দেশের করোনা পরিস্থিতি দিনকে দিন উন্নতি হচ্ছে। আর, এর জেরে এবার বিদেশে থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইন বাতিল হচ্ছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে উঠে যাচ্ছে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারান্টাইন। বদলে, যাত্রীদের কারও করোনার লক্ষণ থাকলে, তাঁরা নিজেদের আইসোলেট করবেন। লক্ষণ আছে কি, নেই? টানা ১৪ দিন যাত্রীদেরই তা নজরে রাখতে হবে। এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে, বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকছে। যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং হবে। করোনার লক্ষণ ধরা পড়লে, তাঁদের আইসোলেট করা হবে। থাকছে চিকিৎসার ব্যবস্থাও। তার মধ্যে কোনও যাত্রীর করোনা বিমানবন্দরেই ধরা পড়লে, তাঁরা কাদের সঙ্গে ওঠাবসা করেছেন, সেসব নিয়মমাফিক খতিয়ে দেখা হবে। ওই সব ব্যক্তিরাও সংক্রমিত হয়েছেন কি না জানতে তাঁদেরও করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।
আগে নিয়ম ছিল যাত্রীদের বিমানে ওঠার ৭২ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষার আরটিপিসিআর টেস্ট-এর নেগেটিভ রিপোর্ট আনতে হবে। পরিস্থিতির উন্নতি ঘটায়, তারপর সেই নিয়মে ছাড় দেওয়া হয়। বর্তমান নিয়মে করোনার দুটো ডোজই নিয়েছেন কি না, যাত্রীদের কেবল সেই সার্টিফিকেটই দেখাতে হয়। বিশ্বের মোট ৮২টি দেশকে এমনই সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই সার্টিফিকেট দেখাতে পারলেই যাত্রীদের ভারতে পৌঁছনোর পর আর কোয়ারান্টাইনে থাকতে হয় না।
আরও পড়ুন- হিজাব নিয়ে অশান্তির মধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চান কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী
বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের এই ছাড় দেওয়ার কারণ হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো আশাপ্রদ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেছেন, ২৪ জানুয়ারি দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ২০.৭৫ শতাংশ। বর্তমানে তা কমে হয়েছে ৪.৪৪ শতাংশ। আরও কমত।
কিন্তু, কিছু রাজ্যে সংক্রমণ কমার জেরে বাসিন্দাদের মধ্যে ঢিলেঢালা ভাব দেখা যাচ্ছে। তার জেরে কেরল, কর্নাটক, মিজোরাম, হিমাচলপ্রদেশে দৈনিক সংক্রমণের হার এখনও বেশ বেশি। এই চার রাজ্যে বর্তমানে সংক্রমিতর সংখ্যা ৫০ হাজারেরও ওপরে। আর, ১১টি রাজ্যে সংক্রমণ ১০ থেকে ৫০ হাজারের মধ্যে।
Read story in English