গত পাঁচ বছর সময় ধরে ক্ষমতার দুর্গ যে ভাবে নির্মিত হয়েছিল, ২০১৯ সালের জনমত তার স্পষ্ট প্রতিফলন।
৩০৩টি আসন নিয়ে বিজেপির ক্ষমতায় আসার পর সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে সমীকরণ নতুন হতে শুরু করেছে। ২০১৯ সালে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ক্ষমতা তালিকা থেকে সে কথা স্পষ্ট।
তালিকার প্রথম দশে বিজেপি-আরএসএস ক্ষমতাকেন্দ্রের বাইরের ব্যক্তির সংখ্যা মাত্র দুই। একজন দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, অন্যজন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানি। তালিকার প্রথম ২০ জনের মধ্যে বিরোধীদের মধ্যে থেকে রয়েছে মাত্র দুটি নাম। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। উল্লেখ্য, তালিকায় অমরিন্দর সিংয়ের নাম আগে ও সোনিয়ার নাম পরে রয়েছে।
আঞ্চলিক স্তরের নেতানেত্রীদের ক্ষেত্রে ব্যাপক অবনমন ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৬ থেকে ২১ নংয়ে নেমেছেন। বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী এবং সমাজবাজী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব দুজনেই তালিকায় ৭০-এর কোঠায়, লালু প্রসাদের হাল আরও খারাপ হয়েছে, এবং একদা শিরোনামে থাকা হার্দিক প্যাটেল ও জিগনেশ মেভানিদের প্রায় খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না।
তালিকা থেকে আরও একটা উল্লেখযোগ্য বিষয় উঠে আসছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, যিনি জম্মু কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা রদের মাধ্যমে মোদী সরকারকে সে রাজ্যের ইতিহাস ভূগোল পাল্টে দেবার মত কাজে গুরুত্বরূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তিনি উঠে এসেছেন ৭ নম্বরে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণেরও আগে।
মাটিতে দাঁড়িয়ে যিনি এই পরিকল্পনা লাগু করেছেন, সেই জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যসচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম, একদা রাজ্যের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদ দুই পরিবার আবদুল্লা এবং মুফতিদের অনেক আগে রয়েছেন।
রাজনীতি ও বাণিজ্যগোষ্ঠীর মাথাদের বাইরে, তালিকার শীর্ষ চল্লিশে স্থান করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পিকে মিশ্র ও পিকে সিনহা এবং ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা।
তালিকায় রাজনীতির বাইরের জগতের মুখের সংখ্যা কমেছে। আর্থিক সংকোচনের এই সময়ে দাঁড়িয়ে বাণিজ্য গোষ্ঠীর উপস্থিতি গৌণ হয়ে পড়েছে।
ক্রীড়াক্ষেত্রে, বিশ্বকাপ হার সত্ত্বেও ক্রিকেটার বিরাট কোহলির অস্তিত্ব দিব্যি বহাল রয়েছে। এ ছাড়া সে জগতের যে দুজন মাত্র স্থান পেয়েছেন তাঁরা হলেন পি গোপী চাঁদ এবং পিভি সিন্ধু।
বিনোদনজগতে খানদের দীর্ঘদিনের রাজত্বেও অদলবদল হয়েছে। করণ জোহর উঠে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎকারের দৌলতে এবং তালিকায় এসেছেন অক্ষয়কুমার। স্থান হয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াতেরও।
এ ছাড়া রয়েছেন সর্বকালীন ফেভারিটরা। মোদী অ্যান্ড কোং ২০১৪ সাল থেকেই নিজেদের শিরোপা অক্ষুণ্ণ রেখেছেন। মাঝ আকাশে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছেন অমিতাভ বচ্চনও।
৭৬ বছর বয়সী দাদাসাহেব ফালকে বিজয়ীসুপারস্টার, তাঁর ক্রোড়পতি ধন্য পারফরম্যান্সের সুবাদে তালিকায় থেকেই গেছেন। সামান্য কয়েকটি বিতর্ক তাঁর তালিকার অবস্থানে এক দুধাপ এদিক ওদিক করতে পেরেছে মাত্র।
তালিকার প্রথম দশ
১. নরেন্দ্র মোদী (প্রধানমন্ত্রী), ৬৯
(২০১৮ সালেও তিনি ছিলেন এ তালিকার শীর্ষস্থানে)
কেন
৩০৩ আসন পেয়ে লোকসভা ভোটে রেকর্ড জয়ের পিছনে রয়েছেন তিনিই। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হবার সুবাদে দল ও সরকার দুইই তাঁর আওতায়। বহুধাবিভক্ত বিরোধী এবং তাঁর দুর্দান্ত জনপ্রিয়তা মোদীর আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণকে বহুগুণ বাড়িয়েছে।
পাওয়ার পাঞ্চ
দ্বিতীয় দফার শুরুতেই বিশ্বাসভাজন অমিত শাহকে গুরুত্বপূর্ণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্বভার দেওয়া এবং তিন তালাক বিলকে আইনে পরিণত করা ও জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ। প্রাক্তন আমলা এস জয়শঙ্করকে বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্বভার দিয়ে তিনি যে কিছু ভুল করেননি, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে নিউ ইয়র্কেই।
এর পর কী
২০১৯ সালে বিজেপির জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে প্রথম দফায় তাঁর কল্যাণমূলক প্রকল্প। আর্থিক মন্দার সময়েও সেই সুনাম বজায় রাখতে হবে।
একটা কথা
টিভি-র খবরের চ্যানেলের টিকারের দিকে দিনের একাধিক সময়ে নজর রাখেন তিনি।
২. অমিত শাহ (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ৫৪
(২০১৮ সালে ছিলেন তালিকার ২ নংয়ে)
কেন
বিজেপিকে নির্বাচন জয়ের যন্ত্রে পরিণত করা অমিত শাহ নরেন্দ্র মোদী সরকারের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মন্ত্রী। মন্ত্রী হিসেবে তাঁর গৃহীত সিদ্ধান্ত বিজেপি এবং তার আদর্শগত পিতৃপ্রতিম সংগঠন আরএসএসের কাছে তাঁকে লৌহমানব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
পাওয়ার পাঞ্চ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম সংসদ সেশনে অমিত শাহ দুটি বিল এনেছিলেন। একটি জম্মুকাশ্মীরে বিশেষ মর্যাদাদায়ী ৩৭০ নং অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার এবং দ্বিতীয়টি সে রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়ার। এই দুই পদক্ষেপকেই তিনি একনও পর্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করেছেন।
এরপর কী
৩৭০ ধারা রদ নিয়ে বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল বহুদিনের। এ অ্যাজেন্ডা আরএসএস এবং বিজেপির একেবারে হৃদয়ের। এবার সংঘের দীর্ঘদিনের আরও দুই দাবি, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তিনি কী করেন, সে দিকে তাকিয়ে বহু চোখ।
একটা কথা
গত কয়েক মাস ধরে খুঁটিয়ে মারাঠা ইতিহাস পড়ছেন তিনি।
৩. রঞ্জন গগৈ (প্রধান বিচারপতি) ৬৪
(২০১৮ সালে ছিলেন তালিকার ৪৫ নংয়ে)
কেন
আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত কেশবচন্দ্র গগৈয়ের পুত্র রঞ্জন গগৈ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন ২০১২ সালে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি এবং আরও চারজন বিচারপতি দেশের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব সাংবাদিক সম্মেলন করে শীর্ষ আদালত যে ভাবে বিভিন্ন বেঞ্চে মামলা বিতরণ করছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ ঘটনার ফলে তাঁর প্রধান বিচারপতি হিসেবে উত্তরণ নিয়ে কিছুটা প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছিল।
পাওয়ার পাঞ্চ
তাঁর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আসাম এনআরসি নিয়ে অবস্থান সুদৃঢ় রেখেছে। নিম্ন আদালতে বিচারক নিয়োগ নিয়েও হাইকোর্টগুলির কাছে প্রশ্ন তুলেছে যে আরেকটি বেঞ্চ, তারও নেতৃত্বে রয়েছেন তিনিই। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সংখ্যা ৩১ থেকে বাড়িয়ে ৩৪ করতেও সক্ষম হয়েছেন রঞ্জন গগৈ।
এরপর কী
পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে অযোধ্যা জমি মামলার শুনানি হচ্ছে ফাস্ট ট্র্যাক ভিত্তিতে। দু পক্ষকেই বিতর্ক শেষ করার ডেডলাইন দিয়ে রেখেছেন তিনি। ১৭ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসরগ্রহণ করবেন রঞ্জন গগৈ। সব যদি ঠিক থাকে তাহলে তার আগেই এ মামলায় রায় দিয়ে দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
আরেকটা কথা
গগৈ ভ্রমণবিলাসী।
৪. মোহন ভাগবত (আরএসএস প্রধান) ৬৮
(২০১৮ সালে ছিলেন চার নম্বরেই)
কেন
তাঁর নেতৃত্বে আরএসএস বহু নির্বাচনে জেতার ব্যাপারে বিজেপিকে সাহায্য করেছে। আরএসএসকে ঢেলে সাজিয়ে, তাকো গপন সংঘ থেকে খোলা মঞ্চে নিয়ে আসার ভাবনাও তাণর। গত বছর আরএসএস সদর দফতরে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর।
পাওয়ার পাঞ্চ
দিল্লিতে এক সম্মেলনে বিজেপির কংগ্রেস মুক্ত ভারত স্লোগান নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ভাগবত। তিনি বলেন, কোনও একজন ব্যক্তি দেশ নির্মাণ করতে পারে না।
এর পর কী
বিজেপি যখন সম্পূর্ণ ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছে, সে সময়ে দাঁড়িয়ে মোহন ভাগবতকেই সুনিশ্চিত করতে হবে যে আরএসএসের আদর্শ থেকে বিজেপি যেন বিচ্যুত না হয়।
অন্য কথা
একদা সোশাল মিডিয়ার বিরোধী মোহন ভাগবতের এখন একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে তাতে তিনি কোনওদিন কিছু পোস্ট করেননি।
৫. মুকেশ আম্বানি (রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার) ৬২
(২০১৮-য় ছিলেন ১০ নংয়ে)
কেন
তেল থেকে টেলিকম পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যবসায়ে যুক্ত সর্বাপেক্ষা লাভবান কোম্পানি রিলায়েন্স। ২০১৯ সালের আর্থিক বর্ষে লাভের পরিমাণ ৩৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও ভারতের সর্ববৃহৎ টেলিকম অপারেটর, যার উপভোক্তার সংখ্যা ৩৩১ মিলিয়ন।
পাওয়ার পাঞ্চ
ভারতের বর্তমান বৃহত্তম খুচরো ব্যবসায়ী রিলায়েন্স ইন্ডিয়া লিমিটেডকে অধিগ্রহণ করেছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ খুচরো খেলনা ব্যবসায়ী সংস্থা হ্যামলেস।
এরপর কী
একত্রীকরণ এবং ঋণহ্রাস আম্বানির সম্ভাব্য লক্ষ্য। রিলায়েন্স কাদের ঋণ কমানোর জন্য ২০ শতাংশ শেয়ার সৌদি অ্যারামকোকে বিক্রির কথা ঘোষণা করেছে।
এ ছাড়াও
আম্বানি ভারতের পার্টনারশিপে আর্মানি, হুগো বস, জিমি চু এবং এম অ্যান্ড এসের মত ৫৫টি বিশ্ব ব্র্যান্ডের ব্যবসা পরিচালনা করে।
৬. রাজনাথ সিং (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ৬৮
(২০১৮-য় তালিকায় ৭ নংয়ে ছিলেন)
কেন
টেকনিক্যাল দিক থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মন্ত্রিসভার ২ নম্বর রাজনাথ সিং পাঁচ বছরের বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন রাইসিনা হিলসে। প্রথমে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এখন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ত সমস্ত বিষয় সম্পর্কে সিদ্ধান্তগ্রহণকারী দুটি মন্ত্রকের শীর্ষস্থানে থাকা ব্যক্তি দুর্লভ।
পাওয়ার পাঞ্চ
দ্বিতীয় মোদী সরকার যখন নয়া ক্যাবিনেট কমিটি ঘোষণা করেন, তথন তার সবকটিতেই স্থান ছিল অমিত শাহের, রাজনাথ সিং জায়গা পেয়েছিলেন মাত্র দুটিতে। মাত্র ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই সরকার সে নির্দেশ সংশোধন করে। রাজনাথ সিং সব কমিটিতেই জায়গা পান।
এরপর কী
দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স মনোনয়ন
অন্য কথা
প্রথম মোদী সরকারের আমলে রাজনাথ সিংই শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রীদের মধ্যে একমাত্র যিনি মার্কিন বা ব্রিটেন সফরে যাননি।
৭. অজিত ডোভাল (জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা) ৭৪
(২০১৮ সালে তালিকায় ২৩ নংয়ে ছিলেন)
কেন
কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের পরিকল্পনার কথা যে হাতে গোনা কয়েকজন জানতেন, তার মধ্যে ছিলেন অজিত ডোভাল। জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাঁর মতামত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
পাওয়ার পাঞ্চ
উপত্যকায় অচলাবস্থা চলার সময়ে কাশ্মীরে ঘাঁটি গেড়েছিলেন অজিত ডোভাল। মোদী সরকারের তরফ থেকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার ব্যাপারে তিনিই ছিলেন প্রথম আধিকারিক। দ্বিতীয় মোদী সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর ক্যাবিনেট পর্যায়ে তাঁর উন্নতি হয়েছে।
এরপর কী
সরকার চিফ অফ ডিফেন্সের দফতর তৈরি করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এখন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে আরও মনোযোগ দিতে পারবেন।
অন্য কথা
বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার আসন্ন একটি ছবিতে অজিত ডোভালের চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন।
৮. নির্মলা সীতারমণ (অর্থমন্ত্রী) ৬০
(২০১৮-র তালিকায় স্থান ছিল ২২ নম্বরে)
কেন
সীতারমণ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ২০০৬ সালে। জেএনইউতে পড়াশোনা করার সময়ে তিনি ছিলেন মুক্ত চিন্তা গোষ্ঠীর সদস্য। টিভি বিতর্কে দলের হয়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করার সুবাদে লো-প্রোফাইল নেত্রী থেকে তাঁর উত্থান ঘটে। তিনিই ভারতের প্রথম মহিলা প্রতিরক্ষামন্ত্রী, এবং প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রী। নিরাপত্তা বিষয়ক এলিট ক্যাবিনেট কমিটির সদস্যদের মধ্যে তিনিই একমাত্র মহিলা।
পাওয়ার পাঞ্চ
অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে বিশাল পরিমাণ কর্পোরেট কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছেন, ১৯৯১-৯২ সালের সংস্কারের পর আর তেমন দেখা যায়নি।
এরপর কী
ভারতের অর্থনীতি যে ভাবে নাগরদোলায় চেপেছে, তাতে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে এ সময়টা বেশ কঠিন।
অন্য কথা
নির্মলা সীতারমণের কাছে সরাসরি তাঁতীদের কাছ থেকে কেনা হাতে তৈরি শাড়ির সম্ভার রয়েছে।
৯. নিতিন গড়করি (পরিবহণ, সড়ক এবং অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ বিষয়ক মন্ত্রী) ৬২
(২০১৮ সালে তালিকায় ছিলেন ১২ নম্বরে)
কেন
সড়ক বিষয়ে তিনি যে ভূমিকা নিয়েছিলেন তার সাপেক্ষে প্রথম মোদী মন্ত্রিসবার সবচেয়ে সফল মন্ত্রী বলে তাঁকে ধরে নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় মোটর ভেহিকেলস সংশোধনী বিল পাশ হয়ে যাওয়ার পিছনে তাঁর ক্রমান্বয়ে চেষ্টা ছাড়াও বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ককে দায়ী বলে মনে করা হয়।
পাওয়ার পাঞ্চ
বিজেপি শাসিত রাজ্য সহ বিভিন্ন রাজ্য মোটর ভেহিকেল আইনের বিরোধিতা করা সত্ত্বেও তিনি অবস্থান বদলাননি।
এরপর কী
জমির ক্রমবর্ধমান দামবৃদ্ধি সত্ত্বেও দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের মত হাই ভ্যালু প্রকল্প চালু এবং গাড়ি বর্জন করা সম্পর্কিত নীতি তৈরি তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য।
অন্য কথা
তিনি হিন্দি গান গাইতে ভালবাসেন।
১০. জেপি নাড্ডা (বিজেপি কার্যকরী সভাপতি) ৫৮
(আগের তালিকায় ছিলেন না)
কেন
অমিত শাহ যখন সরকারে যোগ দেন, তথন বিজেপিতে তাঁর ডান হাত ছিলেন জেপি নাড্ডা। তখনই ধরে নেওয়া হয়েছিল অন্তর্বর্তী নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে বিশ্বের সর্বৃহৎ রাজনৈতিক দলটির ক্ষমতা তাঁর হাতেই যাবে। ২০১৯ সালের ভোট, উত্তরপ্রদেশে দলের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সপা-বসপা জোটের বিরুদ্ধে বিজেপির ভাল ফলের কৃতিত্ব তাঁর।
পাওয়ার পাঞ্চ
তাঁর নেতৃত্বেই দলের সদস্যংখ্যা বেড়েছে ৭ কোটি।
এর পর কী
একবার দলীয় সভাপতির ক্ষমতা হাতে পেলে নাড্ডার কঠিন পরীক্ষা হবে, বিজেপি সভাপতি হিসেবে অমিত শাহের আনা জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।
অন্য কথা
পরিচ্ছন্নতার বাতিক রয়েছে নাড্ডার। টেবিলের উপর একটি ডাস্টার রেখে দিয়েছেন তিনি। মাঝেমাঝেই ঝাড়ামোছা করতে থাকেন।
এ ছাড়া তালিকায় যাঁরা রয়েছেন তাঁরা হলেন
১১. আদিত্যনাথ যোগী (উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী), ৪৭, (২০১৮ সালের তালিকায় ছিলেন ৯ নং-এ)
১২. দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী) ৪৯. (২০১৮ সালের তালিকায় ছিলেন ১৬ নংয়ে)
১৩. পীযুষ গোয়েল (রেল ও বাণিজ্যমন্ত্রী) ৫৫, (২০১৮ সালে ছিলেন ৩৩ নংয়ে)
১৪. ধর্মেন্দ্র প্রধান (পেট্রোলিয়াম ও গ্যাস মন্ত্রী) ৫০, (২০১৮ সালে ছিলেন ৩২ নম্বরে)
১৫. অমরিন্দর সিং (পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী) ৭৭ (২০১৮ সালে ৩১ নম্বরে)
১৬. বি এল সন্তোষ (বিজেপি সাধারণ সম্পাদক, সংগঠন), ৫৩ (২০১৮ সালে তালিকায় ছিলেন না)
১৭. সোনিয়া গান্ধী (অন্তর্বর্তী কংগ্রেস সভানেত্রী), ৭২ (২০১৮ সালে তালিকার ৫ নম্বরে ছিলেন)
১৮. নীতীশ কুমার (বিহারের মুখ্যমন্ত্রী) ৬৮, (২০১৮ সালে ছিলেন ৪৯ নম্বরে)
১৯. পিকে মিশ্র (প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রধান সচিব), ৭১ (২০১৮ সালে তালিকার ৪৪ নম্বরে ছিলেন)
২০. রবিশংকর প্রসাদ (আইন ও বিচার, যোগাযোগ, ইলেকট্রনিক ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী), ৬৫, (২০১৮ সালে তালিকার ৩৮ নম্বরে ছিলেন)
২১. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী) ৬৪, (২০১৮ সালের তালিকায় ছিলেন ৬ নম্বরে)
২২. সুব্রহ্মণ্যম জয়শংকর (বিদেশমন্ত্রী), ৬৪, (২০১৮ সালের তালিকায় ছিলেন না)
২৩. প্রকাশ জাভড়েকর (পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী), ৬৮, (২০১৮ সালের তালিকায় ৫৬ নম্বরে ছিলেন)
২৪. উদ্ধব ঠাকরে (শিবসেনা প্রধান), ৫৯, (২০১৮ সালে ৪০ নম্বরে ছিলেন)
২৫. রাহুল গান্ধী (কংগ্রেস নেতা) ৪৯, (২০১৮ সালে ১১ নম্বরে ছিলেন)
২৬. ওয়াই এস জগমোহন রেড্ডি (অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, ওয়াই এস আর কংগ্রেসের প্রধান), ৪৭, (২০১৮ সালে তালিকার ৩৫ নম্বরে ছিলেন)
২৭. উদয় কোটাক (কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের এমডি ও সিইও), ৬০, (তালিকায় নতুন সংযোজিত)
২৮. গৌতম আদানি, (আদানি গোষ্ঠী চেয়ারম্যান), ৫৭, (আগের বছরের তালিকায় ২৯ নংয়ে ছিলেন)
২৯. শক্তিকান্ত দাস, (রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর), ৬২, (২০১৮ সালের তালিকায় ছিলেন না)
৩০. এম কে স্ট্যালিন (ডিএমকে প্রেসিডেন্ট), ৬৬, (২০১৮ সালে তালিকার ২৪ নম্বরে ছিলেন)
৩১. নরেন্দ্র সিং তোমর (কৃষি ও কৃষককল্যাণ এবং গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী), ৬২, (২০১৮ সালের তালিকায় ছিলেন না)
৩২. গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত (জল শক্তি মন্ত্রী), ৫২, (তালিকায় নয়া সংযোজন)
৩৩. কমল নাথ (মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী), ৭২, (২০১৮ সালের তালিকায় ছিলেন না)
৩৪. প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক), ৪৯, (তালিকায় নতুন)
৩৫. অশোক গেহলোট (রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী), ৬৮, (তালিকায় নতুন)
৩৬. জেনারেল বিপিন রাওয়াত (সেনাপ্রধান), ৬১, (আগের বছরের তালিকায় ৪১ নংয়ে ছিলেন)
৩৭. পিকে সিনহা (প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখ্য উপদেষ্টা), ৬৪, (আগের তালিকায় ছিলেন না)
৩৮. রাজীব গৌবা, (ক্যাবিনেট সচিব), ৬০, (তালিকায় নয়া সংযোজন)
৩৯. নবীন পট্টনায়েক (ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী, বিজেডি প্রধান), ৭২, (২০১৮ সালে তালিকায় ৩০ নং)
৪০. আহমেদ প্যাটেল, (কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ), ৭০, (তালিকায় নতুন)
৪১. শিবরাজ সিং চৌহান (বিজেপি সহসভাপতি), ৬০, (২০১৮ সালের তালিকায় ১৩ নং)
৪২. বিএস ইয়েদুরাপ্পা (কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী), ৭৬, (তালিকায় নতুন)
৪৩. ইকে পালানিস্বামী (তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী), ৬৫, (আগের বছরের ক্রম ৬৪)
৪৪. বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম, (জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যসচিব), ৫৬, (তালিকায় নতুন)
৪৫. ফারুক আবদুল্লা (ন্যাশনাল কনফারেন্স সভাপতি), ৮১
ওমর আবদুল্লা (জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী), ৪৯ (২০১৮ তালিকায় ৭২ নং)
৪৬. অজয় ত্যাগী (সেবি চেয়ারম্যান), ৬০, (২০১৮ তালিকার ক্রম ৬১)
৪৭. মনোহরলাল খট্টর (হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী), ৬৫, (আগের বছরের ক্রম ৫৭)
৪৮. বিচারপতি এসএ বোবডে (সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি), ৬৩, (আগের তালিকায় নেই)
৪৯. সুনীল অরোরা (মুখ্য নির্বাচন কমিশনার), ৬৩, (তালিকায় নতুন)
৫০. তুষার মেহতা (সলিসিটর জেনারেল), ৫৫, (তালিকায় নতুন)
৫১. অরবিন্দ কেজরিওয়াল (দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক), ৫০, (২০১৮র তালিকায় ৭৩)
৫২. বিরাট কোহলি (ভারতীয় ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক), ৩০, (২০১৮ সালের ক্রম ২০)
৫৩. অধীর রঞ্জন চৌধুরী (লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা), ৬৩, (নয়া সংযোজন)
৫৪. ভূপেশ বাঘেল (ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী), ৫৭, (২০১৮ সালে নতুন)
৫৫. স্মৃতি ইরানি (নারী ও শিশুকল্যাণ এবং বস্ত্রমন্ত্রী), ৪২, (২০১৮-র ক্রম- ৩৯)
৫৬. হিমন্ত বিশ্বশর্মা (আসামের অর্থমন্ত্রী, নেডার প্রধান), ৫০ (২০১৮ সালের ক্রম- ২৭)
৫৭. অমিতাভ বচ্চন (বলিউড অভিনেতা), ৭৬, (২০১৮ ক্রম- ৭৭)
৫৮. রতন টাটা (টাটা গোষ্ঠীর এমিরেটাস চেয়ারম্যান), ৮১ (২০১৮ ক্রম- ৫১)
৫৯. গুলাম নবী আজাদ (রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা), ৭০, (নয়া সংযোজন)
৬০. হরিবংশ নারায়ণ সিং (রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান), ৬৩, (নয়া সংযোজন)
৬১. ওম বিড়লা (লোকসভার অধ্যক্ষ), ৫৭, (নয়া সংযোজন)
৬২. কে চন্দ্রশেখর রাও (তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী, টিআরএস প্রধান), ৬৫, (২০১৮-র ক্রম- ৫২)
৬৩. বিচারপতি অরুণ মিশ্র (সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি), ৬৪, (নয়া সংযোজন)
৬৪. ফলি নরিম্যান (প্রবীণ আইনজ্ঞ), ৯০, (২০১৮ ক্রম- ৫৫)
৬৫. আজিম প্রেমজি (উইপ্রো-র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান), ৭৪, (২০১৮ ক্রম- ৭৫)
৬৬. সুনীল মিত্তল (ভারতী এন্টারপ্রাইজের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান), ৬১ (২০১৮ ক্রম- ৯৬)
৬৭. বাবা রামদেব (পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের সহ প্রতিষ্ঠাতা). ৫৩, (২০১৮ ক্রম- ২৮)
৬৮. শ্রী শ্রী রবি শংকর (আর্ট অফ লিভিং প্রতিষ্ঠাতা), ৬২, (নয়া সংযোজন)
৬৯. পিসি মোদী (সিবিডিটি চেয়ারম্যান), ৬০, নয়া সংযোজন
৭০. বিজয় রুপানি (গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী), ৬৩ (২০১৮ ক্রম- ৭৬)
৭১. উদয় শংকর (স্টার অ্যান্ড ডিজনি ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান), ৫৭, (২০১৮ ক্রম- ৬৯)
৭২. সঞ্জয় মিশ্র (ইডি ডিরেক্টর), ৫৯, (নয়া সংযোজন)
৭৩. মায়াবতী (বিএসপি প্রধান), ৬৩ (২০১৮ ক্রম- ১৪)
৭৪. অখিলেশ যাদব (সমাজবাদী পার্টি প্রধান), ৪৬, (২০১৮ ক্রম- ১৫)
৭৫. পিনারাই বিজয়ন (কেরালার মুখ্যমন্ত্রী), ৭৫ (২০১৮ ক্রম- ৪২)
৭৬. আসাউদ্দিন ওয়াইসি (আইমিম প্রেসিডেন্ট), ৫০ (২০১৮ ক্রম- ৭০)
৭৭. শরদ পাওয়ার (এনসিপি সভাপতি), ৭৯, (২০১৮ ক্রম- ২৫)
৭৮. বিজয় শেখর শর্মা (পেটিএম প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও), ৪০, (২০১৮ ক্রম- ৮৮)
৭৯. যোগেশ চন্দ্র মোদী (এনআইএ ডিজি), ৫৮, (নয়া সংযোজন)
৮০. মেহবুবা মুফতি (পিডিপি সভানেত্রী), ৬০, (২০১৮ ক্রম- ২৬)
৮১. রাম মাধব (বিজেপি সাধারণ সম্পাদক), ৫৫, (২০১৮ ক্রম- ৪৭)
৮২. শচীন পাইলট (রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী), ৪২, (২০১৮ ক্রম- ৭১)
৮৩. লালুপ্রসাদ যাদব (আরজেডি প্রধান), ৭১ (২০১৮ ক্রম- ৭১)
তেজস্বী প্রসাদ যাদব (বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা), ২৯, (২০১৮ ক্রম- ১৮)
৮৪. সিদ্দারামাইয়া (কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী), ৭০, (২০১৮ ক্রম ১৯)
৮৫. কুমার মঙ্গলম বিড়লা (চেয়ারম্যান, আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠী), ৫২, (২০১৮ ক্রম- ৬৩)
৮৬. প্রশান্ত ভূষণ (আইনজীবী-সমাজকর্মী), ৬২, (২০১৮ ক্রম- ৫০)
৮৭. রাজীব কুমার (ভাইস চেয়ারম্যান, নীতি আয়োগ), ৬৮, (২০১৮ ক্রম- ৬০)
৮৮. নৌশাদ ফোর্বস, (কো চেয়ারম্যান, ফোর্বস মার্শাল), ৬৯, (নয়া সংযোজন)
৮৯. পি গোপীচাঁদ, (জাতীয় ব্যাডমিন্টন কোচ), ৪৬, (২০১৮ ক্রম- ৯১)
৯০. পিভি সিন্ধু (ব্যাডমিন্টনে বিশ্বজয়ী), ২৪, (নয়া সংযোজন)
৯১. করণ জোহর (ফিল্মনির্মাতা, প্রযোজক, টকশো সঞ্চালক) ৪৭, (২০১৮ ক্রম- ৯৮)
৯২. মহেন্দ্র মোহন গুপ্তা (সিএমডি, জাগরণ প্রকাশন লিমিটেড), ৭৭, (নয়া সংযোজন)
সঞ্জয় গুপ্তা, (সিইও, জাগরণ প্রকাশন লিমিটেড), ৫৫, (নয়া সংযোজন)
৯৩. অক্ষয় কুমার (অভিনেতা, হরি ওম এন্টারটেনমেন্টের প্রযোজক), ৫১, (নয়া সংযোজন)
৯৪. সমীর জৈন (ভাইস চেয়ারম্যান, বেনেট কোলম্যান গোষ্ঠী), ৬৫, (২০১৮ ক্রম- ৯৪)
বিনীত জৈন (এমডি, বেনেট কোলম্যান গোষ্ঠী), ৫২, (২০১৮ ক্রম- ৯৪)
৯৫. টিএম কৃষ্ণা, (কর্নাটকী সংগীতশিল্পী), ৪৩, (২০১৮ ক্রম- ১০০)
৯৬. সলমন খান (অভিনেতা, প্রযোজক), ৫৩, (২০১৮ ক্রম- ৮১)
৯৭. আমির খান, (অভিনেতা, চলচ্চিত্রনির্মাতা), ৫৪, (২০১৮ ক্রম- ৮০)
৯৮. শাহরুখ খান, (অভিনেতা, প্রযোজক এবং আইএল টিমের মালিক), ৫৩, (২০১৮ ক্রম- ৮২)
৯৯. কঙ্গনা রানাওয়াত (অভিনেতা, পরিচালক), ৩২, (২০১৮ ক্রম- ৯৭)
১০০. দীপিকা পাড়ুকোন (অভিনেতা, প্রযোজক), ৩৩, (২০১৮ ক্রম- ৭৯)
Read the Full Story in English