অমৃতসরের দুর্ঘটনার পর সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে রেল লাইন ঘেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। ৩০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাঁচিল দিয়ে রেল লাইন ঘেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। রেল লাইনের দুধারে পাঁচিল বসাতে আনুমানিক খরচ হবে ২৫০০ কোটি টাকা।
লাইনের দু'ধারে পাঁচিলের উচ্চতা হবে ২.৭ মিটার। মূলত রেল লাইনের দুধারে যেখানে জনবসতি রয়েছে, সেখানেই দেওয়াল তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ে বোর্ড সদস্য বিশেষ চৌবে জানিয়েছেন, "রেল লাইনে যখন তখন মানুষ এবং পশুদের চলে আসা এতে অনেকটাই আটকানো যাবে। তাছাড়া পাঁচিলের উচ্চতার কারণে লাইনের ওপর যত্রতত্র আবর্জনা ফেলাও অনেকটা কমবে।
আরও পড়ুন: অমৃতসরের ঘটনার পরও শিক্ষা নেই! অবাধে চলছে পারাপার
রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশন মনে করছে ট্রেনের ১৬০ কিমি/ঘন্টা গতিবেগ ধরে রাখতে গেলে লাইনের দু'পাশে দেওয়াল তোলা আবশ্যক।
কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলকে (প্রায় ২০০০ কিলোমিটার) চিহ্নিত করে দু'পাশে দেওয়াল তোলার কথা রেল আগেই ভেবেছিল। অমৃতসরের দশেরার রাতের ভয়াবহ দুর্ঘটনা কর্তৃপক্ষের তৎপরতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের বাজেট থেকে এই খাতে খরচের জন্য ৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। রাষ্ট্রীয় রেল সংরক্ষণ কোষ থেকে খরচ করা হবে এই অর্থ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দেওয়াল তোলার কাজ শুরু করার জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডার ফেলা হয়ে গিয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অমৃতসরের দুর্ঘটনা ছাড়াও রেল লাইনে দুর্ঘটনা ভারতের মত দেশে প্রায় নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনা। গত তিন বছরে সারা দেশে প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ ট্রেনে কাটা পড়েছেন। শহরতলির জনবসতিপূর্ণ এলাকায় দুর্ঘটনার হার সবচেয়ে বেশি। যাত্রীদের অসতর্কতার কারণেই দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি হয়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মুম্বইয়ের মতো জায়গায় সবচেয়ে বেশি রেল দুর্ঘটনা ঘটে লাইনের দু'পাশে দেওয়াল বা ব্যারিকেড না থাকার কারণে, এবং পথচারীদের জন্য ওভারব্রিজ না থাকায়।
Read the full story in English