Corona Daily Update: সুস্থ হওয়ার পথে দেশ। সেপ্টেম্বর থেকে ক্রমেই কমেছে ভাইরাসের সংক্রমণ শক্তি। গত দেড় মাসের আর-ভ্যালু পর্যালোচনা করে এই দাবি করেছে চেন্নাইয়ের একটি সংস্থা। জানা গিয়েছে, পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে আর ভ্যালু ১-এর নীচে। অর্থাৎ সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। আর ভ্যালু মানে একজন সংক্রমিত ব্যক্তি গড়ে কতজনকে সংক্রমিত করতে পারে। অর্থাৎ কত কার্যকরী ভাইরাসের সংক্রমণ শক্তি।
এক্ষেত্রে আর ভ্যালু ১-এর নীচে সংক্রমণের গতি ধীর। অর্থাৎ ভাইরাসের সংক্রমণ কার্যকারিতা কমতির দিকে। আর ভ্যালুর ১-এর উপরে মানে সংক্রমণের গতি মারাত্মক। ভাইরাসের সংক্রমণ কার্যকারিতা বেশি। একেই বলে মহামারী অবস্থা।
চেন্নাইয়ের ম্যাথামেটিকেল স্টাডি ইনস্টিটিউটের পর্যালোচনায় জানা গিয়েছে, সংক্রমণের নিরিখে উপরের দিকে থাকা দেশের ১০টি রাজ্যের এখন আর-ভ্যালু ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ১-এর নীচে। যদিও কয়েকটি শহরের সক্রিয় সংক্রমণ উদ্বেগের কারণ। যেমন কলকাতার আর-ভ্যালু ১–এর উপরে। এর নেপথ্যে সাম্প্রতিক দুর্গাপুজো দায়ী, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত এক সপ্তাহ শহরবাসীর মধ্যে বাঁধনছাড়া মনোভাব দেখা গিয়েছে । পুজোয় পথে নেমেও ন্যূনতম করোনাবিধিকে মান্যতা দেয়নি অনেক নাগরিক।
এই প্রসঙ্গে এই সমীক্ষার অন্যতম উদ্যোক্তা সীতাভ্র সিনহা বলেন, ‘কলকাতার পাশাপাশি বেঙ্গালুরুতে আর-ভ্যালু ১-এর উপরে। কিন্তু চেন্নাই, মুম্বই, পুনের আর-ভ্যালু ১-এর নীচে।‘ দেশের নিরিখে সার্বিক আর-ভ্যালু ০.৯০ অর্থাৎ ১-এর নীচে। এমনটাই ওই সংস্থা সূত্রে খবর।
চিকিৎসকদের আশঙ্কা সত্যি করে যত সময় গড়াচ্ছে, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা গ্রাফ। একদিনে রাজ্যে সংক্রমিত ৮৬৭, মৃত ৯। দুর্গাপুজো পরবর্তী সময়ে ক্রমে এই সংক্রমণবৃদ্ধিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিৎসকরা। শেষ নবমীর দিনে ৭০০-র নীচে সংক্রমণ ছিল রাজ্যে। তারপর যত দিন গড়িয়েছে সংক্রমণ গ্রাফ উঠেছে। লক্ষ্মীপুজোর দিন সেই গ্রাফ একেবারে সাড়ে ৮৫০-র উপরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনে নমুনা পরীক্ষা যত বাড়বে, ততই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে সংক্রমণ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২১ অক্টোবর থেকে রাজ্যে ফের কার্যকর করছে নাইট কার্ফু। পাশাপাশি যত বেশি সম্ভব টিকা প্রদান এবং নমুনা পরীক্ষায় জোর দেবে স্বাস্থ্য দফতর। এমনটাই স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, রাজ্যে এখন সক্রিয় সংক্রমণ প্রায় সাড়ে ৭ হাজার। মোট সংক্রমিত ১৫,৮২,৮১৩ আর মৃত ১৯,০০৭। একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৯৫ জন। রাজ্যে এখন সংক্রমণের হার ২.৪৩%, সুস্থতার হার ৯৮.৩৩%।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন