ভারতের চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান বৃহস্পতিবার পৃথিবীর চারপাশে একটি নতুন, উচ্চতর কক্ষপথে চলে গেছে। মহাকাশযান পৃথিবীর চতুর্থ কক্ষপথে সফলভাবে পৌঁছনোর পরে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এমনটাই জানিয়েছে। ইসরো টুইটে জানিয়েছে, 'ভারত চন্দ্রযান-৩কে চাঁদের একধাপ কাছাকাছি পৌঁছে দিয়ে ২০২৩ সালের আন্তর্জাতিক চাঁদ দিবস উদযাপন করছে। ইসরো টেলিমেট্রি, ট্র্যাকিং এবং কমান্ড নেটওয়ার্ক বেঙ্গালুরু থেকে চতুর্থ কক্ষপথে পৌঁছনোর কৌশলের সাক্ষী হয়েছে।' চন্দ্রযান-৩ আগামী মাসে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করতে চলেছে। বর্তমানে উপবৃত্তাকার তা পৃথিবীর চারপাশে কক্ষপথে ঘুরছে। ক্রমশ সেই কক্ষপথের দৈর্ঘ্য বাড়াচ্ছে।
মহাকাশযানটি চাঁদের দিকে সরাসরি অগ্রসর হতে শুরু করার আগে ক্রমাগত বৃহত্তর কক্ষপথে প্রবেশ করছে। এভাবেই পাঁচটি কক্ষপথ পেরনোর কথা। একবার চাঁদের কাছে পৌঁছে গেলে, এই মহাকাশযান চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে একটি বৃত্তাকার কক্ষপথে পৌঁছবে। তার আগে ধীরে ধীরে চাঁদের চারপাশে একের পর এক ছোট কক্ষপথে প্রবেশ করবে। এইভাবে বৃত্তাকার কক্ষপথ থেকে এই মহাকাশযান চাঁদের পৃষ্ঠে চূড়ান্ত অবতরণ করবে ২৩ বা ২৪ আগস্ট।
আরও পড়ুন- সরকারে টালমাটাল, এক মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হলেন মুখ্যমন্ত্রী
চন্দ্রযান-৩ তার এই যাত্রাকে অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী করতেই সরাসরি চাঁদে যাওয়ার পরিবর্তে একটি বৃত্তাকার পথে চাঁদে প্রবেশ করছে। যদি এই যান সরাসরি চাঁদে যেত, তবে প্রায় চার দিন সময় লাগত। কিন্তু, সেক্ষেত্রে এই মহাকাশযানকে মহাকাশ ছেড়ে যেতে অনেক ভারী রকেট এবং বিপুল পরিমাণ জ্বালানি ব্যবহার করতে হত। বদলে, চন্দ্রযান-৩ কে পৃথিবীর কাছাকাছি একটি কক্ষপথে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখান থেকে এটি গতি অর্জনের জন্য অভিকর্ষ বল ব্যবহার করেছে। তারপরে ফায়ার থ্রাস্টারকে উচ্চতর কক্ষপথে পৌঁছনোর জন্য ব্যবহার করেছে। এই পদ্ধতিতে চাঁদে পৌঁছতে একটু বেশি সময় লাগছে। ISRO জানিয়েছে পৃথিবীর পঞ্চম এবং চূড়ান্ত কক্ষপথে চন্দ্রায়ন-৩ আগামী ২৫ জুলাই দুপুর ২টো থেকে ৩টার মধ্যে পৌঁছবে।