অবশেষে 'স্পেশাল' খোলস থেকে মুক্ত হতে চলেছে সব মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন। কমবে ভাড়াও। রেল বোর্ডের ডেপুটি ডিরেক্টরের তরফে ইতিমধ্যেই এই নির্দেশ সংস্থার প্রতিটি জোনাল দফতরে পৌঁছে গিয়েছে। অবিলম্বে নির্দেশ কার্যকরের কথা বলা হয়েছে।
কোভিড পরিস্থিতিতে সব মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন চালানো সম্বভ হয়নি। কিন্তু, যেগুলি চলছিল সেইসব মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন ‘স্পেশাল’ তকমা দিয়ে চলছিল। কোভিডপূর্ব পরিস্থিতির তুলনায় ভাড়া প্রায় ভাড়া প্রায় দেড়গুন নেওয়া হচ্ছিল। কোভিড আবহে যাত্রীচাপ কমাতেই রেল এই পদক্ষেপ করেছিল বলে রেল সূত্রে খবর।
সংক্রমণ এখন এনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। জনজীবনও অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে। তবুও স্পেশাল তকমা দিয়েই চলছে সব মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন। যাত্রীদের ভাড়াও গুণতে হচ্ছে বেশি। যা ঘিরে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল। ক্ষোভ-বিক্ষোভ দানা বাঁধে। এরপরই মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিকে 'স্পেশাল' খোলস থেকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিল রেল। কমানো হচ্ছে ভাড়াও।
জোনাল দফতরগুলিকে লেখা নির্দেশিকায় রেলবোর্ডের ডেপুটি ডিরেক্টর কোচিং রাজেশ কুমার জানিয়েছেন যে, কোভিড পরিস্থিতির জন্য নিয়মিত মেল, এক্সপ্রেস চালানো সম্ভব হয়নি। অনিয়মিতভাবে কিছু ট্রেন চালানো শুরু হয়। প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেমে ট্রেনগুলিকে আনতে তার নম্বরের সামনে ‘শূন্য’ বসিয়ে স্পেশ্যাল তকমা বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে আসায় পুনরায় সব ট্রেন চালু হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট শ্রেণিতে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারিত হবে।
তবে, কবে থেকে নয়া বিধি কার্যকর হবে তা উল্লেখ নেই নির্দেশিকায়। রেলের এক সিনিয়ার আধিকারিকের কথায়, 'অবিলম্বে কার্যকরের কথা বলা হয়েছে। হয়তো এক-দু দিন সময় লাগবে।' বিভিন্ন রুটে বন্ধ হয়ে থাকা বিশেষ ট্রেনগুলি ফের চালু হবে কিনা সেকথাও নির্দেশিকার বলা হয়নি।
লকডাউনের জেরে রেলের আয় তলানিতে পৌঁছেছিল। কিন্তু, স্পেশাল ট্রেন চালিয়ে কোষাগার সামাল দিয়েছিল রেল।২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথমটির তুলনায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে যাত্রীপরিবহণ খাতে রেলের আয় ১১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন