Bangladesh Violence: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার নিন্দা! চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল ভারত ৷ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল চট্টগ্রামে হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।
চট্টগ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী বাংলাদেশ সরকারে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ভারত। এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, 'নয়া দিল্লি বাংলাদেশকে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।'
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার পিছনে 'চরমপন্থী উপাদানের' বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে ভারত। প্রেস ব্রিফিংয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই ঘটনায় ভারতের অবস্থান তুলে ধরেন, পাশাপাশি হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতিও জারি করেন।
'প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেশের সেবা করতে পেরে গর্বিত'! বিদায় বেলায় আবেগঘন ভাষণ বাইডেনের
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, "আমরা লক্ষ্য করেছি যে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাদের সম্পত্তি লুট করা হয়েছে এবং তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালানো হয়েছে। হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনকে লক্ষ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক পোস্ট করা হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "এই ধরনের পোস্ট এবং বেআইনি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পিছনে 'চরমপন্থী গোষ্ঠীর' হাত রয়েছে। এই ধরণের সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে। আমরা আবারও বাংলাদেশ সরকারকে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং চরমপন্থী উপাদানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
#WATCH | Delhi: MEA Spokesperson Randhir Jaiswal says, "We have observed that there have been attacks on Hindu community in Chittagong, Bangladesh. Their properties have been looted, their business establishments have been looted. These happened following incendiary posts on… pic.twitter.com/qEnFmpb28O
— ANI (@ANI) November 7, 2024
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে ওঠে যে এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। এই অভিযানে প্রায় শতাধিক জনকে আটক করা হয়, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়। চট্টগ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নেতা নিশ্চিত করেছেন যে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলির হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়ার কারণে উত্তেজনা বেড়েছে।