প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার 'স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা গবেষণা' বিষয়ক একটি বাজেট পরবর্তী সেমিনারে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেন,' ভারত স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিদেশের ওপর ন্যূনতম নির্ভরতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, সরকার সারাদেশে ১,৫০,০০০ স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করবে।
তিনি আরও বলেন, "স্বাধীনতার পরে কয়েক দশক ধরে, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একটি সমন্বিত এবং দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গির অভাব ছিল,"। মোদী সরকারের আমলে ঢেলে সাজানো হয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে, সেকথাও উল্লেখ করেন তিনি। মোদী বলেন, 'তাঁর সরকার "স্বাস্থ্যসেবাকে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখে নি বরং দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গির উপর জোর দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, “গুরুতর রোগের জন্য দেশে মানসম্মত ও আধুনিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামো জরুরি। সরকারে সেদিকেও নজএ রয়েছে। বাড়ির কাছে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে পাশাপাশি 'প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য' আরও ভাল স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের ওপর জোর দেন তিনি”। এ জন্য, দেশে আরও দেড় লক্ষ স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির কাজ চলছে বলেও ভাষণে উল্লেখ করেন নমো।
মোদী এদিন বলেন, “ভারতে চিকিৎসা পরিষেবাকে সাশ্রয়ী করে তোলা আমাদের সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আয়ুষ্মান ভারত-এর অধীনে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার পিছনে এই চিন্তাভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, "'আয়ুষ্মান ভারত', একটি সরকারি স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প এবং 'জন ঔষধি' কেন্দ্র ১ লাখ কোটি টাকা বাঁচিয়েছে।" প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "ভারত স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বিদেশী দেশগুলির উপর ন্যূনতম নির্ভরতা নিশ্চিত করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করছে এবং এর জন্য ভারতীয় উদ্যোক্তাদের নিশ্চিত করা উচিত, ভারতকে কোনও প্রযুক্তি আমদানি করতে হবে না, স্বনির্ভর হয়ে উঠতে হবে।"