লাদাখের দেপসাং ভ্যালি এখন সীমান্ত চর্চার শীর্ষের বিষয়বস্তু। সেখানকার পরিস্থিতি এই মুহুর্তে শান্ত আছে সেনাসূত্রে এমনটাই খবর। এই দেপসাং ভ্যালিতেই এপ্রিল মাস থেকে ভারতের চারটি টহলদারী পয়েন্টে বাঁধা দিয়েছে চিন। যদিও দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে প্রতিরক্ষা বিভাগের শীর্ষ আধিকারিক বলেন দেপসাংয়ে কোনও জমি দখল করতে পারেনি চিন। কিন্তু "বিগত ১০ থেকে ১৫ বছর সময় ধরে নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশে একটা বড় এলাকায় কিন্তু ভারতীয় সেনার প্রবেশাধিকার নেই।"
আধিকারিক আরও বলেন নিয়মিত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ও অনুপ্রবেশ ছাড়া দেপসাং সমভূমির ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত সিয়াচেনের নিকটে অন্য কোনওভাবেই পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ বাহিনী বা পাকিস্তানের সেনার জড়ো হওয়া প্রমাণ পাওয়া যায় না। পাকিস্তানের জন্য যদিও পশ্চিম ফ্রন্টে প্রচুর পরিমাণে ভারতীয় সেনাকে নিযুক্ত রাখতে হয়েছে। সেনাবাহিনীর লাদাখে উপস্থিতি বাড়াতে বাধ্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, চিনা রেডারে ১০ হাজার ভারতীয়! ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তদন্তের পর কমিটি গঠন কেন্দ্রের
এই মুহূর্তে লক্ষ্য পূর্ব লাদাখের দিকে থাকলেও ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই আধিকারিক বলেন, চিন নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশাপাশি অন্য যে কোনও এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে এই সম্ভাবনাটি পুরোপুরিভাবে ধরা পড়েছে। তিনি সাফ বলেন, “আমরা জানি যে চিন যে কোনও জায়গায় কাজ করতে পারে, তাই কেবল পূর্ব লাদাখ নিয়ে কথা বললে তা যথেষ্ট নয়।"
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গালওয়ানের ১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে সেনা পিছনো (ডিসএনগেজমেন্ট)হলেও হটস্প্রিংয়ের ১৫ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট ও গোগরার কাছে ১৭এ পেট্রোলিং পয়েন্টে এখনও সেনা মোতায়েন রেখেছে চিন। অন্যদিকে, প্যাঙ্গং হ্রদের উত্তরে ৩ নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্টের কাছেও সেনার সংখ্যা বাড়াচ্ছে তারা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন