/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/12/india-china-1.jpg)
সীমান্ত-জট কাটাতে প্রায় আড়াই মাস পরেআজ ফের আলোচনার টেবিলে ভারত ও চিনা সেনা। চুশুল সেক্টরের অপর দিকে মলডোতে ইন্দো-চিন নবম পর্যায়ের কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হতে চলেছে। এবারের বৈঠকে আদৌ সীমান্ত বিবাদের নিষ্পত্তি হয় কিনা, সে দিকেই নজর কূটনৈতিক মহলের।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর অষ্টম দফায় দু'দেশের সামরিক পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে সেনা সরানোর বিষয়ে আলোচনা করে প্রতিবেশী দুই দেশ। ফিঙ্গার-৮ এলাকায় সেনা সরানোর প্রস্তাব দেয় বেজিং। সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে সহমত পোষণ করেছিল নয়াদিল্লিও। পরে একই ইস্যুতে ১৮ ডিসেম্বর ভারত-চিন কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু জট কাটেনি।
গত বছরের মে মাসের শুরু থেকে তেতে রয়েছে দু'দেশের সীমান্ত। বিবাদ মেটাতে এর আগেও একাধিকবার বৈঠকে বসেছে ভারত-চিন। কিন্তু, মূল সমস্যার সমাধান এখনও অধরা। কূটনৈতিক স্তরে আলাপ-আলোচনার মধ্যেই গত বছরের ১৫ জুন গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণ হারান ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। এই সংঘর্ষে চিনেরও ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছিল কেন্দ্র সরকার। যদিও সে ব্যাপারে কোনও তথ্য দেয়নি শি জিনপিং সরকার। এরপর, অগাস্টের শেষে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা। প্রায় ৪৫ বছর পর সীমান্তে গুলি চালানোর খবর আসে।
এরপর থেকে লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেকা ঘিরে উত্তেজনা ক্রমশ বেড়েছে। তীব্র শীতেও সীমান্তে দাঁতে দাঁত চেপে জওয়ানরা যেভাবে অবস্থান করছেন, তাতে দু'দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি অন্য মাত্রা পেয়েছে। এর মধ্যেই নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছ মহড়া না করার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছায় দুই দেশ।
আলোচনার ভিত্তিতে সীমান্ত সমস্যা ধূর করতে আগ্রহী ভারত। ১২ জানুয়ারি সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে বলেছেন, 'সহমত ও সমান সুরক্ষা নীতির ভিত্তিতে নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে আমরা সেনা প্রত্যাহার ও সেনা মজুত কমানোর বিষয়ে জট কাটাতে পারব বলে মনে করছি।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন