Advertisment

'বিশ্বের বাজার দখলে নজর দিক দেশের ওষুধ সংস্থাগুলি', মন্তব্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

সাম্প্রতিক সময়ের মহামারী ভারতের ওষুধ শিল্পকে স্বনির্ভর হতে শিখিয়েছে বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ড্যভিয়া।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Indian pharma should focus on global market, says Mandaviya

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া

'মহামারী ভারতের ওষুধ শিল্পকে স্বনির্ভর হতে শিখিয়েছে', এমনই মনে করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ড্যভিয়া। তবে দেশের ওষুধ শিল্পে আরও বেশি উদ্ভাবনী শক্তির মিশেল প্রয়োজন বলেও মত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর, সেটা হলে ভারতের ওষুধ সংস্থাগুলি বিশ্বের বাজারও দখল করবে বলে আশাবাদী মাণ্ড্যভিয়া। তাঁর কথায়, ''শুধুই স্বল্পমূল্যের জেনেরিক ওষুধ নয়, পেটেন্ট ওষুধ উৎপাদনের দিকেও নজর দিতে হবে।''

Advertisment

ইন্ডিয়া ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইস কনফারেন্সে বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ''সাম্প্রতিক মহামারীর পরিস্থিতি এই সেক্টরের স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে। আমাদের এই ক্ষেত্রটিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য কাজ করতে হবে। আগামী ২৫ বছরের জন্য ফার্মা এবং মেডিক্যাল ডিভাইসের একটি রোডম্যাপ তৈরির জন্য আমরা সচেষ্ট থাকব। ভারতীয় ফার্মা শিল্প তার ন্যায্য দাম এবং মানসম্পন্ন ওষুধের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। গবেষণা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমরা শীঘ্রই চিকিৎসা ডিভাইসেও প্রতিযোগিতামূলক উন্নতি অর্জন করতে পারব।''

তিনি আরও বলেন, ''শুধু তৈরি পণ্যই নয়, মূল উপকরণ তৈরিতেও দেশকে স্বনির্ভর করতে হবে। আমরা বেশ কিছু অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) চিহ্নিত করেছি এবং দেশে তাদের উৎপাদন শুরু করেছি। এখন বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য উন্মুখ হতে হবে।''

আরও পড়ুন- লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী দেশের কোভিড-গ্রাফ, ১৫ হাজার ছাড়াল অ্যাক্টিভ কেস

অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার প্রতিমন্ত্রী ভগবন্থ খুবা বলেন, ''আমাদের সরকার শিল্পের জন্য একটি সহায়ক এবং সক্ষম বাস্তুতন্ত্র নিশ্চিত করার জন্য প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর জেরে জেনেরিকের প্রস্তুতকারক থেকে শুরু করে বেশি দামের পেটেন্ট ওষুধ, সেল এবং জিন থেরাপির মতো নতুন প্রযুক্তি, নির্ভুল ওষুধের মানের একটি চেইনকে এগিয়ে নিতে সক্ষম করবে। অন্য দেশের তুলনায় আমাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা হল দামের প্রতিযোগিতা এবং গুণমান।''

ওই একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফার্মাসিউটিক্যালস বিভাগের সচিব এস অপর্ণা। তিনি বলেন, ''এই পদক্ষেপগুলি ২০২৫ সালের মধ্যে ফার্মাসিউটিক্যাল এবং মেডিক্যাল ডিভাইস শিল্পের ক্ষেত্রটি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যেতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।''

Read story in English

Pandemic Mansukh Mandabya
Advertisment