বন্দে ভারত রেলের ট্র্য়াকে প্রায়ই চলে আসছে গরু সব নানা পশু। ফলে বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানার অন্যতম দ্রুতগামীসম্পন্ন ট্রেন বন্দে ভারত-কে। বিভিন্ন রুটে গরুর সঙ্গে বন্দে ভারতের ধাক্কা লেগেছে। এরপরই বন্দ ভারতের ট্র্যাক মসৃণ রাখতে নড়েচড়ে বসল রেল মন্ত্রক। পশুদের আচমকা হাইপ্রোফাইল ট্রেনের ট্র্যাকে চলে আসা রুখতে লাইনের ধার বারবার বিশেষ ফেন্সিং বা বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক।
আহমেদাবাদ-মুম্বাই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের রুটের মূল পয়েন্টগুলিতে এই বেড়া লাগানো হবে। ইতিমধ্যেই রেলওয়ে তার পশ্চিমাঞ্চল ডিভিশনকে এই রুটে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার ট্র্যাকের ধারে বেড় দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছে।
একইভাবে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ-কানপুর রুটের ট্র্যাক বরাবর গবাদি পশুদের রুখতে তেল-লেপা বাঁশ ব্যবহার করা হবে। এই রুটে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গবাদি পশু ট্রেন লাইনের উপর চলে আসে। ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাব প্রবল।
বর্তমানে ভারতের জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রাস্তায় গবাদি পশু আসা ঠেকাতে তেল-লেপা বাঁশ দিয়ে বেড়া ব্যবহার করে। মানুষদের জাতীয় সড়ক পাড়াপাড়ের সময় দুর্ঘটনা রুখতেও এই বেড়া থাকে। আপাতত সেই ব্যবস্থা দিয়েই ট্রেনের ট্র্যাক বাঁচাতে মরিয়া রেল কর্তৃপক্ষ। তবে, বেড়ার নকশায় বদল থাকবে। এছাড়াও, সাবওয়ে প্রথা চালু করা যায় কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রেলওয়ে বোর্ডের একটি আদেশে বলা হয়েছে যে, এই ধরনের বেড়ার সফল কার্যকরের জন্য, এটিকে অ্যাক্সেস কন্ট্রোল বৈশিষ্ট্য সহ লেভেল ক্রসিং, ROB/RUB, ব্রিজের কাছে মানুষের যাতায়াত রুখতে সম্পূর্ণরূপে সিল করা দরকার।
এছাড়া, রেলওয়ে বোর্ডের আদেশে বলা হয়েছে যে বেড়াটি ট্র্যাক থেকে প্রায় 4-7 মিটার দূরে থাকা উচিত এবং সাধারণ পয়েন্ট যেমন লেভেল ক্রসিং থেকে মানুষ এবং গবাদি পশুদের বেড়া দেওয়া ট্র্যাকে কোনও অ্যাক্সেস পাওয়া উচিত নয়। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাশাপাশি, উত্তর মধ্য রেলওয়েকে এই আদেশ পাঠানো হয়েছে যাতে দিল্লি-হাওড়া করিডোরের গাজিয়াবাদ-কানপুর অংশের 20 কিলোমিটার বরাবর বাঁশের বেড়া নির্মাণের জন্য বলা হয়েছে।