যুদ্ধবিরতির সময়ে পূর্ব ইউক্রেন আটকে পড়া ভারতীয়রা নিরাপদে বের হতে পারেননি। সেই কারণে আটকে পড়া পড়ুয়াদের ফের সেই সুযোগ দেওয়ার আবেদন ভারতের। শনিবার যুদ্ধের দশম দিনে ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে রাশিয়া। আটকে থাকা সাধারণ নাগরিকদের নিরাপদে বেরতে সময় দিতেই ওই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল। মারিউপোল, ভলনোখোভা দিয়ে ‘হিউম্যান করিডোর’ করে সাধারণ নাগরিকদের বেরনোর সুযোগ দেয় রুশ সেনা।
Advertisment
যদিও পূর্ব ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের অনেকেই সেই রুট দিয়ে বেরোতে পারেননি। ক্রমাগত প্রতিশ্রুতি ভাঙছে রাশিয়া, এমনই অভিযোগ ইউক্রেনের। ইউক্রেন সারকার জানিয়েছে, মুখে সাধারণ নাগরিকদের বেরনোর সুযোগের কথা বলে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করলেও গোলাবর্ষণ জারি রেখেছিল রুশ সেনা। যার জেরে ওই হিউম্যান করিডোর দিয়ে বেরনো কার্যত দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছিল।
জানা গিয়েছে, শনিবার কিছু ভারতীয় ইউক্রেনের পশ্চিম সীমান্তের দিকে যেতে পেরেছিলেন। রাশিয়ার সঙ্গে থাকা পূর্ব সীমান্তে কেউই যেতে পারেননি। এদিকে, ইউক্রেনে আটকে থাকা নাগরিকদের ফেরাতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছে না কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবারও ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে সুমি এবং পিসোচিন ছাড়া ইউক্রেনে খুব বেশি ভারতীয় আটকে নেই। তিনি বলেন, ''প্রায় সব ভারতীয়ই খারকিভ ছেড়েছেন। গত কয়েকদিন ধরেই সেটি উদ্বেগজনক এলাকা ছিল।''
অন্যদিকে, ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, ''পিসোচিন থেকে সব ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তাঁদের নিরাপত্তা সবসময়ই অগ্রাধিকার।'' এর আগে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছিলেন, ''পিসোচিনের আশেপাশে কয়েক ঘন্টা আগেও ২৮৯ জন পড়ুয়া ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি আজকের মধ্যেই সেই কাজটি শেষ করতে পারব। সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইতিমধ্যে তিনটি বাস ছেড়ে গিয়েছে। পাঁচটি বাসে বাকিদেরও আমরা সরাতে পারব। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট স্পষ্ট করে জানাতে পারব।''