কয়েকদিন আগেই ভূমি সংস্করণের সফল উৎক্ষেপণ হয়েছিল। এবার সুপারসনিক মিসাইল ব্রহ্মসের নৌসেনা সংস্করণ নিখুঁত ভাবে লক্ষ্যভেদ করল বঙ্গোপসাগরে। মঙ্গলবার তিন বাহিনীর পরিষেবায় অন্তর্ভুক্তির জন্য ট্রায়াল সিরিজ হয়। ৬ সপ্তাহ আগেই ভারতীয় নৌসেনা আরব সাগরে এমনই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে।
শব্দের চেয়ে বেশি দ্রুতগামী ব্রহ্মস পৃথিবীর অন্যতম দ্রুতগামী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। শুরুতে এর পাল্লা ছিল ২৯০ কিমি। কিন্তু সেইসময় কিছু আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিগত বাধার কারণে এর সীমারেখা তৈরি করা হয়। ২০১৬ সালে ভারত মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিমে বা এসটিসিআরের সদস্য হওয়ার পর রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তায় এই মিসাইলের পাল্লা বাড়িয়ে ৪৫০ কিমি করা হয়।
আরও পড়ুন ব্রহ্মপুত্রের উপরে বিশাল বাঁধ গড়ছে চিন, সমস্যায় পড়তে পারে ভারত
পরমাণু বিস্ফোরক বহনে সক্ষম ব্রহ্মস রণতরী বা সুখোই-৩০ এর মতো ফাইটার জেট থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। জাহাজ বিধ্বংসীকারী সংস্করণ ভারতীয় বায়ুসেনার অধীনে রয়েছে। ডিআরডিও-র তৈরি নয়া ভূমি সংস্করণের গতিবেগ ২.৮ ম্যাক (শব্দের চেয়ে ২.৮ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন)।
গত ৩০ অক্টোবর ভারতীয় বায়ুসেনা আকাশপথে সুখোই যুদ্ধবিমান থেকে বঙ্গোপসাগরে ব্রহ্মস মিসাইল নিক্ষেপ করে সফল পরীক্ষা করে। ব্রহ্মস বহনে সক্ষমতা বাড়াতে বায়ুসেনা ৪০টি সুখোই ফাইটার জেটকে আপগ্রেডেশন করেছে। ভারত ইতিমধ্যেই চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর লাদাখ এবং অনরুণাচল প্রদেশে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে রেখেছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন