Advertisment

Indian killed in russia ukraine war: ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত্যু ভারতীয় যুবকের, দেহ কোথায় জানেই না পরিবার!

রুশ সীমান্তের কাছে দোনেৎস্ক এলাকায় মৃত্যু হয় অশ্বিনের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Russia missile attack

21 ফেব্রুয়ারি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হেমিল মাঙ্গুকিয়া (23) মারা যান (ফাইল ছবি)

 Indian Hemil Mangukiya killed in russia ukraine war: ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক ভারতীয় যুবকের। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত গুজরাটি যুবকের দেহ কীভাবে ফিরে পাবে পরিবার তা ভেবেই তাদের রাতের ঘুম উড়েছে।

Advertisment

ইউক্রেন হামলায় নিহত সুরাটের বছর ২১-এর তরতাজা যুবক হেমিল অশ্বিনভাই মাঙ্গুকিয়া। রুশ সীমান্তে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় অশ্বিনের মৃত্যু হয় বলেই খবরে প্রকাশ। তিনি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে হেল্পার হিসাবে কাজ করতে রাশিয়া যান। তাঁকে জালিয়াতি করে যুদ্ধে পাঠানো হয়ে বলে পরিবারে অভিযোগ। দ্য হিন্দুর রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে মাঙ্গুকিয়ার মৃত্যুর বিষয়ে তাদের কিছু জানানো হয়নি ।

দ্য হিন্দু জানিয়েছে যে গত এক বছরে প্রায় শতাধিক ভারতীয়কে রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ করেছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দেশের হয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁদের। ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ থেকে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এত বড় যুদ্ধের সাক্ষী থাকেনি ইউরোপ সহ গোটা বিশ্ব।

রাশিয়ায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ২১ বছরের যুবক হেমিল অশ্বিনভাই মাঙ্গুকিয়ার মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তার মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, অশ্বিন গুজরাটের সুরাটের বাসিন্দা। আশ্চর্যের বিষয় হলো তিনি রাশিয়ায় হেল্পার হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে জালিয়াতি করে জোর করে যুদ্ধে পাঠানো হয়। তাকে গুলি চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল। সেই সময় ইউক্রেন একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, তাতেই মৃত্যু হয় ভারতীয় এই যুবকের।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনাটি ঘটেছে ২১শে ফেব্রুয়ারি। সম্প্রতি বিদেশ মন্ত্রক স্বীকার করেছে যে রাশিয়ায় যুবকদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হচ্ছে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত থেকে এমন ৬০ জনকে হেল্পার নিযুক্ত করা হয়েছিল এবং রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে সকলকেই যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন করা হয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে রাশিয়ার সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে ভারত সরকার। যুবকদের ভারতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টাও চালানো হচ্ছে।

তথ্য অনুযায়ী, রুশ সীমান্তের কাছে দোনেৎস্ক এলাকায় মৃত্যু হয় অশ্বিনের। তিনি তার পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা বলেছিলেন ২০ ফেব্রুয়ারি। বাবা অশ্বিন মাঙ্গুকিয়া, যিনি একটি এমব্রয়ডারি শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন ছেলের মৃত্যুর প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আমরা বিনীতভাবে আমাদের সরকারকে রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে এবং আমার ছেলের দেহ সুরাটে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করছি। তার দেহ কোথায় তা আমরা জানি না আমরা অসহায়,”।

তিনি আরও বলেন, মারা যাওয়ার আগের দিন ২০ ফেব্রুয়ারি পরিবারের সঙ্গে ছেলের কথা হয়েছিল। পরিবার স্রেফ জানত ছেলে হেলার হিসাবে রাশিয়ায় কাজে গিয়েছে। পরে তারা জানতে পেরেছিল যে হেমিলকে ইউক্রেন সীমান্তে "যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন করা হয়েছে"।

অশ্বিন বলেন, হেমিলের মৃত্যুর খবর তাদের কাছে ২৩ ফেব্রুয়ারি পৌঁছায়। “কেউ যে নিজেকে ইমরান বলে পরিচয় দেয়, হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা, যার ভাইও হেমিলের সঙ্গে ছিলেন, শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় আমাদের ফোন করে তার মৃত্যুর খবর জানান। যুদ্ধক্ষেত্রে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি"।

হেমিলের ভাই অতুল মাঙ্গুকিয়া বলেন, “আমরা কী করব বুঝতে পারছি না। আমরা বিনীতভাবে আমাদের সরকারকে আমাদের সাহায্য করার জন্য এবং দাদার দেহ সুরাটে ফিরিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করছি। আমাদের সরকার ইউক্রেনের বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে পড়া হাজার হাজার ভারতীয় ছাত্রদের সাহায্য করেছে এবং তাদের নিরাপদে বাড়িতে নিয়ে এসেছে।”

Russia missile strike, Indian killed in Russia war zone, condolence meeting, Hemil Mangukiya, indian express news
হেমিল অশ্বিনভাই মাঙ্গুকিয়া
Russia-Ukraine Conflict
Advertisment