নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরাতে প্রতিপক্ষ চিনের পদক্ষেপ আশাতীত নয়। এই পরিস্থিতিতে বেজিংয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান ভারতীয় সেনা। তাই যেকোনও সম্ভাবনার জন্যই তারা প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে তৎপর। প্যাংগং ও পিপি ১৭-এ সহ নিয়ন্ত্রণরেখায় বিরোধের জায়গাগুলো থেকে লাল ফৌজ না সরলে সীমান্তে বাড়তি বাহিনী মোতায়েনের বিবেচনা করছে ভারতীয় সেনা।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ভারতীয় সেনার এক সিনিয়ার অফিসার বলেছেন যে, 'প্রতপক্ষের কাজের উপর আমাদের পদক্ষেপ নির্ভর করে। ওরা যরক্ষঁণ না সরছে ততক্ষণ আমাদের সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ অভিপ্রায় যখন-তখন বদল হতে পারে। পর্যায়োলচার ভিত্তিতে আমরা বহিনী মোতায়েন করব।'
অর্থাৎ, নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে লাল ফৌজের সম্পূর্ণ না সরা পর্যন্ত লাদাখে দু'দেশের বিরোধের পয়েন্টগুলোতে বাড়তি ভারতীয় সেনার বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
বৃস্পতিবারই ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত দাবি করেছিলেন যে, উভয় দেশের বিরোধের অধিকাংশ জায়গা থেকেই লাল ফৌজ সরে গিয়েছে। কিন্তু, দিল্লি জানিয়েছে, প্যাংগং ও পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৭-এ থেকে চিনা সেনা সরেনি। এমনকী দেপসাংয়ের অবস্থারও বদল হয়েনি। ভারতীয় সেনার নর্দান কমান্ডারের লেফটেনেন্ট জেনারেল ওয়াইকে যোশীর কথায়, 'লাদাখে আরও ৩৫ হাজার বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এপ্রিলের অবস্থা ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত এই বাহিনী সেখানে থাকবে। সব সম্ভাবনার জন্য আমরা প্রস্তুত। শীতে অতি উচ্চতায় সেনা মোতায়েনের জন্য প্রস্তুতি অনেকটাইই সম্মন্ন, রসদ পৌঁছানো কিভাবে হবে তা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।'
নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা প্রশমণে চিনা রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য ভারত-চিন সেনা-কূটনীতিক পর্যায়ের আলোচনায় সমাধানসূত্রে মেলার সম্ভাবনাকে শেষ করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন সেনা প্রধান জেনারেল ভিপি মালিক। তবে, চাপা উত্তেজনার মাঝেও সেনা সূত্রে খবর, অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে দুই দেশের সেনা পর্যায়ে পঞ্চম বৈঠক হতে পারে।
এক আগে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, বিগত দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভারত-চিন বিরোধের অন্যতম প্যানংগং ও গোগরার ১৭-এ পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে লাল ফৌজ সরার ক্ষেত্রে কোনও সদর্থক অগ্রগতি নেই। পিপি ১৭-এ অঞ্চলের এক কিমির মধ্যেই উভয় দেশের ৫০ ট্রুপ সেনা মোতায়ের রয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন