/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/top-india-29-759-logo.jpg)
দেশের বড় খবর একনজরে।
ভারত-চিন সীমান্তে জট কাটাতে ফের আলোচনার টেবিলে বসছে দু'দেশ। মঙ্গলবার সকালে চুশুলে দু'দেশের কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক। এদিকে, নাম না করে রাহুল গান্ধীকে বিঁধলেন ভোপালের বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। অন্য়দিকে, অল পার্টি হুরিয়ত কনফারেন্স থেকে ইস্তফা দিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। দেশের এমনই সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ে নিন এক এক করে...
ভারত-চিন সীমান্ত জট কাটাতে কাল ফের কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/india-china-1-4.jpg)
ভারত চিন সীমান্ত জট কাটাতে ফের আলোচনার টেবিলে বসছে দু'দেশ। মঙ্গলবার সকালে চুশুলে দু'দেশের কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয়বার আলোচনার টেবিলে বসবেন দু'দেশের কমান্ডাররা।
*ভারতের পক্ষ থেকে বৈঠকে থাকবেন ১৪ কোরের কমান্ডার লেফট্য়ানেন্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। চিনের পক্ষ থেকে থাকবেন দক্ষিণ শিনজিয়াং মিলিটারি রিজিয়ন কমান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন।
* উল্লেখ্য়, গত ২২ জুন আলোচনায় বসেছিলেন জুনিয়র মিলিটারি কমান্ডাররা। তারপর থেকে আর কোনও আলোচনা হয়নি।
*সীমান্ত বিবাদ মেটাতে এর আগে, দু’দেশের কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে ‘ঐক্যমত’ মেলে বলে সূত্র মারফত জানা যায়। সেনা সরানো নিয়ে দু’পক্ষের আলোচনায় ঐক্যমত মিলেছিল বলেও জানা গিয়েছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
প্রজ্ঞা উবাচ: বিদেশিনীর পুত্র কখনও দেশপ্রেমী হতে পারেন না
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/pragya-1.jpg)
'যে ব্যক্তির জন্মদাত্রী মা বিদেশিনী, তিনি কখনওই দেশপ্রেমী হতে পারেন না।' নাম না করেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ শানিয়েছেন ভোপালের বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর দেশপ্রেম নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। একই সঙ্গে 'বিদেশি' বিতর্কও উস্কে দিয়েছেন প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর।
রাহুল ও সোনিয়া গান্ধীকে আক্রমণের সময় চাণক্যের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন বিজেপি সাংসদ। প্রজ্ঞা বলেন, 'চাণক্য বলেছিলেন শুধু ভূমিপুত্রই দেশকে রক্ষা করতে পারে। যাঁর জন্ম বিদেশি মহিলার গর্ভে হয়েছে তিনি কখনওই দেশপ্রেমী হতে পারেন না।'
* ইন্দো-চিন সংঘর্ষ ইস্যুতে কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর কংগ্রেস
* প্রধানমন্ত্রীকে 'সারেন্ডার মোদী' বলে কটাক্ষ করেছেন রাহুল
* রাহুল বলেছেন, 'চিন ভারতের কোনও ভূমি অধিকার করেনি, প্রধানমন্ত্রীর এই কথায় চিনেরই সুবিধা হচ্ছে। সত্যিটা বলুন, চিন আমাদের ভূখণ্ড দখল করেছে।'
রাহুলের এই বক্তব্যকে তুলে ধরেই কংগ্রেসের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গেরুয়া শিবিরের সাংসদ প্রজ্ঞা। দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে সোনিয়া-রাহুলকে কটাক্ষ করেন তিনি। এর আগে, মহাত্মা গান্ধী হত্যাকারী নাথুরাম গডসের মাহাত্ম তুলে ধরে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। নাথুরাম সংক্রান্ত মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর রোষেও পড়েন ওই বিজেপি নেত্রী। Read in English
দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
আলোচনার মধ্যেই চূড়ান্ত সামরিক প্রস্তুতি দিল্লির
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/border-1.jpg)
সীমান্ত উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। উত্তেজনা প্রশমনে ভারত-চিন সেনা ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনাও জারি রয়েছে। যা নিরবিচ্ছিন্নভাবে জারি রাখার পক্ষেই নয়াদিল্লি। তবে, এর মাঝেও চিনের আগ্রাসী কার্যকলাপ উদ্বেগ বাড়িয়েছে। যার মোকাবিলায় প্রয়োজনে ‘সামারিক জবাব’ দেওয়ার জন্যও প্রস্তুত থাকা উচিত বলে মনে করছে ভারত। ইতিমধ্যেই উচ্চ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহরও দেওয়া হয়েছে।
* লাল ফৌজের আগ্রাসী মনোভাব ক্রমশ বেড়ছে।
* এ জন্যই সামরিক জবাবের জন্য প্রস্তুত থাকার সংকল্প নেওয়া হয়েছে।
* চিনা সেনাদের মুখে ও কাজে বিস্তর অমিল।
* সেনা সরানোর বদলে নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা ও সমরাস্ত্র মজুত বাড়াচ্ছে চিন।
* গালওয়ান উপত্যকায় নতুন করে চিনের আরও বেশ কয়েকটি সেনা ছাউনির গড়ে উঠেছে।
* ভারতীয় বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণরেখায় টহল দিতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ দিল্লির।
শীর্ষস্তরের সূত্র দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে একথা জানিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত এক আমলা জানান, ‘ভারত উত্তেজনার বাড়বাড়ন্ত চায় না। কিন্তু, চিনের সঙ্গে আপোস করাও সম্ভব নয়। পিছিয়ে যাওয়ার বদলে ওদের মুখোমুখি হতে হবে।’ সামরিক সংঘর্ষের পরিণতি কী হতে পারে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হয়েছে? এ ই প্রশ্নের জবাবে আমলা বলেছেন, ‘পরণতি কী তা আগে থেকে ভাবলে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। সরকারের এটাই দৃষ্টিভঙ্গি।’ Read in English
দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
ভিসা লঙ্ঘনের অপরাধে দেশে ফেরার পথে ধৃত ২৬ বাংলাদেশি
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/bangladeshi.jpg)
পর্যটন ভিসায় এ দেশে এসে আয়-উপার্জ চালানোর অপরাধে আসামে ধৃত ২৬ বাংলাদেশি। লকডাউনে দেশে ফেরার পথে ধুবড়ী থেকে এই বাংলাদেশিদের গ্রেফতার করা হয়।
আসাম পুলিশের অভিযোগ, পর্যটনের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে এই ২৬ জন বারতে প্রবেশ করে। কিন্তু, জোরহাট, গোলাঘাটা, শিবসাগর জেলায় এরা ক্ষেত, মাছ ধরার কাজ করেছেন। এতেই টি-১ ভিসার শর্ত লঙ্ঘিত হয়েছে। ২রা মে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউনে দুটি মিনি বাসে করে উত্তর আসাম থেকে এরা বাংলার কোচবিহার সীমান্তে আসেন। চ্যাংড়াবান্ধা দিয়ে বাংলাদেশে ফেরার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
* ৩ মে বাহালপুরে এই বাংলাদেশিদের গ্রেফতার করা হয়।
* প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় তাদের।
* ভিসা লঙ্ঘনের অভিযোগে ৫ মে ২৬ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করে পুলিশ।
বর্তমানে ধুবড়ীতে জেলবন্দি ধৃত বাংলাদেশিরা। গত শুক্রবার মামলাটি বিলাসীপাড়া মহকুমা আদালতে ওঠে। আগামী ৬ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি। Read in English
দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
হুরিয়াত কনফারেন্স থেকে ইস্তফা সৈয়দ গিলানির
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/gilani.jpg)
অল পার্টি হুরিয়াত কনফারেন্স থেকে ইস্তফা দিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। সোমবার এক অডিও বার্তায় ৯০ বছরের এই নেতা বলেছেন, 'দলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিচার করে হুরিয়ত কনফারেন্স থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম। দলকে সবিস্তারে চিঠিও পাঠিয়েছি।'
গিলানি জানিয়েছেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হুরিয়ত কনফারেন্স। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের পরও কেন নীরব ছিলেন তিনি ও দলীয় নেতারা তা নিয়েও বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। দায় তাঁর কাঁধেই বর্তেছে। তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই কারণেই তার পদত্যাগ।
* হুরিয়াত কনফারেন্সের আজীবন চেয়ারম্যান ছিলেন সৈয়দ আলি গিলানি।
* ১৯৯৩ সাল থেকে দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী এই নেতা।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের হুরিয়াত নেতাদের কার্যকলাপ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন গিলানি। ইস্তফাপত্রে তার উল্লেখও করেছেন। উল্লেখ্য, উপত্যাকায় বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্বে থেকেছেন গিলানি। Read in English
দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
ঘিঞ্জি মুম্বইকে ফাঁকা করতে বিহার-উত্তরপ্রদেশে পরিকাঠামো তৈরি হোক: শিবসেনা
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/shivsena.jpg)
মহারাষ্ট্রজুড়ে করোনার প্রদুর্ভাব। সংক্রমণের রমরমা মুম্বইতে। সংক্রমণ রুখতে বাণিজ্যনগরী মুম্বইকে ফাঁকা করার কথা বলেছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নীতিন গদকরি। এবার সেই আবেদনের জন্যই একদা শরিক দল শিবসেনার তোপে কেন্দ্রীয় সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রী। শিবসেনা মুখপাত্র সামনায় বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের মতো রাজ্যে মুম্বই ও পুনের ধাঁচে স্মার্ট সিটি তৈরি করা হলেই বাণিজ্যনগরীর লোকসংখ্যা অনেক কমে যাবে।
সামনায় উল্লেখ, লকডাউনে প্রায় দেড় লক্ষ পরিয়ায়ী শ্রমিক নিজেদের বাড়ি ফিরে গেলেও কাজ না মেলায় তারা ফের মহারাষ্ট্রে ফিরতে চাইছেন। শিবসেনার অভিযোগ, 'দেশের অর্থনীতিতে মুম্বই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখলেও করোনা মোকাবিলার মহারাষ্ট্র বা মুম্বই পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় আর্থিক সহায়তা পায়নি।'
* গড়করি গত মাসেই বলেছিলেন যে, 'করোনা রোধে ঘিঞ্জি মুম্বইকে ফাঁকা করা প্রয়োজন।'
* 'মুম্বইয়ের লোকসংখ্যা না কমলে ফল মারাত্মক হবে।'
শিবসেনা নেতৃত্বের মতে, বিভিন্ন রাজ্যে কর্মসংস্থান তৈরি হলেই মুম্বইয়ে লোকসংখ্যার চাপ কমে যাবে। পিছিয়ে পড়া উত্তরপ্রদেশ, বিহারে কাজ মেলার কারণেই ফের মহারাষ্ট্রে পরিয়ায়ী ফিরতে শুরু করেছেন বলে দাবি মহারাষ্ট্রের শাসক জোটের অন্যতম দল শিবসেনার। ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার স্মার্ট সিটি মিশনের সূচনা করে। সেই পরিকল্পনার কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে