউএমসিসি)বৈঠকে পূর্ব লাদাখ নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলেছে ভারত। গত ১৫ জুনের ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
* এদিন বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত-চিন দু'পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার মর্যাদার বিষয়টিতে জোর দিয়েছে।
*ভারত-চিন সীমান্তে জট কাটাতে দু'দেশই কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে বলে জানাল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক।
* এদিকে, গালওয়ান উপত্য়কা নিয়ে আবারও নিজেদের দাবির ব্য়াপারে সোচ্চার হয়েছেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ''গালওয়ান উপত্য়কার সার্বভৌমত্ব চিনের। বহু বছর ধরে ওই এলাকায় টহলদারি করছে চিনা সেনা''। (Read in English)
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
রাশিয়ার বিজয় দিবসের প্যারেডে পাশাপাশি ভারত-চিনের সেনা
সীমান্তে ইন্দো-চিন সেনা সংঘর্ষে উত্তেজনা রয়েছে। তারই মাঝে এদিন মস্কোয় রাশিয়ার ৭৫তম বিজয় দিবসের প্যারেডে অংশ নিল ভারত ও চিনা সেনাবাহিনী। প্যারেড দেখতে হাজির ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। দর্শক আসনে ছিলেন চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেরারেল ইউ ফেঙ্গেও। সরকারি আধিকারিকরা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, প্যারেড দেখতে দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থাকলেও তাঁদের মধ্যে কোনও কথা হয়নি।
টুইটারে এদিন রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, 'রাশিয়ার বিজয় দিবসের প্যারেডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানরা অংশ নেওয়ায় আমি গর্বিত।'
* দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েতের জয় পায়।
* সেই জয়কেই বিজয় দিবস বলে পালন করে রাশিয়া।
* বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি বধের এবার ৭৫তম বর্য উদযাপন।
* বিজয় প্যারেডে ভারত ছাড়াও আরও ১১ দেশের সেনা বাহিনীও অংশ নেয়।
গত ১৫ জুন রাতে গালওয়ানে ভারত-চিন নিয়ন্ত্রণরেখায় দুই দেশের সেনা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয়. ২০ ভারতীয় সেনাকর্মীর। এরপরই সীমান্তে উত্তেজনার পারদ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তবে মঙ্গলবারের উভয় রাষ্ট্রের সেনা পর্যায়ের বৈঠকে স্থির হয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দু'দেশই সেনা সংখ্য়া কমাবে। এদিকে লাদাখ ইস্যু নিয়ে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেছেন, 'ভারত-চিন নিজেরাই নিজেদের সমস্য়া মেটাতে পারবে। অন্য কারও সাহায্যের প্রয়োজন হবে না'। উল্লেখ, ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা মেটানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। Read in English
দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
চলতি বছরে ভারতীয় অর্থনীতি সংকুচিত হবে ৪.৫ হারে: আইএমএফ
করোনার ধাক্কায় ভারতের অর্থনীতি কার্যত ঝিমোচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আইএমএফ) পূর্বাভাসে দেশের আর্থিক মন্দার ছবি প্রকট হচ্ছে। বুধবার আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে ভারতীয় অর্থনীতি সংকুচিত হবে ৪.৫ শতাংশ করে, যা 'ঐতিহাসিক'।
* আইএমএফের তরফে বলা হয়েছে, করোনায় লকডাউনের জেরে ভারতে অর্থনীতি ৪.৫ শতাংশ হারে সংকুচিত হবে। এপ্রিলে যা আন্দাজ করা হয়েছিল, তার থেকেও কম।
* তবে, ২০২১ সালে ভারতীয় অর্থনীতি ৬ শতাংশ হারে ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে আইএমএফ। (Read in English)
দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
পাকিস্তান নয়, চিনই বড় বিপদ, সমীক্ষায় মত অধিকাংশ ভারতবাসীর
প্রতিবেশীদের মধ্যে ভারতের পক্ষে বড় বিপদ কে? এবিপি-সিভোটারের সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী দেশবাসীর মধ্যে ৬৮ শতাংশই মনে করেন পাকিস্তানের চেয়েও চিন ভারতের জন্য বড় বিপদ। ইন্দো-চিন সীমান্ত বিরোধের জন্য করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বহীনতাকেই দায়ী করেছে বিরোধী রাজনৈতিকদলগুলি। তবে, জাতীয় নিরাপত্ ইস্যুতে সমীক্ষার ফলাফল নরেন্দ্র মোদীকে স্বস্তি দেবে। সমীক্ষায় প্রকাশ, জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ৭২.৬ শতাংশ দেশবাসী মোদীর নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল।
গালওয়ান সংঘর্ষের জবাব দিতে ভারত সরকারের পদক্ষেপ কী যথাযথ? এবিপি-সিভোটারের সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৬০ শতাংশ মনে করেন মোদী সরকারের পদক্ষেপ উপযুক্ত নয়। ৩৯ শতাংশ মনে করেন কেন্দ্রের ভূমিকা সদর্থক।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এনডিএ সরকারের উপর ভরসা রেখেছেন ৭৩.০৬ শতাংশ ভোটার। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ১৬.০৭ শতাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষে। উদ্ভূত অবস্থা মোকাবিলায় বিজেপি বা বিরোধী দল- কোনও তরফের প্রতিই আস্থাশীল নন ৯.৬ শতাংশ মানুষ।
* নরেন্দ্র মোদী নাকি রাহুল গান্ধী? প্রশ্ন ছিল এবিপি-সিভোটারের সমীক্ষায়
* সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৬১ শতাংশই বলেছেন রাহুল গান্ধীর প্রতি 'আস্থা নেই'
* ১৪.৪ শতাংশ জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে কংগ্রেসের উপর আস্থাশীল বলে জানিয়েছেন।
লাল সেনার হামলার পর থেকে দেশের মধ্যে চিনা পণ্য বয়কটের দাবি উঠেছে। ভারবাসীর কী সত্যিই চিনা পণ্য বয়কট করা উচিত? সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৬৮ শতাংশই মনে করেন চিনা পণ্য বয়কট করা প্রয়োজন। তবে, ৩১ শতাংশ বয়কটের বিরুদ্ধে। Read in English
দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
ভারতের বন্দরগুলিতে শুল্ক বিপত্তির মুখে চিনা পণ্য
ইন্দো-চিন সীমান্তে উত্তেজনা। দেশের অন্দরে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই চিন থেকে ভারতে আমদানিকৃত পণ্যে কাস্টমসের ছাড়পত্র মিলছে না বলে অভিযোগ। চেন্নাই ও মুম্বই বন্দরে ঘোর বিপাকে আমদানিকারীরা। তবে, কেন এই পরিস্থিতি তার কোনও কারণ কাস্টমস বা অপ্রত্যক্ষ কর বোর্ডের তরফে ব্যাখ্যা করা হয়নি।
চিন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ছাড়পত্র পেতে যে দেরি হবে তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। তবে, এর নির্দিষ্ট কারণ বলা হয়নি এখনও। চেন্নাইয়ের এক আমদানিকারীর কথায়, ‘কাস্টমস অফিসারদের নির্দেশ, চিনা পণ্যে কন্টেনার দেওয়া যাবে না। এমনকী তা ক্লিয়ারেন্সের জন্য আউট অফ চার্জ অর্ডার পেলেও করা যাবে না।’ উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্যে ক্লিয়ারেন্স পেতে অনেকগুলিস্তর পেরতে হয়। নজরদারির সময় কোনও অসামঞ্জস্যতা না মিললে তবেই সেই পণ্যের উপর আউট অফ চার্জ অর্ডার পাওয়া যায়।
* চেন্নাই বন্দরে কাস্টমসের এর অফিসার জানিয়েছেন, চিনা থেকে আমদানিকৃত বেশকিছু পণ্যকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে।
* পুরো বিষয়টি অপ্রত্যক্ষ কর বোর্ড ও অর্থমন্ত্রকের কাছে ই-মেইল করে জানতে চাওয়া হয়েছে।
* কিন্তু, এখনও কোনও জবাব না আসায় সমস্য়া রয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য ভারতে মোট আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে ১৪ শতাংশই চিন থেকে হয়ে থাকে। Read in English
দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
রাজধানীতে পেট্রোলের চেয়েও মহার্ঘ ডিজেল
রেকর্ড, দিল্লিতে পেট্রোলের দামকে ছাপিয়ে গেল ডিজেল। টানা ১৮দিন ডিজেলের দাম বাড়ল। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি জানিয়েছে, এর আগে নাগারে ১৭ দিন পেট্রলের দাম বাড়লেও এদিন আর তা বাড়েনি। বুধবার ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৪৮ পয়সা বেড়েছে। এদিন দিল্লিতে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৭৯.৮৮ টাকা। অন্যদিকে, পেট্রোলের দাম ৭৯.৭৬ টাকা। কলকাতায় নিটার প্রতি ডিজেলের দাম ৭৫.০৬ টাকা ও পেট্রলের দাম ৮১.৪৫ টাকা।
রাজধানীতে প্রতি লিটার জ্বালানিতে ৩ টাকা করে আবগারি শুল্ক বাড়ায় আগেই বেড়েছিল। করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের পর রাজস্বকে বৃদ্ধির তাগিদে মে মাসে পেট্রোলে প্রতি লিটারে ১০ টাকা ও ডিজেলে প্রতি লিটারে ১৩ টাকা করে আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছে কেন্দ্র। এই জেরেই দিল্লিতে ডিজেলের দাম পেট্পরলের তুলনায় বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
* করোনা সংক্রমণের জেরে টানা ৮২ দিন জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ বন্ধ ছিল।
* লকডাউনে জ্বালানির চাহিদা খুবই কম ছিল।
* আনলক ওয়ান থেকে ফের প্রতিদিন তেলের মূল্য নির্ধারণ শুরু হয়েছে।
* প্রতিদিন নিয়ম করে বাড়ছে জ্বালানির দাম।
সাম্প্রতিক অতীতে ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর জ্বালানির মূল্য সব থেকে বেশি ছিল। ওই দিন পেট্রল ও জিজেলের দাম ছিল লিটার প্রতি ৮৪ টাকা ও ৭৫.৬৯ টাকা। জ্বালানির উপর থেকে শুল্ক কমাতে বাধ্য হয় সরকার। Read in English
দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে