/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/07/modi-kovind-1.jpg)
রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী মোদী।
রবিবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গালওয়ান সংঘর্ষ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকস্তরে তার গুরুত্ব সমন্ধে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দকে মোদী জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
শুক্রবারই আচমকাই লে-তে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী। কথা বলেন চিনা ফৌজের হাতে জখম ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সঙ্গে। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষে নিহত সেনা কর্মীদের প্রতিও। তারপর এদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মোদীর সাক্ষাৎ বেশগুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
* মে মাস থেকেই ভারত-চিন সীমান্ত ঘিরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
* ১৫ জুন গালওয়ানে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
* নিহত হন ২০ জন ভারতীয় সেনা কর্মী।
* লে থেকে নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা দেন মোদী।
* 'বিস্তারবাদের যুগ শেষ, ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত বিস্তারবাদীরা হারিয়ে গিয়েছে, নয়তো অবস্থান পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে'
* 'সাহস ও শক্তিই শান্তি প্রতিষ্ঠার পূর্ব শর্ত'
* 'প্রতিবার আক্রমণের শেষে ভারত শক্তিশালী হয়েছে'
* ভারতের শান্তি রক্যার প্রতি দায়বদ্ধতা তেন তার দুর্বলতা বলে বিবেচিত না হয়: মোদী
গত ৯ সপ্তাহ ধরে পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সেনার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। উত্তেজনা প্রশমণে এখনও পর্যন্ত সেনার কমাডান্ট পর্যায়ে তিন বার আলোচনা হয়েছে। চলছে কূটনীতিকস্তরেও আলোচনা। তবে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। ফলে নিয়ন্ত্রণরেখায় আগামী বেশ কয়েকমাস এইভাবেই সুরক্ষা দিয়ে যেতে হবে বলে মনে করছে ভারতীয় সেনা। শীত পড়তে আর বেশি দেরি নেই। তাই দীর্ঘ দিন সেনা মোতায়েনই বড় চ্যালেঞ্জ ভারতের। Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
দীর্ঘ দিন সেনা মোতায়েনই বড় চ্যালেঞ্জ ভারতের
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/07/army-1.jpg)
‘অপেশাদাররা কৌশল নিয়ে আলোচনা করে। পেশাদাররা রসদ নিয়ে আলোচনা করে।’ সেনাবাহিনীতে এই প্রবাদ জনপ্রিয়। এই প্রবাদকে মনে রেখেই এখনই ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বাহিনী মোতায়েন কীভাবে হতে পারে তার বিবেচনা করছে ভারতীয় সেনা। শীতে নিয়ন্ত্রণরেখার প্রত্যন্ত এলাকায় কীভাবে বাহিনী মোতায়েন হবে আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যেই তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে হবে সেনাকে।
* ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রচণ্ড শীতে নিয়ন্ত্রণরেখায় কর্তব্যরত সেনার কাছে রসদ কীভাবে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব তার উপর নির্ভর করছে পুরো পরিকল্পনা। নর্দান কমান্ডের দায়িত্বে থাকা সেনা বাহিনীর এক আধিকারিক, সানডে এক্সপ্রেসকে জানান, ‘আরও উচ্চতায় দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে সেনা মোতায়েন করতে হলে রসদ পৌঁছানোর বিষয়টি সেনার কাছে চ্যালেঞ্জের হবে। রসদ তৈরি থেকে সরবরাহ- পুরো বিষয়টির উপরই সেনা মোতায়েন নির্ভর করছে। বর্তমানে যেখানে সেনা মোতায়েন রয়েছে তা নিয়ে কোনও চিন্তা থাকার কথা নয়। কিন্তু, শীতে আরও উচ্চতায় ও দুর্গম অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করতে হলে তার পরিকল্পনা আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যেই করতে হবে।’
* রসদ যোগানের পাশাপাশি আরও একটা বড় সমস্যা হল, মাইনাস ২৫ ডিগ্রি ঠান্ডায় থাকার জন্য বাহিনীর বিশেষ কাপড়। এত কাপড়ের যোগান কীভাবে অতি অল্প সময়ে হওয়া সম্ভব তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। এছাড়া রয়েছে সেনা তাঁবুর বিষয়ও।
অ্যাডভান্স উইনটার স্টকিংয়ের মাধ্যমে গ্রীষ্মে সেনার কাছে রসদ পৌঁছানো হয়ে থাকে। মূলত জোজিলা রুটের মাধ্যমে শ্রীনগর থেকে লে পর্যন্ত ও মানালি রুট দিয়ে রসদ সেনার কাছে পৌঁছানো হয়ে থাকে। কিন্তু, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বরফ পড়ার কারণে এইসব রুট দিয়ে চলাচল অসমম্ভব হয়ে পড়বে। তাই অনেক উচ্চতায় বাহিনী মোতায়ের রাখতে চাইলে নভেম্বরের মধ্যে রসদ পৌঁছানোর কাজ এই দুই রুট দিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে বিবেচনা করেই বাহিনী মোতায়েন একান্ত প্রয়োজন। Read in English
পম্পেওর ফোন জয়শঙ্করকে, কেন?
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/07/Pompeo-Jaishankar-1.jpg)
গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারত-চিন উত্তেজনা অব্যাহত। ১৫ই জুন সীমান্ত সংঘর্ষের ফলে তা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সংঘর্ষে প্রাণ যায় ২০ ভারতীয় সেনার। সানডে এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে, নিয়ন্ত্রণরেখায় কমিউনিস্ট চিনের এই আক্রমণের পর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইকেল আর পম্পেও।
* সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ দিন আগে পম্পেও ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয় শঙ্করকে ফোন করেছিলেন। সংকটে দিল্লিকে সবরকম সহায়তার আশ্বস দেন মার্কিন বিদেশ সচিব। গত মার্চ থেকে পম্পেও ও জয়শঙ্করের মধ্যে অন্তত বার তিনেক কথা হয়েছে। তবে, গালওয়ান উপত্যকায় চিনা হামলার পর এই প্রথম তাঁদের মধ্যে ফোনে কথা হয়।
* সীমান্ত সংঘর্ষ প্রশমণের জন্য ভারত-চিন সেনা ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে কৌশলগত কারণেই তাই পম্পেও-জয়শঙ্কর ফোনালাপের বিষয়টি প্রকাশ্যে জানানো হয়নি বলে জানতে পারা গিয়েছে।
* ১৫ই জুন সীমান্ত সংঘর্ষের পর ১৭ই জুন গালওয়ান নিয়ে মুখ খোলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এক্ষেত্রে হোয়াইট হাইসের তরফে নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ নিয়ে শুধুমাত্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকা। জানিয়েছিল, ‘নিয়ন্ত্রণরেখায় ২০ ভারতীয় সেনাকর্মী নিহত হয়েছেন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সংবেদনা ব্যক্ত করি। ভারত-চিন দুই পক্ষই নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে বাড়তি সেনা সরানোয় সম্মত হয়েছে। আমরা শন্তিপূর্ণ সমাধানকে সমর্থন করছি।’
* গত ১০ দিনে অবশ্য ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ নিয়ে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে আমেরিকাকে। উল্লেখযোগ্যভাবে এর নেতৃত্বে রয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইকেল পম্পেও স্বয়ং। চিনা অ্যাপে দিল্লির নিষেধাজ্ঞা জারিকেও গত ১ জুলাই সমর্থন জানিয়েছে ওয়াশিংটন। পম্পেওর কথায়, ‘সিসিপি-র নজরদারি বন্ধে ভারত চিনা অ্যাপ ব্লক করেছে। এই পদক্ষেপ ভারতেপরর সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ। এচাছাড়াও এই পদক্ষেপ ভারতের সুরক্ষা ও অখণ্ডতা রক্ষার সহায়ক।’
* নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনার মাঝেই প্রকাশ্য ও ব্যক্তিগতস্তরে সাউথ ব্লককে দৃঢ় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে আমেরিকা। কার্যক্ষেত্রেও তার প্রমাণ মিলেছে। সানডে এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের ফলে নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনাদের কাঠামো নির্মাণের বিষয়টি দিল্লির কাছে স্পষ্ট হয়েছে।
গালওয়ান সংঘর্ষের আগে গত মাসের ২ তারিখ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী মোদী কথা বলেছিলেন। তারই ফলশ্রুতি পম্পেও-জয়শঙ্কর ফোনালাপ বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যাহারিক ক্ষেত্রেও সহযোগিতা নজরে এসেছে। Read in English
কানপুরের বিকাশকে ধরতে ১ লাখ ইনাম ঘোষণা পুলিশের
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/07/police.jpg)
কানপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিকাশ দুবের ঘনিষ্ঠকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বিকাশের খোঁজে কানপুরে তল্লাশির সময় গ্রেফতার করা হয় দয়াশঙ্কর অগ্নিহোত্রীকে। শুক্রবার ভোর-রাতে পুলিশের উপর হামলায় দয়াশঙ্কর প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে দাবি পুলিশের। তার কাছ থেকে দেশি বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। এদিকে, ৬০ মামলায় অভিযুক্ত বিকাশ দুবের হদিশ পেতে ইনামের নগদ বাড়াল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রশাসন। ৫০ হাজার থেকে টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে ১ লাখ কা হয়েছে।
* পুলিশের উপর হামলায় অভিযুক্ত বাকি ২০ অভিযুক্তকে ধরতেও ২৫ হাজার করে ইনাম ঘোষমা করেছে পুলিশ।
* বাকি অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি জারি রয়েছে।
* গত শুক্রবার কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে ধরতে গিয়ে নিহত ডেপুটি সুপার সহ আট পুলিশ কর্মী।
* কানপুরের চৌবেপুর থানা এলাকায় ডিক্রু গ্রামে পুলিশ ঢুকতেই তাঁদের লক্ষ্য করে শুরু হয় এলোপাথারি গুলি বৃষ্টি।
* এতেই মৃত্যু হয় ডেপুটি সুপার দেবেন্দ্র মিশ্র সহ তিন সাব-ইন্সপেক্টার ও চার পুলিশ কনস্টেবলের।
দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের জন্য ডিজিপি এইচ সি অবস্থিকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। Read in English
দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে