আবার ভারতীয় যুবক খুন হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তেলেঙ্গানার ২৬ বছরের শরৎ কোপুলা মিসৌরির এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছিলেন। শুক্রবার রাতে কানসাস সিটির একটি রেস্তোরাঁয় তাঁর উপর গুলি চালায় এক আততায়ী। পড়াশোনার পাশাপাশি ওই রেস্তোরাঁয় কাজও করতেন শরৎ। শরতের বন্ধুরা জানিয়েছেন, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা চিকিৎসকরা।
শরতের বাবা, রাম মোহন বিএসএনএল-এ কর্মরত। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘শনিবার গভীর রাতে শরতের বন্ধুরা ফোন করে জানায় শরতকে গুলি করা হয়েছে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সে মারা গেছে।’’
এ খবরের নিশ্চিত করে টুইট করেছেন শিকাগোয় কর্মরত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতও।
রেস্তোরাঁর এক কর্মী স্থানীয় কানসাস সিটি স্টার সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, আততায়ীর পরণে ছিল বাদামির ওপর সাদা স্ট্রাইপ দেওয়া শার্ট। ওই ব্যক্তি ডাকাতি করার উদ্দেশ্যেই রেস্তোরাঁয় ঢুকেছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। শরৎ রেস্তোরাঁর পিছনে দৌড়ে যাওয়ার সময়ে তার পিঠে গুলি চালায় ওই আততায়ী, জানিয়েছেন ওই রেস্তোরাঁ কর্মী।
আততায়ীর পরিচয় এখনও অজ্ঞাত। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে এলাকাবাসীদের কাছে আততায়ীকে ধরার ব্যাপারে সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য এ বছরই কানসাস সিটিতে গিয়েছিলেন ওয়ারঙ্গল শহরের বাসিন্দা শরৎ কোপুলা। ২০১৪ সালে বাসবী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বি টেক পাশ করার পর হায়দরাবাদের একটি সংস্থায় চাকরি শুরু করেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি চাকরি ছেড়ে দেন।
শরতের মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিদেশমন্ত্রকের সহায়তা চেয়েছেন তাঁর বাবা। সাহায্য প্রার্থনা করেছেন তেলেঙ্গানার সরকারের কাছেও। দূতাবাসের তরফ থেকে এ ব্যাপারে সমস্ত সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে শরতের এক আত্মীয়মৃতদেহ দেশে ফেরানোর জন্য একটি তহবিল খুলেছেন। শনিবার ঘণ্টাতিনেকের মধ্যেই সে তহবিলে ২৫ হাজার ডলার জমা পড়েছে। শরতের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে এ ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করা হয়েছে। আলাদা করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সি মৌলি আগরওয়ালও।