গুরুত্বপূর্ণ বেসিক এক্সচেঞ্জ ও কোয়াপরেশন এগ্রিমেন্টে সাক্ষর করল ভারত ও আমেরিকা। এর ফলে গুপ্ত স্যাটেলাইট ও সেন্সর ডেটা ভারতের সঙ্গে শেয়ার করবে আমেরিকা। যা ব্যবহার করে নিজেদের মিসাইল ও ফৌজ মোতায়েনের ক্ষেত্রটি আরও নিঁখুত করতে পারবে ভারত। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও মার্কিন প্রতিক্ষা সচিব মার্ক এসপার, বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওর উপস্থিতিতে দুই দেশের ২+২ আলোচনা চলে। সেখানেই এ দিন চুক্তি সাক্ষরিত হয়।
চুক্তি সাক্ষরের পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, 'বেসিক এক্সচেঞ্জ ও কোয়াপরেশন এগ্রিমেন্টে সাক্ষর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ভারত-মার্কিন সেনা সহযোগিতার আগ্রগতি খুব ভাল। প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে দু'তরফেই বেশ কিছু পরিকল্পনা চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও সুরক্ষার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনরায় নিশ্চিত করেছি।'
মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব মার্ক এসপার ও বিদেশ সচিব পম্পেও চিনা আগ্রাসন-গালওয়ানের কথা তুলে ধরে বলেন যে দুই দেশ এখনকার পরিস্থিতির যে চ্যালেঞ্জ, সেটাকে মোকাবিলা করছে। পম্পেওর কথায়, 'এ দেশের সার্বভৌমত্ব-স্বাধীনতাকে হুমকি দেওয়া হলে আমেরিকা সবসময় ভারতের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। শুধু চিনা কমিউনিস্ট পার্টি নয়, সাইবার ইস্যু থেকে শুরু করে সব ধরণের বিপদ থেকে বাঁচতে ইন্দো-মার্কিন প্রতিরক্ষা সহযোগিতার অগ্রগতি হবে।'
সাউথ ব্লক সূত্রে খবর, জুনে গালওয়ান সংঘর্ষই পরই ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ২+২ চুক্তির প্রেক্ষাপট তরান্বিত করেছিল।
ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে যখন প্রবল চাপানউতোর চলছে, তখন আমেরিকার সঙ্গে দিল্লির এই প্রতিরক্ষা বিষয়ক চুক্তি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পম্পেও, এসপার এবং জযশঙ্কর, রাজনাথ সিং কথার পর এই চুক্তি সম্পাদনে দুই দেশের জাতীয় উপদেষ্টা পর্যায়েরও বৈঠক হয়।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন