আদানি ইস্যুতে তোলপাড় দেশের রাজনীতি। বিরোধী শিবিরের নিশানায় মোদী সরকার। মুখে কুলুপ এঁটেছে কেন্দ্র। হিডেনবার্গ রিসার্চে স্টক ম্যানুপুলেশনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তুলকালাম দেশ। হুহু করে কমেছে আদানি গ্রুপের শেয়ার দর। এমন এক সুময়ে এই বিষয়টি সামনে আসে যখন সংসদে চলছে বাজেট অধিবেশন।
আদানি ইস্যু নিয়ে রোজই উত্তাল সংসদ। বিরোধীদের অভিযোগে রীতিমত অস্বস্তিতে মোদী সরকার। অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিবৃতি জারি করে আদানি গ্রুপ কিন্তু এই বিতর্ক যেন কিছুতেই থামছে না। এর মাঝেই কংগ্রেস সহ একাধিক বিরোধী দল দেশের একাধিক স্থানে SBI-LIC অফিসের সামনে বিক্ষোভও প্রদর্শন করে।
এবার আদানি ইস্যুতে মুখ খুললেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। কী বলেছেন তিনি? হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পরে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) বিবৃতিও সামনে এসেছে। গত ২ সপ্তাহ ধরে শেয়ার বাজারের টালমাটাল পরিস্থিতি। এর মাঝে গতকাল আরবিআই রেপোরেট বাড়ানোর কথাও ঘোষণা করেছে।
আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, দেশের ব্যাঙ্কিং সেক্টর শক্তিশালী। ঋণ দেওয়ার সময় ব্যাংকগুলো কোম্পানির পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন করা হয়। আদানি ইস্যুর কথা সরাসরি উল্লেখ না করে তিনি বলেছেন, এই ধরনের কোনও ঘটনা ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে না। আরবিআই ডেপুটি গভর্নর এম কে জৈন বলেছেন যে আদানি গ্রুপকে ব্যাঙ্কগুলি যে ঋণ দিয়েছে তার পরিমাণ খুব বেশি নয়। উল্লেখ্য স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আদানি গ্রুপকে ২৩ হাজার কোটি টাকা এবং পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক আদানি গোষ্ঠীকে ৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: < ভারতসহ একাধিক দেশকে ‘টার্গেট’, চিনের ‘স্পাই বেলুন’ নিয়ে বড়সড় তথ্য ফাঁস >
বুধবার লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ প্রস্তাবের বিতর্কের জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধীদের আক্রমণ করেন। তার পরপরই, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী আদানিকে ‘রক্ষা’ করার চেষ্টা করছেন। লোকসভায় তাঁর ৫৩ মিনিটের ভাষণে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন যে ২০১৪ সাল থেকে মোদী ও তাঁর সরকার আদানিকে নানাভাবে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে। তার জেরেই অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে উত্থান ঘটেছে এই শিল্পপতির।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার প্রতিক্রিয়ায় রাহুল বলেন, ‘আমি সন্তুষ্ট নই। এটা একটা সত্য প্রকাশ করে দিল। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য একটা সত্যকে তুলে ধরল। কোনও তদন্তের উল্লেখ তিনি করেননি। তিনি যদি তাঁর (আদানির) বন্ধু না-হতেন, তাহলে তাঁর বলা উচিত ছিল, একটা তদন্ত হয়ে যাক।’ এদিকে রাহুল গান্ধীর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিপ্তে মোদী বলেন, “‘ইউপিএ জমানা দেশের সবচেয়ে দুর্নীতির সময়কাল, ইডি বিরোধীদের একমঞ্চে এনেছে,’।