দেশের প্রথম আঞ্চলিক সেমি-হাইস্পিড রেল পরিষেবা চালু হতে চলেছে আজ। প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাত ধরেই চালু হতে চলেছে দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট রুটে রিজিওনাল ব়্যাপিন ট্রানজিট সিস্টেম। উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ৮ মার্চ দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট করিডরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট আরআরটিএস করিডরটি ১৭ কিমি দীর্ঘ। আজ উদ্বোধনের পর আগামিকাল, ২১ অক্টোবর থেকে যাত্রী পরিষেবা চালু হবে এই সিস্টেমে। মাত্র ১২ মিনিটেই দীর্ঘ ১৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে ‘নমো ভারত’।
এদিকে মোদীর নামে ট্রেনের নামকরণ প্রসঙ্গে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। দলের তরফে দাবি করা হয়েছেন প্রচারের কোনও সুযোগই হাতছাড়া করতে চাইছেন না মোদী। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'নমো স্টেডিয়ামের পরে এখন নমো ট্রেন। সত্যিই, তাঁর আত্মমগ্নতার কোনও সীমা নেই।' কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেছেন, দেশের নাম ভারত রাখারই বা দরকার কী? দেশের নাম বদলে নমো রাখলেই একেবারে মিটে যায়।'
ভারতের প্রথম ব়্যাপিড ট্রেন ‘নমো ভারতের’ আজই উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-সূত্রে জানা গিয়েছে নতুন ‘রিজিওন্যাল র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম’ ট্রেনগুলি ‘নমো ভারত’নামে পরিচিত হবে। দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট RRTS করিডোরের ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে নমো ভারত র্যাপিড ট্রেনের উদ্বোধনের একদিন পর ২১ অক্টোবর তা যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০ অক্টোবর দেশের প্রথম আঞ্চলিক র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম (RRTS) উদ্বোধন করতে চলেছেন। আরআরটিএস ট্রেনগুলি 'নমো ভারত' নামে পরিচিত হবে। আজ বেলা ১১.১৫ মিনিটে দেশের প্রথম র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম উদ্বোধন করবেন মোদী। সাহিবাবাদ এবং দুহাই ডিপোর মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে চলবে এই হাইস্পিড ট্রেন। এই বিভাগে সাহিবাবাদ, গাজিয়াবাদ, গুলধর, দুহাই এবং দুহাই ডিপো এই পাঁচটি স্টেশন রয়েছে।
প্রতি ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে চলবে এই ট্রেন। প্রতিটি র্যাপিড ট্রেনে থাকবে ৬টি কোচ। সঙ্গে থাকবে প্রিমিয়াম কোচও। মোট ১৭০০ যাত্রী একসঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবেন এই বিশেষ ট্রেনে। প্রতিবন্ধী/বয়স্ক নাগরিকদের জন্য থাকছে বিশেষ সংরক্ষিত আসন। দেশের প্রথম সেমি-হাই স্পিড ট্রেন RapidX ট্রেনে সাহিববাদ থেকে দুহাই ডিপো স্টেশনে যেতে যাত্রীদের গুনতে হবে ৫০ টাকার মাশুল। সর্বনিম্ন ভাড়া হবে মাত্র ২০ টাকা।
বুধবার NCRTC আধিকারিকরা RapidX ট্রেনের ভাড়ার হার ঘোষণা করেছেন। প্রিমিয়াম কোচে ভ্রমণ তুলনামূলক ব্যয়বহুল হবে। এই কোচে যাতায়াত করতে যাত্রীদের দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হবে। সাহিবাবাদ থেকে দুহাই ডিপো প্রিমিয়াম কোচে যেতে ভাড়া পড়বে ১০০টাকা। ৯০ সেমি উচ্চতা পর্যন্ত শিশুরা তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিনামূল্যে ভ্রমণ করতে পারবে। যাত্রীপিছু ২৫ কেজি লাগেজ বহনের সুযোগ থাকছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই- সূত্রে জানা গিয়েছে, হাই-টেক নমো ভারত ট্রেনের সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে প্রিমিয়াম ক্লাসের জন্য লাউঞ্জ। অত্যাধুনিক হাই-টেক ফিচার এবং আধুনিক সুবিধা দিয়ে সজ্জিত ট্রেনের কোচ। প্রতিটি নমো ভারত ট্রেনে একটি প্রিমিয়াম কোচ সহ ছয়টি কোচ থাকবে। প্রতিটি নমো ভারত ট্রেনে, একটি কোচ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে এবং এটি প্রিমিয়াম কোচের পাশেই থাকবে। ক্রমানুসারে কোচের আসন সংখ্যা করা হয়েছে।
নমো ভারত ট্রেনের প্রিমিয়াম কোচের কথা বললে, এতে আসন সংখ্যা ৬২টি। এটিতে সম্পূর্ণ বিশ্রামের সুবিধা রয়েছে। যাত্রীদের জন্য মোবাইল ও ল্যাপটপ চার্জ করার সুবিধা থাকবে। নিরাপত্তার কারণে এতে প্যানিক বাটনও থাকবে। এই কোচে যাতায়াতকারী যাত্রীদের জন্য একটি লাউঞ্জও থাকবে।
নমো ভারত-এর স্ট্যান্ডার্ড কোচে, ৭২টি আসন থাকবে। এই কোচে জরুরী পরিস্থিতিতে একজন অ্যাটেনডেন্ট পৌঁছাবেন, প্যানিক বাটনের সুবিধাও দেওয়া হয়েছে এই কোচে। এই কোচের যাত্রীদের জন্য কোনো লাউঞ্জ সুবিধা থাকবে না, তবে যাত্রীরা ম্যানুয়ালি ট্রেনের দরজা খোলার সুবিধা পাবেন।