ভার্চুয়ালি দিল্লি মেট্রোর "ম্যাজেন্টা লাইন"-এ দেশের প্রথম চালকহীন মেট্রো ট্রেন পরিষেবা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ড্রাইভারহীন ট্রেন পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হবে, যা একেবারেই সুরক্ষিত।
দিল্লি মেট্রোর ম্যাজেন্টা লাইনে (জনকপুরী পশ্চিম-বোটানিক্যাল গার্ডেন) চালকবিহীন ট্রেন পরিষেবা শুরুর পরে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে পিঙ্ক লাইনে (মজলিস পার্ক-শিববিহার) চালকবিহীন ট্রেন পরিষেবা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ম্যাজেন্টা লাইনে জনকপুরী-বোটানিকাল গর্ডন করিডোরটিতে এই পরিষেবা চালু হওয়ার সাথে সাথে ৩৭ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে দিল্লি-এনসিআরের যাত্রীরা তাদের সুবিধার্থে অত্যাধুনিক পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন।
সোমবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে পরিষেবা উদ্বোধনের পরে মোদী জানান, ১৩০ কোটির বেশি জনসংখ্যার দেশে স্বয়ংক্রিয় মেট্রো পরিষেবার মাইলস্টোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কথায়, 'বিশ্বের আর্থিক এবং কৌশলগত শক্তির গুরুত্বপূর্ণ রাজধানী হল দিল্লি এবং সেই গৌরব ফুটে ওঠা দরকার। আমার বিশ্বাস যে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করতে থাকব এবং দিল্লির মানুষের জীবন আরও উন্নত করতে পারব এবং শহরকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
মোদী এও বলেন, “প্রথম চালকবিহীন মেট্রো ট্রেনের উদ্বোধন দেখায় যে ভারত কত দ্রুত স্মার্ট সিস্টেমের দিকে এগিয়ে চলেছে। মেট্রো পরিষেবা সম্প্রসারণের জন্য ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যয় কম করে, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে এবং ভারতীয় জনগণকে আরও বেশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে। ”
দেশের যে কোনও অঞ্চল থেকে ইস্যু করা রুপে-ডেবিট কার্ড থাকা যে কোনও ব্যক্তি এটি ব্যবহার করে রুটে যাতায়াত করতে পারবেন। পিএমও জানিয়েছে যে ২০২২ সালের মধ্যে দিল্লি মেট্রোর পুরো নেটওয়ার্কে এই সুবিধাটি পাওয়া যাবে। এই উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন