/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/12/India-China-Standoff.jpg)
ফের মুখোমুখি সংঘর্ষ ভারতীয় ও চিনা জওয়ানদের। ফাইল ছবি
লাদাখের গালওয়ানের পর এবার অরুণাচলের তাওয়াং। ফের মুখোমুখি সংঘর্ষ ভারতীয় ও চিনা জওয়ানদের। গত ৯ ডিসেম্বর ভোর রাতে দুই পক্ষ একে অপরের সঙ্গে হাতাহাতি, লাঠি-সোটা দিয়ে মারধর করে বলে খবর। ২০২০ সালের জুন মাসের পর ফের ভারত-চিন সেনার সংঘাতের ঘটনা সামনে আসায় অস্বস্তি বাড়ল নয়াদিল্লির। ঘটনায় দুজন ভারতীয় জওয়ান গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের তড়িঘড়ি গুয়াহাটির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এক সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, দুপক্ষের সংঘর্ষে সামান্য আঘাত পেয়েছেন জওয়ানরা। দুই পক্ষের জওয়ানরা এর পর এলাকা থেকে সরে যান। ঘটনার পর পরই আমাদের একজন কম্যান্ডার চিনা পক্ষের কম্যান্ডারের সঙ্গে ফ্ল্যাগ মিটিং করেন। এলাকায় শান্তি-স্থিতবস্থা বজায় রাখার জন্য দুজনেই আবেদন জানান বৈঠকে।
প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের আউলিতে ইন্দো-মার্কিন যৌথ সামরিক মহড়া যুদ্ধাভ্যাস নিয়ে চিন ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছিল। জানায়, ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালের সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করা হচ্ছে। ভারতীয় ভূখণ্ডে তিন হাজার কিমি বিস্তৃত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তার কারণ নয়াদিল্লি গোটা দেশে জি-২০ সম্মেলনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত কর্মসূচি করছে। সেই সম্মেলনে চিনও একটি অংশ।
আরও পড়ুন কাবুলে চরম আতঙ্ক, বিস্ফোরণের পরই বিদেশিদের হোটেল থেকে পরপর শহরে গুলির শব্দ
গত নভেম্বরেই ইন্দোনেশিয়ার বালিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জি-২০ বৈঠকেই সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু তাতে কোনওরকম বিষয় নিয়ে আলোচনা করেননি। অরুণাচলের এই সংঘর্ষ গত শুক্রবার ভোর রাত তিনটের সময় হয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তাওয়াংয়ের ইয়াংসি পয়েন্টে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এই অংশটা অন্যতম বিতর্কিত এলাকা বলে পরিচিত। দুপক্ষই এলাকায় টহলদারি করে। সেদিন রাতে প্রায় ৩০০ চিনা সেনা হামলা করে ভারতীয়দের উপর।
উল্টোদিকে, ভারতীয় জওয়ানরা ছিলেন মাত্র ৭০-৮০ জন। কিন্তু অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে তাঁরা অনুপ্রবেশকারীদের হঠিয়ে দেন। ভয়ঙ্কর হাতাহাতি, লাঠি চালাচালি হয় দুপক্ষের মধ্যে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে এই মারামারি।