scorecardresearch

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিলের বিরোধিতা ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের

আইএমএর বক্তব্য, বিলটি মূলত বাহ্যিকভাবে সংশোধন করা হয়েছে। যেসব মূল সমস্যা আইএমএ চিহ্নিত করেছিল তা উল্লেখই করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন পুনের ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা: সঞ্জয় পাটিল।

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিলের বিরোধিতা ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের
ডাক্তারি শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব কমছে এনএমসি বিল-এ? (প্রতীকী ছবি)

চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না সেরা শিক্ষার্থীদের, এমনই অভিযোগ এনেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি) বিল ২০১৯-এর বিরোধিতা করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) এমারজেন্সি অ্যাকশান কমিটি। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকেই এই বিলের বিরোধিতা করে আসছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। আইএমএর বক্তব্য, বিলটি মূলত বাহ্যিকভাবে সংশোধন করা হয়েছে। যেসব মূল সমস্যা আইএমএ চিহ্নিত করেছিল তা উল্লেখই করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন পুনের ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা: সঞ্জয় পাটিল।

আরও পড়ুন, আম্রপালি দুর্নীতিতে নাম জড়াল ধোনির স্ত্রী সাক্ষীর

মূল সমস্যা কোথায়?

আইএমএ কর্তৃক প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে যে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি) বিল সংসদে পাশ হয়ে গেলে তা তথাকথিত ডাক্তার নয় এমন কিছু স্বাস্থ্যকর্মীদেরও ডাক্তারি করার জন্য সহায়তা করবে। বিবৃতিটিতে এও বলা হয় যে, এনইইটি (নিট) এবং এনইএক্সটি (নেক্সট) পরীক্ষার সংযুক্তিকরণের জন্য এমবিবিএস স্নাতকদের প্রায় ৫০ শতাংশ মেডিসিন প্র্যাক্টিসও যথাযথভাবে করতে সক্ষম হচ্ছেন না। ডা: পাটিল তাঁর বিবৃতিতে বলেন, “দূরদৃষ্টি এবং স্বচ্ছতার অভাবেই নেক্সট এবং নিট পরীক্ষা দু’টিকে সংযুক্ত করা হল। নিট পরীক্ষার গুরুত্ব হল, এই পরীক্ষার মাধ্যমে সেরা শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করে তাঁদের স্নাতকোত্তরে ডাক্তারি প্র্যাকটিস করার অনুমতি দেওয়া হয়। অন্যদিকে, লাইসেন্সিয়েট পরীক্ষার মাধ্যমে সর্বনিম্ম যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যাক্তিকে ডাক্তারি প্র্যাকটিস করার সুযোগ দেওয়া হয়। ফলে সমাজে দুটির গুরুত্ব কিন্তু আলাদা। কীভাবে এই দুটি পরীক্ষাকে পুনর্মিলিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে তা এখনও আমরা জানি না”।

আরও পড়ুন, প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য কী ঘোষণা করতে চলেছেন শিক্ষামন্ত্রী?

আইএমএর এক আধিকারিক জানান, “ভারতবর্ষে পাঁচশো মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে ২৭৯টিরও বেশি মেডিক্যাল কলেজ বেসরকারি। বর্তমানে একটি মেডিক্যাল কলেজ খোলার ক্ষেত্রে যে মানদণ্ড এবং যোগ্যতার প্রয়োজন হয় সেই যোগ্যতাতেও আনা হয়েছে শৈথিল্য। এমনকী ভারতে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও ব্যক্তিগত অংশীদারিত্ব এনে, বাণিজ্যিকরণ ঘটিয়ে ভয়ানক পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। এরফলে চিকিৎসার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে”। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়, “আইএমএর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হচ্ছে, যাতে সংসদে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি) বিলটিতে সবদিক বিচার করে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। রোগী মৃত্যু এবং চিকিৎসকদের হরতালের ঘটনা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তার বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সংগ্রাম জারি থাকবে”।

Read the full story in English

Stay updated with the latest news headlines and all the latest General news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Indian medical association decided to opposes national medical commission bill