Advertisment

কাশ্মীর সীমান্তে পাল্টা হামলা ভারতের, নিহত পাঁচ পাক সেনা

সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি এখনও সীমান্ত সক্রিয় রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনকি পাকিস্তান তাঁদের অস্ত্র সহ সব ধরণের সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিং।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ফের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উত্তপ্ত হল ভারত পাকিস্তান। প্রতীকী ছবি।

জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় পাকিস্তানি সেনার গুলিতে দুই ভারতীয় সেনা-সহ এক নাগরিকের নিহত হওয়ার পরই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি লঞ্চ প্যাডে হামলা চালাল ভারত। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ভারতের পক্ষ থেকে পালটা গুলি চালানোয় নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর পাঁচ পাকিস্তানি সেনাও নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। তবে এই গুলির লড়াইয়ের মাঝে টাংধার এলাকার ঘান্ডিশাত গ্রামের তিন নাগরিকও আহত হয়েছেন বলে খবর।

Advertisment

ভারতীয় সেনাসূত্রে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশকে সহায়তা করার জন্য যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের চেষ্টা করেছিল। সেনাবাহিনী সূত্র বলেন, "পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে সহায়তা অব্যাহত করার চেষ্টা করে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সঠিক সময়ই সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে সমর্থ হয়েছে।"

আরও পড়ুন- অযোধ্যায় রাম মন্দির: মোদী-শাহর প্রতিশ্রুতি পূরণ

সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় হামলা চালায় পাকিস্তান। পাকিস্তানি সেনার গুলিতে নিহত হন দুই ভারতীয় সেনা-সহ এক নাগরিক। গুলিতে তিনজন সাধারণ মানুষও আহত হয়েছেন বলে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। এমনকি দুটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এই ঘটনায়। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পুঞ্চ জেলায় অপ্রত্যাশিত মর্টার হামলায় এবং গুলির লড়াইয়ে নিহত হন সাতাশ বছরের এক মহিলা। উল্লেখ্য, পাকিস্তান কর্তৃক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এ বছরে এমনটাই জানানো হয়েছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, এই গত দুই বছরে সবচেয়ে বেশিবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে লঙ্ঘিত হয়েছে এই সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি। গত সপ্তাহে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিং বলেছিলেন যে, আগস্ট মাসে ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই পাকিস্তান ভারতের এই উপত্যকায় জঙ্গিদের মাধ্যমে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে।

আরও পড়ুন- কমলেশ তিওয়ারি হত্যার নেপথ্যে ‘যড়যন্ত্র’, দাবি পরিবারের

অন্যদিকে, সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি এখনও সীমান্ত সক্রিয় রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনকি পাকিস্তান তাঁদের অস্ত্র সহ সব ধরণের সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিং। তিনি আরও বলেন, “সম্প্রতি ড্রোনের সাহায্যে পাঞ্জাবের দিকে বেশ কিছু অস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।” তবে তিনি এও আশ্বস্ত করেন যে সেনাবাহিনী এ ধরনের সমস্ত প্রস্তুতিকে ব্যর্থ করতে সক্ষম এবং প্রস্তুত রয়েছে।

Read the full story in English

Indian army pakistan
Advertisment