'অতিস্বল্প সময়ের নোটিস', ভেবে দেখছে ভারত

কর্তারপুরকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান ফের 'সদিচ্ছার মরীচিকা' তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করছে কেন্দ্র।

কর্তারপুরকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান ফের 'সদিচ্ছার মরীচিকা' তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করছে কেন্দ্র।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কর্তারপুর করিডর

২৯ জুন খুলছে কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বার। শনিবারই সেকথা ভারতকে জানিয়েছে পাকিস্তান। দিল্লির দাবি 'অতিস্বল্প সময়ের নোটিস' দিয়ে সেকথা জানিয়েছে ইসলামাবাদ। তবে পুরো বিষয়টি ভেবে দেখা হচ্ছে। কর্তারপুরকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান ফের 'সদিচ্ছার মরীচিকা' তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করছে কেন্দ্র।

Advertisment

বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর তাবা। এই আবহে গত মার্চ মাসে কর্তারপুর করিডর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। শনিবার পাকিস্তানের তরফে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি ভারতকে জানানো হয় যে, মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ২৯ জুন গুরুদ্বার খোলা হবে।

* কুরেশি টুইটে জানিয়েছেন, ‘পৃথিবীর সর্বত্র ধর্মীয়স্থান খুলে দেওয়া হচ্ছে। ভারকে জানাতে চাইবো ২৯ জুন থেকে কর্তারপুর গুরুদ্বার খুলতে প্রস্তুচি চূড়ান্ত। মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ওই দিনই গুরুদ্বার খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
* করোনা মহামারীর কারণে গত মার্চ থেকে এই গুরুদ্বারে যাওয়ার জন্য সব রেজিস্ট্রেশন বাতিল রেখেছে ভারত।
* গত বছর ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক কর্তারপুর করিডোরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisment

দ্বিপাক্ষিক ক্ষেত্রে অন্তত সাতদিন আগ এক দেশ অন্য দেশকে নোটিস দিয়ে বিভিন্ন বিষয় জানায়। তার ভিত্তিতেই পূর্ণার্থীদের নাম নথিভুক্ত করণের কাজ চালু করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে মাত্র দু'দিন আগে পাকিস্তানের তরফে দিল্লিকে গুরুদ্বার খোলার কথা জানানো হয়। তাই বারত মনে করছে স্বল্পসময়ের নোটিস দিয়ে ইসলামাবাদ আসলে 'সদিচ্ছার মরীচিকা' তৈরির চেষ্টা করছে। চুক্তি অনুযায়ী রাভি নদীর উপর এখনও সেতু গঠন করেনি পাকিস্তান। তাই ভক্তদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

গত সেপ্টেম্বরেই প্যাংগংয়ে ইন্দো-চিন সেনা সংঘর্ষ হয়েছিল

publive-image প্যাংগংকে কেন্দ্র করে ভারত-চিন উত্তেজনা।

প্যাংগং টিএসও-তে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করছে চিনা বাহিনী। ফিঙ্গার ৪-এ হেডিপ্যাড বানানোর সঙ্গে সঙ্গে প্যাংগং টিএসও-র দক্ষিণে হঠাৎই সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে লাল ফৌজ। প্যাগংকে কেন্দ্র করে গত বছর সেপ্টেম্বর থেকেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ২০১৯ সালের অগাস্টে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। লাদাখকে পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই চিনের নজরে প্যাংগং।

* ২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর চিনা বাহিনীর আগ্রাসী রূপ প্রকাশ্যে আসে।
* প্যাংগং হ্রদের উত্তরে ফিঙ্গার ৮-এর দিকে নজরদারির জন্য ভারতীয় বাহিনীকে যেতে বাধা দেয় লাল ফৌজ।
* ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে পিপলস লিবারেশন আর্মির আটটি সাজোঁয়া গাড়ি ফিঙ্গার ৪-এ আসে।
* ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে লাল ফৌজের তীব্র কথা আদান-প্রদান হয়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়ায় দুই দেশের সেনা।
* সংঘর্ষে ভারতের ১০ সেনাকর্মী ও আইটিবিপি জওয়ান জখম হয়।
* প্যাংগং লেকে ভারতীয় সেনার তিনটি নৌকা ভাঙে দেয় চিনা বাহিনী।
* পাল্টা হিসাবে ভারতীয় সেনারাও চিনের দু’টি নৌকা ভাঙে।

কিন্তু, দেশের সুরক্ষায় ভারতীয় বাহিনীর কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নজরদারি চালানো ছিল একান্ত জরুরি। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাই সেখানে পৌঁছতে বিকল্প রুটের সন্ধান চালায়। ফিঙ্গার ৪-এর পিছন দিক দিয়ে ফিঙ্গার ৮-এর দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে এ দশের বাহিনী। যার প্রবল প্রতিবাদ জানায় চিন। ওই এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। যার ফলশ্রুতি চলতি বছর মে মাসের ৫-৬ তারিখের সংঘর্ষ। এরপর থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে ইন্দো-চিন সেনাবাহিনী। Read in English

পিটিআই-য়ের খবর জাতীয় স্বার্থ মেনে হয় নয়: প্রসার ভারতী

publive-image পিটিআই-য়ের সঙ্গে সম্পর্ক পর্যালোচনার পথে প্রসার ভারতী

সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) প্রকাশিত খবর ‘জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকারক এবং ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ক্ষুণ্ণ করে।’ পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছে প্রসার ভারতী। ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনা চরমে। এই প্রেক্ষিতে দিন কয়েক আগে ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূতের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে পিটিআই। তার পরিপ্রেক্ষিতেই পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে ‘জাতীয়বাদ বিরোধী’ তকমা দিয়েছে প্রসার ভারতী।

দূরদর্শন এবং অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রসার ভারতীর নিউজ সার্ভিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমীর কুমারের তরফে শনিবার পিটিআইয়ের মার্কেটিং প্রধানকে চিঠি দেওয়া হয়।

* চিঠির বিষয়বস্তু ছিল, ‘পিটিআই প্রকাশিত খবর জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।’
* ‘সামগ্রিকভাবে পিটিআইয়ের কার্যকলাপ বিবেচনায় করা হচ্ছে, সেই প্রেক্ষিতেই পিটিআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার প্রয়োজনীয়তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুত জানানো হবে: প্রসার ভারতী
* প্রসার ভারতীর চিঠি পেয়েছি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ খতিয়ে দেখে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে: পিটিআই

দিন কয়েক আগেই ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত সং ওয়েইডংয়ের সাক্ষাৎকার পিটিআই প্রকাশ করে। সেখানে নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষের জন্য ভারতকেই দায়ী করেছিলেন ওয়েইডং। ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা বাহিনীর অনুপ্রবেশ ও নির্মাণ নিয়ে অবশ্য কোনও মন্ত্রব্য করেননি চিনা রাষ্ট্রদূত। উল্লেখ্য, পিটিআইতে সাক্ষাৎকারেই ওয়েংডং গালওয়ান সংঘর্ষে চিনা ফৌজের মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করে নেন। Read in English

দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে

national news