দিল্লির সদর বাজারে একটি সেলাই মেশিন নিয়ে সরু একচিলতে ঘরে বসে পতাকা সেলাই করে চলেছেন আবদুল গাফফর। একদিনেই তৈরি করেছেন দেড় লক্ষ জাতীয় পতাকা। ৭১ বছর বয়সি আব্দুল চাচা, ৬০ বছর ধরেই জাতীয় পতাকা তৈরি করছেন। গাফফরের তৈরি তেরঙা জরুরি অবস্থা, অটল বাজপেয়ী সরকার, আন্না হাজারে আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছে। আর এই বছর ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষে 'হর ঘর তিরঙ্গা' কর্মসূচীর যে আয়োজন করা হয়েছে মোদী সরকারের তরফে তাতে দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না আব্দুল চাচা।
আসন্ন স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে দোকানের চারটি ঘরেই স্তূপাকৃতি জাতীয় পতাকা। স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকীতে গোটা দেশে ২০কোটি ঘরে ১০০কোটি মানুষ ওড়াবেন জাতীয় পতাকা। ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই এবারের ব্যস্ততা অন্যান্য বছরের থেকে একেবারেই আলাদা। গফফরের কথায়, “১৯৭৫ সালের পর জাতীয় পতাকার এমন চাহিদা আগে চোখে পড়েনি”।
আরও পড়ুন: <‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচীতে মোদীরাজ্যে উড়বে ১ কোটি জাতীয় পতাকা, ঘোষণা গুজরাট সরকারের>
তিনি বলেন "সাধারণত, যখন ১৫ আগস্ট উপলক্ষে আমরা দিনে ৪,০০০ থেকে ৫,০০০ পতাকা তৈরি করি। কিন্তু এ বছর আমরা প্রতিদিন এক লাখেরও বেশি পতাকা তৈরি করছি। গাফফরের ভাই আব্দুল মালিক সদর জানান, গাফফার প্রতিদিন ৫০০টি ফোন পান অর্ডারের জন্য। তার কথায়, এবছর একদিনে ২ লাখ জাতীয় পতাকা আমরা তৈরি করব এই আশা রাখি।
দোকানে প্রায় ৬০০ কারিগর পতাকা তৈরি করে চলেছেন। গফফর বলেন, আগে যে কারিগররা প্রতিদিন ২০০-২৫০ টাকা মজুরি পেত তারা এখন প্রতিদিন ৮০০-১০০০ টাকা আয় করছে।” শ্রমিকদের বেশিরভাগই মহিলা। আব্দুল গাফফরের দোকানে কর্মরত জহুর আহমেদ নামে একজন কারিগর বলেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ পতাকা তৈরি করি। আর যে মানুষটি ৬০ বছর ধরে জাতীয় পতাকা তৈরি করে চলেছেন, সেই আব্দুল গফফর বলেন, লাভের জন্য নয় দেশের জন্য আমি পতাকা তৈরি করি”।