Advertisment

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাতটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষরিত

শেখ হাসিনা এদিন ৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে ভারতের ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কের আধার পারস্পরিক বিশ্বাস। যা ক্রমশ পোক্ত হচ্ছে।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি সাক্ষরিত।

ভারত ও বাংলাদেশের সাক্ষরিত হল সাতটি চুক্তি। শনিবার, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে এই চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এদিন, হায়দরাবাদ হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন মোদী ও হাসিনা। তারপর যৌথ সাংবিক সম্মেলনে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীরা দ্বিপাক্ষিক এই চুক্তির বিষয়টি জানান, যার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হল, ভারত বাংলাদেশের মধ্যে বন্দরের ব্যবহার, জল বন্টন, শিক্ষা, সংস্কতি, উপকূলীয় অঞ্চলে নজরদারি।

Advertisment

এছাড়াও, এদিন ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে তিনটি প্রকল্পের সূচনা করেন ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ভারত উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির জন্য বাংলাদেশ থেকে এলপিজি গ্যাস আমদানি করবে। যা উভয় দেশের ক্ষেত্রেই 'অত্যন্ত ভাল' বলে জানান মোদী ও হাসিনা। পাশাপাশি সূচনা হয়, খুলনায় একটি কর্ম-দক্ষতা প্রতিষ্ঠানের ও ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের জন্য বিবেকানন্দ ভবনের। এই ভবনে প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী বসতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে। এই দুই প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারতের আর্থিক সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: সিবিডিটি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইআরএস অফিসার

শেখ হাসিনা এদিন ৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে ভারতের ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকলকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, 'ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কের আধার পারস্পরিক বিশ্বাস। যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পোক্ত হচ্ছে।'

আসামের এনআরসি ঘিরে নানা বিতর্ক। তারই মাঝে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন গোটা দেশে এনআরসি প্রয়োগ করে অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়িত করা হবে। অন্যদিকে, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ হয়েছে। মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ ঘিরে সরব পাকিস্তান। এনআরসি নিয়ে উদ্বীগ্ন ওপারের প্রশাসন। তবে, ভারত সফরে এসে গত বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন যে, 'প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথায় আস্বস্ত হয়েছি। এনআরসি নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।'

কখনও বন্য, আবার কখনও খরা। ফলে, পিঁয়াজের ফফলন ভাল হয়নি। উৎসবের মরসুমে ভারতে পিঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। পিঁযাজের দামের ঝাঁজে নাভিশ্বাস অবস্থা মধ্যবিত্তের। এই অবস্থায় পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে দেশ থেকে পিঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার। নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপে সমস্যায় বাংলাদেশ। ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হওয়ায় সেদেশে পিঁয়াজের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। এক লাফে বাংলাদেশে পিঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা থেকে ১১০ টাকায় পৌছে গিয়েচে। যা নিয়ে ভারত সফরেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা। ভারত যদি বাংলাদেশকে জানিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করত তাহলে সুবিধা হত বলে জানান ওপার বাংলার প্রধানমন্ত্রী। খানিক রসিকতার সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, 'পাচককে বলেছি যেন পিঁয়াজ না দিয়ে রান্না করতে।'

Read the full  story in English

Bangladesh PM Narendra Modi India Sheikh Hasina
Advertisment