করোনা বাড়তেই চিনে রকেটের গতিতে বেড়েছে ভারতীয় ওষুধের চাহিদা। প্যাক্সলোভিডের জোগানের অভাবে এখন ভারতীয় ওষুধেই ভরসা করছেন চিনের মানুষ। চিনের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ভারতীয় জেনেরিক ওষুধের ব্যাপকহারে খোঁজ চালাচ্ছেন চিনের নাগরিকরা। এই চাহিদা দেখে বিভিন্ন জাল ওষুধের সংস্থা বাজারে জাল ওষুধ ছড়িয়ে দিয়েছে। যা দেখে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা।
চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তা প্রশাসন রবিবার জানিয়েছে যে ফাইজারের প্যাক্সলোভিড ওষুধ মৌলিক ওষুধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। কারণ, এই ওষুধের প্রস্তুতকারক সংস্থা চড়া দাম হাঁকছে। করোনা মোকাবিলায় ফাইজারের প্যাক্সলোভিড ওষুধ ব্যবহার হয়। মুখ দিয়ে এই ওষুধ গ্রহণ করেন আক্রান্তরা। প্যাক্সলোভিডের সরবরাহ ব্যাপকহারে কম থাকায় চিনা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ভারতীয় জেনেরিক ওষুধের চাহিদা রকেটের গতিতে বেড়েছে।
চিনের মিডিয়া আউটলেট সিক্সথ টোন জানিয়েছে, 'চিনা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ভারতে উত্পাদিত অন্তত চারটি জেনেরিক কোভিড ওষুধ – প্রিমোভির, প্যাক্সিস্তা, মোলনুনাট এবং মোলনাট্রিস– সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রিমোভির এবং প্যাক্সিস্তা- দুটোই প্যাক্সলোভিডের জেনেরিক সংস্করণ। অন্য দুটি মলনিপিরাভিরের জেনেরিক সংস্করণ।'
আরও পড়ুন- ধর্মান্তরণ নিয়ে শীর্ষ আদালতের ঐতিহাসিক সক্রিয়তা, কী বললেন বিচারপতিরা?
প্রিমোভির, প্যাক্সিস্তা, মোলনুনাট এবং মোলনাট্রিস– এই চারটি ওষুধই ভারত সরকারের দ্বারা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত। তবে চিনে এই সব ওষুধকে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। উলটে বেইজিং মেমোরিয়াল ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান হে জিয়াওবিং সিক্সথ টোনকে জানিয়েছেন যে ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে তাঁরা নিশ্চিতরূপে থেরাপিউটিক প্রভাব-সহ নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যের কোভিড ওষুধ সরবরাহ করতে পারেন।
হে জিয়াওবিং জানিয়েছেন, চাহিদা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বেআইনি বিভিন্ন বেনামী সংস্থা এই সব ওষুধ তৈরিতে উঠেপড়ে লেগেছে। তারাই নকল বা জাল ওষুধ বাজারে ছেড়েছে। চিনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দ্বারা উপকৃত হন ১৪০ কোটি মানুষ। কারণ, ওষুধ সরবরাহের ব্যয় বেড়েছে। আর, এই ওষুধের দাম আন্তর্জাতিক ওষুধ সংস্থার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
Read full story in English