কাজের প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে ভারতীয় যুবকদের ইউক্রেনের যুদ্ধের কাজে লাগানোর অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। এবিষয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছে বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে সেই সকল আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যে রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এর মাঝেই সামনে এসেছে একটি নতুন ভিডিও। সাতজনের ভারতীয় দল নতুন ভিডিওতে দাবি করেছে, তাদের রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। রাশিয়া তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের আটক করে রেখেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে আটকে থাকা আরও সাত ভারতীয়ের একটি দল ভারতে ফিরে আসার জন্য সরকারের সাহায্য চেয়ে এই সপ্তাহে দুটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এই সাত ভারতীয়ের নাম গগনদীপ সিং, লাভপ্রীত সিং, নারায়ণ সিং, গুরপ্রীত সিং, গুরপ্রীত সিং, হর্ষ কুমার এবং অভিষেক কুমার। তাদের মধ্যে পাঁচজন পাঞ্জাবের, বাকি দুইজন হরিয়ানার বলে জানা গিয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে, সাতজনকে একটি ঘরের মধ্যে সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে তাদের মধ্যে ৬ জন ঘরের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছেন এবং অন্য একজন তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলছেন।
তাদের মধ্যে একজনকে হিন্দিতে বলতে শোনা গিয়েছে "আমাদের জানানো হয় হেল্পার হিসাবে কাজ করতে হবে। কিন্তু রুশ সেনাবাহিনী অস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য আমাদের নাম তালিকাভুক্ত করেছে এবং আমাদের ইউক্রেনে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা আমাদের ফোন ছিনিয়ে নিয়েছিল"।
ভিডিওতে আরও বলতে শোনা যায় এর জন্য আমাদের ওরা একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে এবং আমরা না করলে আমাদের ১০ বছরের জন্য জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়। চুক্তিটি তাদের ভাষায় লেখা ছিল। আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি। কিন্তু আমাদের স্বাক্ষর করতে হয়েছে। আমাদের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি করা হয় এবং আমরা পরে বুঝতে পারি যে তারা আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে"।
গত সপ্তাহে, MEA মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন যে 'প্রায় ২০ জন ভারতীয় রুশ সেনাবাহিনীতে কাজ করছেন, তাদের উদ্ধারের জন্য ভারতীয় দূতাবাস রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন'।