গতমাসে দিল্লির তবলিগি জামাতের সমাবেশ বর্তমানে COVID-19 হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় আজ মধ্যরাত থেকে শুরু করে আগামীকাল পর্যন্ত চলা শব-এ-বারাত উদযাপনে কোনোরকম সমাবেশ অথবা সামাজিক মেলামেশা যাতে না ঘটে, সেই উদ্দেশ্যে একটি যৌথ আবেদন জারি করেছেন গোষ্ঠী বা সংগঠন নির্বিশেষে একাধিক মুসলমান ধর্মীয় নেতা। এই আবেদনে শামিল হয়েছেন কলকাতার মুসলমান ধর্মীয় নেতারাও।
তাঁদের তিন অনুচ্ছেদের বার্তা নানা ভাষায় ছাপা হয়েছে। মূল বক্তব্য হলো, "এই ভাইরাসের থেকে নিজেদের রক্ষা করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, এবং কোথাও জমায়েত না হওয়া। শব-এ-বারাতের সময়ও এই নিয়ম পালন করাই বুদ্ধির কাজ।"
বার্তায় বলা হয়েছে "সমস্ত মুসলমান বাড়িতেই শব-এ-বারাতের প্রার্থনা করুন, পবিত্র কোরান পাঠ করুন, ও জিকর এবং দুয়া করুন", এবং আরও বলা হয়েছে যে প্রথা মেনে "গোরস্থানে না গিয়ে নিজেদের মৃত আত্মীয়দের জন্য বাড়ি থেকেই প্রার্থনা করুন"।
শব-এ-বারাতের রাতে পূর্বপুরুষ এবং কাছের মানুষদের স্মৃতিতে গোরস্থানে প্রার্থনা করার রীতি রয়েছে মুসলমানদের মধ্যে।
এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, "আমরা বিশেষভাবে আবেদন জানাচ্ছি আমাদের যুবসমাজের কাছে, যাতে তারা আজ রাতে বাইরে যাওয়ার কোনও চেষ্টা না করে... বাড়িতে থাকে, প্রার্থনা করে এবং দুয়া করে... যাতে আমাদের দেশের সমস্ত মানুষ এই মহামারীর হাত থেকে রেহাই পায়।"
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বরেলির মুসলিম ইত্তেহাদ পরিষদের সভাপতি মৌলানা তৌকির রাজা খান; জামিয়াত-উলেমা-এ হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মৌলানা সৈয়দ মাহমুদ মদনি; জামাত ইসলামি হিন্দের 'আমির' সৈয়দ সাদাতুল্লা হুসেইনি; দিল্লির মসজিদ ফতেপুরির শাহি ইমাম মৌলানা মুফতি মহম্মদ মুকররম সহ আরও অনেকে।
অন্যদিকে, তবলিগি জামাতের সমাবেশের জেরে "সমগ্র মুসলমান সম্প্রদায়ের দানবায়ন" করা হচ্ছে, এই অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা দিয়েছে জামিয়াত-উলেমা-এ হিন্দ।