Advertisment

গান্ধী পরিবারের ৩ ট্রাস্টের বিরুদ্ধে তদন্ত-কুলভূষণ মামলায় নয়া মোড়-কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় নিহত বিজেপি নেতা-নীরব মোদীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

আজ কী ঘটল দেশে? আপডেটেড থাকতে আপনাকে যে খবর জানতেই হবে, দিনের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর এই প্রতিবেদনে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
India latest news, দেশের খবর, ভারতের খবর

দেশের খবর একনজরে।

রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন-সহ গান্ধী পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত তিন ট্রাস্টের বিরুদ্ধে এবার তদন্তের নির্দেশ দিল মোদী সরকার। এদিকে, মৃত্য়ুদণ্ডের সাজা পুনর্বিবেচনার জন্য় রিভিউ পিটিশন দায়েরের বদলে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাতে চান কুলভূষণ, এমন দাবিই করেছে পাকিস্তান। অন্য়দিকে, লাদাখ ইস্য়ুতে কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করতে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি পুরনো টুইটকে হাতিয়ার করল কংগ্রেস। আবার, হীরে ব্য়বসায়ী নীরব মোদীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। এদিকে, কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহত বিজেপি নেতা। দেশের এমনই সব খবর পড়ে নিন এক এক করে...

Advertisment

রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন-ইন্দিরা গান্ধী ট্রাস্টের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ মোদী সরকারের

publive-image সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী

রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন-সহ গান্ধী পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত তিন ট্রাস্টের বিরুদ্ধে এবার তদন্ত হবে। এই জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইতিমধ্যেই একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে। মূলত আর্থিক তছরুপ ও বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগেই এই তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

যে তিনটি ট্রাস্টের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে, সেগুলি হল রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন, রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। তদন্তকারী আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন ইডি-র স্পেশাল ডিরেক্টর

* দিন কয়েক আগেই বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে চিনা আর্থিক সহায়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। টুইটে নাড্ডা লিখেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে ইউপিএ জমানায় রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল বোর্ডের শীর্ষে তখন কে বসেছিলেন? সনিয়া গান্ধী। রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের সভাপতিত্ব কে করেন? সনিয়া গান্ধী। এটা চূড়ান্ত ভাবে নিন্দনীয় এবং গোটা বিষয়টির স্বচ্ছতা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন রয়েছে।’ এরপরই গান্ধী পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত তিন ট্রাস্টের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার।

* সীমান্ত সঙ্ঘাতের আবহেই টেলিকম মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে চিনা আর্থিক অনুদান নিয়ে সরব হন। তিনি বলেছিলেন, ‘২০০৫-০৬ সালে ফাউন্ডেশনের বার্ষিক তালিকায় দেখা যাচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের দূতাবাস থেকে অনুদান নেওয়া হয়েছে। জানতে চাই, কেন তা গ্রহণ করা হল?’

রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের প্রধান কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। ফাউন্ডেশনের বোর্ডের সদস্যরা হলেন মনমোহন সিং, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভঢরা, পি চিদাম্বরম ও মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে

মৃত্যুদণ্ডের সাজা পুনর্বিবেচনায় রিভিউ পিটিশনে অরাজি কুলভূষণ, দাবি পাকিস্তানের

kulbhushan jadhav, কুলভূষণ যাদব ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

কুলভূষণ যাদব মামলায় নয়া মোড়। মৃত্য়ুদণ্ডের সাজা পুনর্বিবেচনার জন্য় রিভিউ পিটিশন দায়েরের বদলে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাতে চান কুলভূষণ, এমন দাবিই করেছে পাকিস্তান। চরবৃত্তির অভিযোগে প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর অফিসার কুলভূষণকে মৃত্য়ুদণ্ডের সাজা দিয়েছে সে দেশের আদালত। এদিন ইসলামাবাদের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত্য়ুদণ্ডের সাজার পুনর্বিবেচনার জন্য় রিভিউ পিটিশন দায়ের করতে অস্বীকার করেছেন কুলভূষণ।

* বিদেশ মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে অতিরিক্ত অ্য়াটর্নি জেনারেলকে উদ্ধৃত করে পাক সংবাদমাধ্য়ম জানিয়েছে, ”গত ১৭ জুন, ভারতীয় নাগরিক কুলভূষণ যাদবকে মৃত্য়ুদণ্ডের সাজা পুনর্বিবেচনায় রিভিউ পিটিশন দায়ের করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি রিভিউ পিটিশন দায়ের করতে অস্বীকার করেছেন”।

* ওই সাংবাদিক বৈঠকে, আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল যে প্রাণভিক্ষার আর্জি দায়ের করেছিলেন কুলভূষণ, সেই আর্জি নিয়েই এগোতে চান তিনি। অন্য়দিকে, কুলভূষণকে দ্বিতীয়বারের মতো কনস্য়ুলার অ্য়াকসেস দিয়েছে পাক সরকার।

*এ প্রসঙ্গে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে পাল্টা বলা হয়েছে, ''যাদবকে যেভাবে মৃত্য়ুদণ্ডের সাজার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা বিচারব্য়বস্থার নামে প্রহসন। এখনও যাদব পাকিস্তানের সেনার হেফাজতে রয়েছেন। এটা স্পষ্টত যে, রিভিউ পিটিশন যাতে কুলভূষণ দায়ের না করতে পারেন, সেজন্য় তাঁকে বাধ্য় করা হয়েছে''।

*প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩ মার্চ কুলভূষণকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল পাকিস্তান। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে চরবৃত্তির অভিযোগে কুলভূষণকে মৃত্য়ুদণ্ডের সাজা শোনায় পাকিস্তানের সামরিক আদালত। এরপরই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা জানিয়ে আন্তর্জাতিক ন্য়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত। Read in English

লাদাখ ইস্য়ুতে মোদীর পুরনো টুইটকে হাতিয়ার কংগ্রেসের

publive-image প্রধানমন্ত্রী মোদী

লাদাখ ইস্য়ুতে কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করতে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি পুরনো টুইটকে হাতিয়ার করল কংগ্রেস। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দু'দেশের সেনার পিছু হঠা নিয়ে এবার মোদীরই একটি পুরনো টুইটকে সামনে এনে সুর চড়াল কংগ্রেস। কেন ভারতীয় জওয়ানদের তাঁদের নিজেদের এলাকা ছাড়তে হবে, এ নিয়ে মোদীর থেকে জবাব তলব করল হাত শিবির।

*টুইটারে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা লিখেছেন, ''শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি যা বলেছিলেন, মনে আছে? আপনার কথার মানে আছে কোনও? আপনি কি আমাদের বলবেন, কেন আমাদের বাহিনীকে আমাদের এলাকা থেকে ফিরে যেতে হল? দেশবাসী জবাব চান''।

* ২০১৩ সালের ১৩ মে তৎকালীন গুজরাতের মুখ্য়মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ''চিন তার বাহিনী সরিয়েছে। কিন্তু ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে কেন ভারতীয় বাহিনীকে সরতে হচ্ছে? কেন আমরা পশ্চাদপসরণ করব?''

*মোদীর পোস্ট রিট্য়ুইট করে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর লিখেছেন, ''মোদীজির সঙ্গে একমত। প্রধানমন্ত্রী জবাব দিন''। (Read in English)

দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে

কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত বিজেপি নেতা

bjp, বিজেপি ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

জঙ্গিদের গুলিতে নিহত বিজেপি নেতা শেখ ওয়াসিম বারি। উত্তর কাশ্মীরের বন্দিপোরায় বুধবার জঙ্গি হামলায় বিজেপি নেতা, তাঁর বাবা ও ভাইয়ের মৃত্য়ু হয়েছে।

* ডিজিপি দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, বন্দিপোরায় থানাপ সামনে নিজের দোকানের বাইরে প্রাক্তন বিজেপি জেলা সভাপতিকে লক্ষ্য় করে গুলি চালায় জঙ্গিরা।

* বারির ভাই উমর ও বাবা বসির আহমেদকে জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তাঁদের মৃত্য়ু হয় বলে পিটিআই সূত্রে খবর।

* ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ বাহিনী। (Read in English)

দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে

সিবিএসই সিলেবাসে বাদ 'নাগরিকত্ব-ধর্মনিরপেক্ষতা', গর্জে উঠলেন মমতা

publive-image মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

করোনা পরিস্থিতিতে সিলেবাস কাটছাঁট করতে গিয়ে নাগরিকত্ব, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, ধর্মনিরপেক্ষতা, দেশভাগের মতো বিষয়কে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ খবর প্রকাশ্য়ে আসতেই এবার গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের এ সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছেন মমতা।

* টুইটারে মমতা লিখেছেন, '' করোনা পরিস্থিতিতে সিলেবাস কাটছাঁটের দোহাই দিয়ে নাগরিকত্ব, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, ধর্মনিরপেক্ষতা, দেশভাগের মতো বিষয়কে বাদ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার, স্তম্ভিত আমি''।



* মমতা আরও লিখেছেন, ''আমরা এর তীব্র বিরোধিতা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে আর্জি রাখছি যাতে, কোনওভাভেই এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে না বাদ দেওয়া হয়''।

* উল্লেখ্য়, করোনা পরিস্থিতিতে সিলেবাস কমাতে গিয়ে ২০২০-২১ পাঠ্য়ক্রমে একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানে নাগরিকত্ব, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, ধর্মনিরপেক্ষতা, দেশভাগের মতো বিষয়কে বাদ দেওয়া হয়েছে।

দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে

নীরব মোদীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির

nirav modi case নীরব মোদী

হীরে ব্য়বসায়ী নীরব মোদীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। পিএনবি কেলঙ্কারিতে অন্য়তম প্রধান অভিযুক্ত পলাতক হীরে ব্য়বসায়ী নীরব মোদীর ৩২৯.৬৬ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।

* এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে ইডি জানিয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মধ্য়ে রয়েছে নীরবের ৪টি ফ্ল্য়াট।

* নীরবের মুম্বইয়ের ওরলির সমুদ্রমহল, আলিবাগে ফার্ম হাউস, জয়সলমীরে উইন্ড মিল, লন্ডনের ফ্ল্য়াট, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে ফ্ল্য়াট ও শেয়ার ও ব্য়াঙ্ক আমানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। (Read in English)

দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে

ইপিএফে অর্থ সহায়তা-বিনামূল্য়ে খাদ্য়শস্য়ের মেয়াদ বৃদ্ধিতে অনুমোদন মোদী মন্ত্রিসভায়

publive-image নরেন্দ্র মোদী

ইপিএফ ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্য়ের মেয়াদ-বৃদ্ধি থেকে বিনামূল্য়ে খাদ্য়শস্য় বিতরণ করার সময়সীমা বাড়ানোর মতো একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করল মোদী মন্ত্রিসভা। করোনা পরিস্থিতিতে নিয়োগকারী সংস্থা ও কর্মী, উভয়কেই সুবিধা দিতে যে আর্থিক সাহায্য়ের হাত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র সরকার, তার সময়সীমা বাড়ানো হল। এরফলে, চাকুরিজীবীদের মাসিক নগদপ্রাপ্তি বেশি ঘটবে এবং নিয়োগকারী সংস্থার প্রভিডেন্ট ফান্ড খাতে ব্য়য়ভারও লাঘব হবে।

*এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, ”অগাস্ট পর্যন্ত এই প্রকল্পের সময়সীমা বর্ধিত করা হয়েছে। এরফলে ৭২.২২ লক্ষ কর্মী উপকৃত হবেন”।

*অন্য়দিকে, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্য়াণ আবাস যোজনায় বিনামূল্য়ে খাদ্য়সশ্য় বিতরণের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই প্রকল্পের সুবিধা মিলবে। এ প্রসঙ্গে জাভড়েকর জানিয়েছেন, নভেম্বর পর্যন্ত ৮১ কোটি মানুষকে বিনামূল্য়ে খাদ্য়শস্য় বিতরণ করতে ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হবে। (বিস্তারিত পড়ুন- ইপিএফে অর্থ সহায়তা-বিনামূল্য়ে খাদ্য়শস্য়ের মেয়াদ বাড়ালো কেন্দ্র)

দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে

জ্যোতিরাদিত্য ঘনিষ্ঠরা মন্ত্রিসভায় কোন দফতর পাবেন? দড়ি টানাটানি চরমে

publive-image শিবরাজ সিং চৌহান ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া

মধ্যপ্রদেশের চৌহান মন্ত্রিসভায় জ্যোতিরাদিত্য ঘনিষ্ঠ কতজন স্থান পাবেন তা নিয়ে এর আগে দড়িটানাটানি চরমে পৌঁছেছিল। ফলে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে দেরি হয়। এবার মনকষাকষির কারণ মন্ত্রিসভার কে কোন দফতরের দায়িত্ব পাবেন তা নিয়ে। শিবরাজ সিং মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের পাঁচ দিনের বেশি কেটে গেলেও দফতর বিহীন মন্ত্রী হয়ে রয়েছেন অনেকেই। এদের মধ্যে বেশিরভাগই কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা জ্যোতিরাদিত্য অনুগামী।

দফতর নিয়ে শীতল যুদ্ধ এতটাই দূর পৌঁছেছে যে শিবরজকে দিল্লি পর্যন্ত ঘুরে আসতে হয়েছে। তবে সেখানেও সমাধান সূত্র মেলেনি। রাজধানীতে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দিল্লি থেকে ফিরেই দফতর ভাগ করে দেবেন। কিন্তু, মঙ্গলবার শিবারজ বলেছেন, মন্ত্রিসভায় দফতর ভাগ করতে তাঁর কিছুটা সময় লাগবে।

* শিবরাজ সিং মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীর সংখ্যা ২৮।

* এর মধ্যে ১৪ জন কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদানকারী ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘনিষ্ট।

* মন্ত্রিসভা বাঁচাতে নতুনদের সুযোগ দিতে গিয়ে শিবার সিং মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন পুরনো মন্ত্রীর পদ খোয়া গিয়েছে।

* অভিজ্ঞতার নিরিখে পদ খোয়ানো বিজেপির বিধায়করা মন্ত্রিত্বের দাবি জানিয়েছেন।

* রাজধানীতিতে গিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক শেষেও কোনও সমাধান মেলেনি।

চৌহান-জ্যোতিরাদিত্য ক্ষমতার লড়াই দেখে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা কমলনাথ বলেছেন, 'মধ্যপ্রদেশে বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে সওদা (লেনদেন) করেছে। মন্ত্রিসভাও গড়ে উঠবে সওদার ভিত্তিতেই।'

কংগ্রেস নেতা শত্রুঘ্ন সিনহা টুইটে লিখেছেন, 'মধ্যপ্রদেশে বিজেপি তিন ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে: শিবরাজ (শিবরাজ সিং চৌহান), নারাজ (যাঁরা মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি) ও মহারাজ (জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া)।'Read in English

চিনের প্রস্তাবেই ওয়াং-দোভাল আলোচনাpublive-image

অজিত দোভাল ও ওয়াং ইসীমান্তে উত্তেজনা প্রশমণে বেজিংয়ের প্রস্তাবেই ভারত-চিন বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনা হয়। গত রবিবার এই ফোনে কথা বলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও চিনা স্টেট কাউন্সিলর তথা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। ওই আলোচনায় উভয় পক্ষ নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ও স্থীতাবস্থা বজায়ের লক্ষ্যে সেনা সরানোয় সম্মত হয়।

* দুই দেশের বিশেষ প্রতিনিধিদের বৈঠকের আগে ভারত-চিনা সেনা ও কূটনৈতিকস্তরে আলোচনা জারি ছিল। কিন্তু, সেগুলি থেকে কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। এদিকে উত্তেজনার পারদও চড়ছিল। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনা-কূটনৈতিক পর্যায়ে বৈঠকের পাশাপাশি দ্রুত দুই দেশের বিশেষ প্রতিনিধিদের আলোচনার প্রস্তাব জানায় চিন। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এমনটাই জানতে পেরেছে।

* ১৫ জুন নিয়ন্ত্রণরেখায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর উত্তেজনা প্রশমণে দুই দেশের সেনা ও কূটনৈতিতস্তরের আলোচনাতেই সমস্যা মিটবে। ভারত এই অবস্থান বজায় রেখেছিল। তবে, বৈঠক থেকে দ্রুত সমাধান সূত্র খুঁজে পেতে বেজিংই বিশেষ প্রতিনিধিস্তরের আলোচনায় জোর দেয়। এরপরই গত ৫ জুলাই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে চিনা স্টেট কাউন্সিলর তথা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর ফোনালাপ হয়।

* রবিবারের আলোচনার পর চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়, সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উভয় পক্ষের (ভারত-চিন) মধ্যে ‘খোলামেলা ও বিস্তারিত’ আলোচনা হয়েছে। দুই দেশই ‘ইতিবাচক সমঝোতায়’ পৌঁছেছে।

এর আগে ২০১৮ ও ১৯ সালে ভারত-চিনের বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের কথা হয়েছিল। ২০১৯ সালে অজিত দোভাল ও ওয়াং ই-র শেষ কথোপকথনে ‘পারস্পরিক খোলামেলা’ আলোচনার পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। দুই পক্ষই সম্মত হয় এই বিষয়ে যে, সীমান্ত নিয়ে সেনা বা কূটনৈতিকস্তরে আলোচনা জারি থাকবে, কিন্তু তাতে চূডা়ন্ত সম্মতি জানাবেন বিশেষ প্রতিনিধিরাই।

দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে

Shivraj Singh Chouhan Madhya Pradesh bjp
Advertisment