মে মাসের মাঝামাঝি দেশে দৈনিক সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। দিনে ৩৩-৩৫ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হবেন সেই সময়, এমনটাই আশঙ্কা আইআইটি-র বিজ্ঞানীদের। এদিনই, ভারতে দৈনিক সংক্রমণ ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২৬৩ জনের। তার মধ্যে এমনই উদ্বেগজনক দাবি করলেন বিজ্ঞানীরা।
আইআইটি কানপুর এবং হায়দরাবাদের বিজ্ঞানীরা সূত্র মডেল গবেষণা করে দেখেছেন, মে মাসের মাঝামাঝি দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১০ লক্ষ বেড়ে যাবে। তাঁদের দাবি, দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং তেলেঙ্গানায় এপ্রিলের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী হবে সংক্রমণ। সংক্রমণের শীর্ষে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে মহারাষ্ট্র ও ছত্তিশগড়।
আইআইটি কানপুরের কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়াল জানিয়েছেন, মে মাসের ১১-১৫ তারিখে সম্ভাব্য দৈনিক সংক্রমণ ৩৩-৩৫ লক্ষে পৌঁছবে। তবে যত দ্রুত এই করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হবে ততই দ্রুত এটা নিম্নমুখী হবে। মে মাসের শেষের দিকে দৈনিক সংক্রমণ দ্রুত নিম্নমুখী হবে। অনেকটাই কমে যাবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
এ মাসের গোড়ায় গাণিতিক মডেল সূত্র অনুযায়ী পূর্বাভাস ছিল এপ্রিলে ১৫ তারিখের মধ্যে সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছবে, তবে তা মেলেনি। উল্লেখ্য, প্রতিদিন আক্রান্তের নিরিখে রেকর্ড গড়ছে ভারত। পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৩০ জন। দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তে নয়া রেকর্ড। এই বৃদ্ধির জেরে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬৯৫ জন।