করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট XE আক্রান্তের সন্ধান মিলল মুম্বইয়ে। কস্তুরবা হাসপাতালে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি)-এর সর্বশেষ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের সময় XE আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। গত সপ্তাহে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, কোভিড-১৯-এর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একটি নতুন স্ট্রেন ব্রিটেনে শনাক্ত হয়েছে। এটি করোনার আগের স্ট্রেনের চেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ব থেকে যখন করোনা প্রায় চলেই যাচ্ছে, সেই সময় এই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মেলায় উদ্বেগে বিশেষজ্ঞরা।
তবে, বিশেষজ্ঞরা একইসঙ্গে জানিয়েছেন, এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশেষ ভয়ের কিছু নেই। কারণ, করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট এখনও পর্যন্ত তেমন একটা মারাত্মক ক্ষতি করতে পারেনি। কারণ, বহু মানুষই ইতিমধ্যে করোনার টিকা নিয়ে ফেলেছেন। আবার কমবয়সিদের মধ্যে টিকাদান প্রক্রিয়াও দ্রুতগতিতে চলছে। তার ফলে মানুষের করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা ইতিমধ্যেই অনেকখানি বেড়েছে। তবে, বহু মানুষ ইচ্ছা করেই করোনার টিকা নেননি। আবার, একদম কমবয়সিদের করোনার টিকা দেওয়া হয়নি। তাদের অবশ্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। এটাই এখন একমাত্র আশা বিশেষজ্ঞদের।
তবে, এখনও পর্যন্ত নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো কী কী ক্ষতি করতে পারে, সেই ব্যাপারে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। তাই একেবারে নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। চিনে তো নতুন ভ্যারিয়েন্টের দৌলতে ব্যাপকহারে করোনা ছড়িয়েছে। তার ফলে বহু মানুষ সরকারি নির্দেশে ঘরবন্দি। তবে, সেখানও করোনা থেকে তেমন একটা মৃত্যুর খবর নেই। তাই বলে যদিও সতর্কতা হ্রাস করতে নারাজ বেজিং। প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। শুধু চিনই না। ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড-সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশেও ব্যাপকহারে করোনা ছড়িয়েছে। কিন্তু, সেখান থেকে করোনায় মৃত্যুর খবর তেমন একটা মেলেনি।
এর আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, ফের নতুন করে ছড়াতে পারে করোনার সংক্রমণ। শুধু তাই নয়, করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট কতটা ক্ষতিকারক হবে, তা এখনই আন্দাজ করা যাচ্ছে না। তাই সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে।
Read story in English